জুন ১১: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সম্প্রতি পশ্চিম চীনের সি ছুয়ান প্রদেশ পরিদর্শন করেছেন। সে সময় তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চিমি আলোকবিদ্যুত্ কোম্পানি লিমিটেড পরিদর্শন করেন। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং কোম্পানির প্রদর্শনী হল ও উত্পাদন হলে প্রবেশ করেন এবং প্রতিষ্ঠানের সৃজনশীলতা জোরদার এবং স্থানীয় বেসরকারি অর্থনীতির সমর্থক ব্যবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। তা বেসরকারী অর্থনৈতিক উন্নয়নে চীনের গুরুত্বারোপের প্রতিফলন। গতকাল (শুক্রবার) চায়না মিডিয়া গ্রুপের এক সম্পাদকীয়তে এ মন্তব্য করা হয়েছে।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে,, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠাগুলোর আলোচনাসভায় সি চিন পিং প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ৫০ শতাংশেরও বেশি শুল্ক এবং ৬০ শতাংশেরও বেশি জিডিপি, ৭০ শতাংশেরও বেশি প্রযুক্তিগত সৃজনশীল সাফল্য, ৮০ শতাংশ জেলা-থানায় কর্মসংস্থান এবং ৯০ শতাংশেরও বেশি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রদান করেছে’। তাতে বোঝা যায় যে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চীনের অর্থনীতির গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়নে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করছে।
সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়েছে, গত দু বছরে মহামারির প্রভাব, দেশি-বিদেশি কঠোর পরিস্থিতি এবং বহির পরিবেশের অনিশ্চয়তা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো অধিক কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীণ হচ্ছে। তাই চীনের বিভিন্ন স্তরের সরকার তাদের কঠিনতা থেকে কাটিয়ে উঠতে এবং উন্নয়ন সাধন করতে সাহায্য করছে। এবার চিমি আলোকবিদ্যুত্ কোম্পানি পরিদর্শনের সময় সি চিন পিং স্থানীয় সরকারের সহযোগিতামূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন। কঠিনতা থেকে কাটিয়ে ওঠার চাবিকাঠি সম্পর্কে সি চিন পিং বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৃজনশীলতা জোরদার করতে হবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নত, নির্ভুল ও অত্যাধুনিক প্রতিষ্ঠান লালন করতে হবে, যাতে প্রযুক্তিগত সৃজনশীল সত্ত্বা প্রতিষ্ঠা করা যায়। প্রেসিডেন্ট সি’র এ কথা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ চীনা প্রতিষ্ঠানের নতুন অধ্যায় সৃষ্টির জন্য দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে।
চীনের শুল্ক বিভাগের সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, গত ৫ মাসে চীনের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৭.৮৬ ট্রিলিয়ন ইউয়ান, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১.৮ শতাংশ বেশি। এটা চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিমাণে ৪৯ শতাংশ ছাড়িয়েছে। তাতে প্রতিফলিত হয় যে, দেশীয় সার্কেলকে প্রাধান্য দিয়ে দেশীয় ও আন্তঃদেশীয় দ্বৈত চক্রের পারস্পরিক বেগবান কাঠামো গড়ে তোলার দিকে বেসরকারি অর্থনীতি চালিকাশক্তি হিসেবে ভূমিকা পালন করছে।
(রুবি/এনাম/শিশির)