সি চিন পিং এবং তাঁর বাবা’র গল্প
2022-06-19 14:28:15

জুন ১৯: আজ বাবা দিবস। আমরা চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং তাঁর বাবা সি চুং সুনের গল্প বলবো।

সি চিন পিং-এর কার্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে তোলা পারিবারিক ছবি রাখা আছে। এর মধ্যে একটি ছবিতে সি চিন পিং হুইলচেয়ারে বসা বাবাকে নিয়ে স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে হাঁটছেন।

২০০১ সালের ১৫ অক্টোবর, সি চুং সুনের ৮৮ বছর বয়স। তখন সি চিন পিং ফুচিয়ান প্রদেশের গভর্নর ছিলেন, কাজের কারণে তিনি বাবার সঙ্গে জন্মদিন উদযাপন করতে পারতেন না। তাই তিনি বাবাকে একটি চিঠি লিখে মনের অনুভূতি বর্ণনা করেছিলেন। চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন: বাবা, আপনি নিজের বড় ভালোবাসা দিয়ে আশেপাশের মানুষকে প্রভাবিত করেন। আপনি যেন একটি ‘পরিশ্রমী গরুর’ মতো, চীনা জনগণের সেবা করেন। তা আমার সারা জীবন জনগণকে সেবা করায় উত্সাহ দিয়েছে। যাতে চীন দেশ ও জনগণকে কিছু দিতে পারি।

 

সি চুং সুন ‘জনগণের মধ্য থেকে আসা একজন নেতা’। তিনি সবসময় নিজেকে কৃষকের ছেলে হিসেবে বলতেন এবং নিজেকে শ্রমিক জনতার একজন মনে করতেন। বাবা’র প্রভাবে সি চিন পিং সবসময় জনগণকে সেবা করার চিন্তাধারা লালন করেন। হ্য পেই প্রদেশের চেং তিং জেলায় কাজের সময়, তিনি জেলার সব গ্রাম পরিদর্শন করেছিলেন। ফু চিয়ান প্রদেশের নিং দ্য জেলায় কাজ করার সময় তিনি তিন মাসের মধ্যে ৯টি জেলা পরিদর্শন করেছেন এবং অধিকাংশ গ্রাম ও থানায় গিয়েছেন। চ্য চিয়াং প্রদেশে তিনি এক বছরে পুরো প্রদেশের ৯০টি জেলা পরিদর্শন করেছেন।

২০১২ সাল থেকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি এবং দেশের শীর্ষনেতা হলেও সি চিন পিং সবসময় বাবা’র কথা মনে রেখেছেন। চিন পিং, তুমি বড় কর্মকর্তা হলেও জনগণের সেবা করতে ভুলবে না, জনগণের জন্য চিন্তা করার কথা ভুলবে না। জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে।

সি চিন পিং বাবাকে লেখা চিঠিতে বলেছিলেন, বাবা খুব কঠোরভাবে সাশ্রয়ী চিন্তা বাস্তবায়ন করেছেন। আমাদের পারিবারিক নিয়ম অনেক কঠোর, তা সবাই জানে। আমরা ছোটবেলা থেকে বাবা’র এমন শিক্ষায় সাশ্রয়ী অভ্যাস তৈরি করেছি। তা ভালো একটি পারিবারিক পরিবেশ। এমন ভালো পারিবারিক পরিবেশ বংশ পরম্পরায় স্থায়ী হবে।

    সি চিন পিং-এর চোখে, পরিবার হল জীবনের প্রথম ক্লাসরুম। বাবা মা হলেন শিশুর প্রথম শিক্ষক। এই ক্লাসরুম থেকে সি চিন পিং বাবা মা’র কাছ থেকে তাঁর সারা জীবনের জন্য সহায়ক মূল্যবান গুণ পেয়েছেন। এবং তিনি তাকে জনগণের সেবায় প্রয়োগ করতে থাকেন।