জুন ২৮: সম্প্রতি নেপালের মন্ত্রিসভার বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘স্টেট পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম’ (এসপিপি) সহযোগিতা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় নেপালের সকল দল ও সামরিক বাহিনী সর্বসম্মতভাবে একে সমর্থন করেছে। তারা বিশ্বাস করে যে "এসপিপি-তে যোগদান নেপালের স্বার্থে নয়" এবং এই ইস্যুতে আলোচনা "স্থায়ীভাবে শেষ" হওয়া দরকার। বিশ্লেষকরা মনে করেন যে, নেপালের সিদ্ধান্তের অর্থ হলো যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত "ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল" বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে।
এসপিপি পরিকল্পনা কী? এটি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল গার্ড এবং অংশীদার দেশগুলোর মধ্যে একটি বিনিময় কর্মসূচি। এটি ৯০-এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে "সংস্কার" করতে সহায়তা করার লক্ষ্যে চালু হয়েছিল।
নেপালের সংবাদমাধ্যম জানায়, ২০১৫ সাল থেকে, যুক্তরাষ্ট্র বারবার নেপালকে এসপিপি-তে যোগ দিতে বলেছে, কিন্তু নেপাল তাতে রাজি হয়নি। এসপিপি সহযোগিতার সাম্প্রতিক খসড়া অনুসারে, মূল বিষয়বস্তুগুলোর মধ্যে রয়েছে: দুই পক্ষ নেপালের মালভূমি এলাকায় যৌথ সামরিক মহড়া পরিচালনা করবে, মার্কিন আধাসামরিক ন্যাশনাল গার্ড অবাধে নেপালে প্রবেশ করবে ও অবকাঠামো নির্মাণ করবে, এবং যুক্তরাষ্ট্র নেপালের কাছে সন্ত্রাসদমনসংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য এবং সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করবে। এই ধারাগুলোর সুস্পষ্ট সামরিক লক্ষ্য রয়েছে এবং নেপালের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অভিপ্রায় খুবই স্পষ্ট। এটি স্বাভাবিকভাবেই নেপালে ব্যাপক ঘরোয়া বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। এসপিপি প্রোগ্রাম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেপালের জাতীয় স্বার্থে এবং নেপালের দীর্ঘস্থায়ী নিরপেক্ষ ও ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
নেপালের এবারের সিদ্ধান্তে আমেরিকার ‘ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল’ বড় ধাক্কা খেয়েছে। আরও বেশি দেশ তাদের নিজস্ব স্বার্থ বিবেচনা করে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত নেবে। যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত "ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল" শীঘ্রই দেউলিয়া হয়ে যাবে। (ইয়াং/আলিম/হাইমান)