২০০৯ সালে প্রথম চীনা ভাষার ক্লাস ইসরাইলের ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত হয়। সে থেকে এ পর্যন্ত সেদেশের ৪০টি মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চীনা ভাষার ক্লাস অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
ইসরাইলের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত একটি বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণীর মোট ১৬০ জন শিক্ষার্থী এবং ৩০ জন কিডারগার্ডেনের শিশু আছে। তারা তৃতীয় শ্রেণী থেকে চীনা ভাষার ক্লাসে অংশ নিতে শুরু করে। বিদ্যালয়টি তিন বছর আগে চীনা ভাষার ক্লাস শুরু করে। ষষ্ঠ শ্রেণীর একজন শিক্ষার্থী বলে, সে চীনা ভাষা শিখতে অনেক পছন্দ করে। সে বলে,
‘আমার মনে হয়, চীনা ভাষা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি এ চীনা ভাষার ক্লাসের মাধ্যমে চীনসম্পর্কিত অনেক বিষয় শিখেছি।’
ষষ্ঠ শ্রেণীর একজন শিক্ষার্থী বলে, ‘চীনা ভাষা শেখার পর আমি চীনকে আরও ভালো করে জেনেছি। বড় হয়ে আমি চীনে ঘুরতে যেতে চাই।’
সে আরও বলে, ‘চীন একটি বড় দেশ। চীনে পান্ডা আছে। আমি চীনসম্পর্কিত অনেক তথ্য জেনেছি। আমি একা একা চীনে ভ্রমণে যেতে চাই।’
চীনা শিক্ষক গাও লে ইসরাইলের পাঁচটি বিদ্যালয়ে চীনা ভাষা শিখিয়েছেন। তিনি বলেন, শিশুরা চীনা ভাষা শিখতে পছন্দ করে। তিনি শিশুদেরকে চীনা সংস্কৃতি ও ইতিহাসের সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দেন। শিশুরা বড় হয়ে চীনে এসে চীনা ভাষা শিখতে চায়। শিক্ষক গাও বলেন,
‘আমি চীনা ভাষার পাশপাশি শিক্ষার্থীদেরকে চীনা ইতিহাস, শিল্পসহ বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেই। যেমন, মহাপ্রাচীর, বেইজিং অপেরা, কাগজ কাটা শিল্প ও ক্যালিগ্রাফি, ইত্যাদি।’
বিদ্যালয়ের মহাপরিচালক বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছায় চীনা ভাষা শেখে। বিশ্বায়নের এই যুগে আমাদের শিক্ষার্থীরা অন্যান্য দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে চায়।’
ইসরাইলের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চীনা ভাষা প্রশিক্ষণ তদারকিকর্মী বলেন, বর্তমানে ইসরাইলের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী চীনা ভাষা শিখছে। তিনিবলেন,
‘চীন একটি শক্তিশালী দেশ। ইসরাইলের মানুষ চীনের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও চীনা ভাষা সম্পর্কে জানতে চায়। আমাদের মনে হয়, ছোটবেলা থেকে অন্যান্য দেশ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।’ (ছাই/আলিম)