উন্নয়ন হচ্ছে সবচেয়ে প্রাণবন্ত চীনা গল্প: সিআরআই সম্পাদকীয়
2022-06-25 19:29:09


জুন ২৫: গতকাল (শুক্রবার) চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ভিডিও-সংযোগের মাধ্যমে ‘বিশ্ব উন্নয়নে উচ্চ পর্যায়ের সংলাপে’ সভাপতিত্ব করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন। গত শতাব্দীর ৬০-এর দশকের শেষ দিকে চীনের একটি ছোট গ্রামে সি চিন পিং একজন কৃষক ছিলেন। ‘বিশ্ব উন্নয়নে উচ্চ পর্যায়ের সংলাপে’ তিনি এ গল্প সবাইকে বলেছেন। প্রেনিডেন্ট সি বলেন, তখনই তিনি স্থানীয় অধিবাসীদের কষ্টকর জীবনের অবস্থা স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করতে পারেন, বুঝতে পারেন। অর্ধেক শতাব্দী পর, প্রেসিডেন্ট সি আবার সে জায়গা পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, “আমি দেখেছি অধিবাসীদের থাকা-খাওয়াসহ জীবনের কোনো দিক দিয়েই কোনো সমস্যা নেই; তাদেঁর মুখে সুখের হাসি ফুটেছে।”


চীনা নেতার এ অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায়, যে-কোনো দেশ, মহাদেশ, গ্রাম বা শহরের প্রতিজন মানুষ সুখী জীবন চান। দেশের নেতৃবৃন্দের জানা উচিত যে, ‘শুধু অব্যাহত উন্নয়নের মাধ্যমে সুখী ও শান্তিপূর্ণ জীবন এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা যায়’। 


উন্নয়নের জন্য চীন বরাবরই সব প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য বাস্তব কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।  এবারের সংলাপে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা ঘোষণা করেছেন। ২৪শে জুন আয়োজিত সংলাপে চীনের ৩২টি ব্যবস্থার সাফল্যের তালিকাও প্রকাশিত হয়। এতে দারিদ্র্যবিমোচন, শস্যনিরাপত্তা, করোনা মহামারী প্রতিরোধ ও টিকা, উন্নয়নের জন্য অর্থ সংগ্রহ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও সবুজ উন্নয়নসহ মোট ৮টি খাতকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। জাতিসংঘের ‘এজেন্ডা ২০৩০’  দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য এ হচ্ছে চীনের সবচেয়ে নতুন অবদান। 


সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটা হচ্ছে সতিকারের অর্থে ‘ব্রিক্সের চীনা বর্ষ’। চীনে নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ ব্রিক্সসভুক্ত দেশগুলো আরও শক্তিশালী হবে। চীনের ভূমিকা এক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ (আকাশ/আলিম/মুক্তা)