ইয়াং চিয়ে চি-জ্যাক সুলিভান বৈঠক
2022-06-14 19:15:42

জুন ১৪: গতকাল (সোমবার) চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিদেশ-বিষয়ক কমিটির কার্যালয়ের মহাপরিচালক ইয়াং চিয়ে ছি মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা-বিষয়ক সহকারী জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে লুক্সেমবার্গে এক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন।

 

বৈঠকে দুই নেতা চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক এবং অভিন্ন স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আন্তরিক ও গঠনমূলক মতবিনিময় করেছেন। দুই নেতা দু’দেশের শীর্ষনেতাদের গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্য বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে যোগাযোগ ও সংলাপ জোরদার ও  ভুল বুঝাবুঝি কমানোর পাশাপাশি মতভেদ দূর করার বিষয়ে একমত হয়েছেন। দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ বজায় রাখা খুবই প্রয়োজন ও সহায়ক বলে একমত হন দুই নেতা।

 

বৈঠকে ইয়াং চিয়ে ছি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বহুবার প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র নতুন স্নায়ুযুদ্ধ চালাবে না এবং চীনের সামাজিক ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে চায় না, মৈত্রী জোরদারের মাধ্যমে চীনের বিরোধিতা করবে না এবং তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাকে সমর্থন করবে না। তাতে চীন গুরুত্বারোপ করে। তবে দীর্ঘকাল ধরে যুক্তরাষ্ট্র চীনকে সার্বিকভাবে রোধ করার চেষ্টা করছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব সমস্যা সমাধান করতে পারবে না। বরং চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক সংকটে ফেলবে এবং দু’পক্ষের বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতা ও আদান-প্রদানকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এটা চীন-যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বার্থের সঙ্গেও সংগতিপূর্ণ নয়।

 

ইয়াং চিয়ে ছি আরও বলেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নির্ণায়ক ক্রসিংয়ে দাঁড়িয়ে আছে। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং’র উত্থাপিত পরস্পরকে শ্রদ্ধা প্রদর্শন, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং সহযোগিতা ও সমন্বিত অর্জনের ভিত্তি হচ্ছে দু’দেশের সঠিক সহাবস্থানের পথ, যা দু’দেশের জনগণের মূল স্বার্থের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক সমাজের  প্রত্যাশা।

 

তিনি বলেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ প্রত্যাশা পূরণ নিয়ে আলোচনা করতে চায়। দ্বন্দের শব্দ দিয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নির্ধারণ করার বিরোধিতা করে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এই মনোভাবকে বাস্তব পদক্ষেপে পরিণত করে চীনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া এবং দু’দেশের শীর্ষনেতাদের মতৈক্য বাস্তবায়ন করা।

 

তাইওয়ান বিষয়ে ইয়াং আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত একচীন নীতি ও তিনটি চীন-যুক্তরাষ্ট্র ইস্তাহারের ভিত্তিতে সঠিকভাবে তাইওয়ান বিষয়কে মোকাবিলা করা।

 

(রুবি/এনাম/শিশির)