জুন ১৫: স্থানীয় সময় ১৩ই জুন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ও কেন্দ্রীয় বৈদেশিক কর্ম-কমিশন কার্যালয়ের পরিচালক ইয়াং চিয়ে ছি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাবিষয়ক সহকারী জ্যাক সুলিভান লুক্সেমবার্গে টানা ৪ ঘন্টা আলোচনা করেন। গত দুই বছরের মধ্যে চীন ও মার্কিন কর্মকর্তাদের এটি চতুর্থ মুখোমুখি বৈঠক। এবারের বৈঠকের মাধ্যমে সংলাপের ব্যাপারে দু’পক্ষের সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলা যায়। বিশেষ করে, চীন দায়িত্বশীল মনোভাব দিয়ে দু’দেশের নেতৃবৃন্দের মতৈক্য বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে।
বর্তমানে চীন-মার্কিন সম্পর্ক এক সন্ধিক্ষণে অবস্থিত। ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কেমন হবে—তা এখন নির্ভর করছে বাস্তব পদক্ষেপের ওপর। চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং পারস্পরিক সম্মান, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, ও সহযোগিতার মাধ্যমে অভিন্ন স্বার্থ অর্জনের পরামর্শ দিয়েছেন। অন্যদিকে, নতুন ঠাণ্ডাযুদ্ধ এড়ানো, চীনের সামাজিক ব্যবস্থা পরিবর্তন করার চেষ্টা না-করা, মিত্র দেশগুলোকে সাথে নিয়ে চীনের বিরোধিতা না-করা, তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন না-দেওয়া, এবং চীনের সাথে সংঘর্ষে না-জড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তবে, দু’দেশের নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্য এখন পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। মার্কিন পক্ষের কার্যক্রম বাইডেনের কথার পুরোপুরি বিপরীত। চীন-মার্কিন সম্পর্কের উন্নয়ন কেবল চীনের দায়িত্ব নয়, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আধিপত্যবাদী চিন্তাধারা ও সুপার পাওয়ার দেশের শ্রেষ্ঠত্বের অহমিকা পরিত্যাগ করা।
এবারের বৈঠকে চীনের তাইওয়ান, সিনচিয়াং, হংকং, তিব্বত ও দক্ষিণ চীন সাগরসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মার্কিন প্রতিনিধির সাথে আলাপ করেছেন ইয়াং চিয়ে ছি। বিশেষ করে, তাইওয়ানের স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন পক্ষের উস্কানিমূলক মন্তব্য সম্পর্কে তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন।
মোদ্দাকথা, যুক্তরাষ্ট্র চীনের সাথে সম্পর্কের উন্নয়নে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিলে কেবল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য তা সহায়ক হবে তা নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়ও সহায়তা করবে। (সুবর্না/আলিম/মুক্তা)