দশ বছরে সকলের প্রচেষ্টায় আরও সুন্দর হয়ে উঠেছে চীন
2022-06-06 16:28:19

সুন্দর পরিবেশে ছবি তোলতে কে অপছন্দ করেন? অনেক বন্ধু সামাজিক মাধ্যম ও মাইক্রো ব্লগে তাদের ইচ্ছেমতো তোলা সুন্দর দৃশ্যের ছবি পোস্ট করতে পছন্দ করেন। অনেকে  আবেগ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিটি ছবিকে স্ক্রিনসেভার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। প্রতিটি ছবিতে যে নিখাত সৌন্দর্য দেখা যায়, তাতে চীনের গত ১০ বছরের পরিবেশ সংরক্ষণের সাফল্য প্রতিফলিত হয়েছে।

 

গতকাল ৫ জুন ছিল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এ বছরের পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘যৌথভাবে পরিষ্কার ও সুন্দর বিশ্ব গড়ে তোলা’।  এ উপলক্ষ্যে আজ আমি গত ১০ বছরে পরিবেশ সংরক্ষণে চীনের শীর্ষনেতা সি চিন পিংয়ের গুরুত্বারোপ, বিভিন্ন পর্যায়ের যৌথ প্রচেষ্টার পর অর্জিত অগ্রগতি আলোকপাত করবো।

 

চীনের কমিনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির অষ্টাদশ কংগ্রেসের পর থেকে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং’র নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কমিটি পরিবেশগত সভ্যতা প্রতিষ্ঠার জন্য অভূতপূর্ব শক্তি প্রয়োগ করে আসছে। ‘সুন্দর চীন’ গঠনে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, গত ১০ বছরে চীনে কৃত্রিম বন তৈরির পরিমাণ সারা বিশ্বের চারভাগের এক ভাগ। বনাঞ্চলের আয়তন ৭ কোটি হেক্টর বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বিশ্বের প্রথম স্থান দখল করেছে। ‘পরিষ্কার পানি ও সুবজ পর্বত হলো সোনালি ও রুপালি পবর্ত’।

 

চীনের হ্য পেই প্রদেশের পাই ইয়াং থিয়ান হ্রদে সুন্দর ও পরিষ্কার জলে মানুষের ছবি ও পদ্মফুল দেখা যাচ্ছে। গত ৫ বছর ধরে হ্রদের পরিবেশ মোকাবিলা এবং পরিবেশগত সংশোধন প্রকল্প চালানোর পর ২০২১ সালে পাই ইয়াং থিয়ান হ্রদে জলের অবস্থা তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। যা ২০১৭ সালের গুরুতর দূষিত হ্রদে পঞ্চম পর্যায়ে থাকার অবস্থার তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে।

 

 পরিবেশ সমৃদ্ধ হলে সভ্যতা সমৃদ্ধ হবে এবং পরিবেশ মন্দ হলে সভ্যতা মন্দ হবে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে শুরু করে হাজার মাইল লম্বা ইয়াং চি নদী থেকে আকাবাকা হলুদ নদী পর্যন্ত এবং টওয়ারিং ছিন লিং থেকে বিশাল ছি লিয়ান পর্বত পর্যন্ত চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং  পাড়ি দিয়েছেন।  সি চিন পিং বলেছেন, পরিবেশ সিপিসি’র দায়িত্ব ও নীতির সঙ্গে জড়িত রাজনৈতিক বিষয়। পাশাপাশি, গণজীবিকার সঙ্গে জড়িত সামাজিক বিষয়।  সুষ্ঠু গণপরিবেশ সবচেয়ে সমতাসম্পন্ন গণপণ্য, যা সবার জন্য কল্যাণকর। নিজের চোখ সুরক্ষার মতো পরিবেশ সুরক্ষা করতে হয়। প্রাণকে মোকাবিলার মতো পরিবেশকে মোকাবিলা করতে হয়।

 

গত ১০ বছরে সবুজ ও নিম্ন কার্বন উন্নয়নের ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। চীনে সরবরাহ ব্যবস্থার কাঠামোগত সংস্কার অনেক উন্নত হয়েছে এবং শৈল্পিক কাঠামো সুবিন্যস্ত হয়েছে।  বেশ কয়েক দফায় উচ্চ-দুষণ তৈরি করে যে প্রতিষ্ঠানগুলো, সেগুলো বাজার থেকে সরে গিয়েছে। জ্বালানি ভোগের ক্ষেত্রে নিম্ন কার্বন নির্গমনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।  চীন বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম দূষণমুক্ত বিদ্যুত উত্পাদন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। নতুন জ্বালানি ও পুনঃব্যবহারযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে চীন বিশ্বের প্রথম স্থান অর্জন করেছে।

 

গত কয়েক বছরে পরিবেশ সুরক্ষা সকল চীনাদের স্বাভাবিক জীবনের স্টাইল এবং সামাজিক মতৈক্যে পরিণত হয়েছে। পরিবেশ রক্ষার সাফল্য সবার চোখে পড়ে এবং সেটাকে স্পর্শও করা যায়। একবার বেশি নিম্ন কার্বন নির্গমনের লক্ষ্যে যাতায়াত করা, একবার বেশি আবর্জনার  ধরণ বিন্যাস করলে পরিবেশ উন্নত হবে এবং যা আমাদের জন্য কল্যাণকর। ঠিক যেমনটি গতকাল (রোববার) পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে সি চিন পিং এক অভিনন্দনবার্তায় বলেছেন: ‘সবার উচিত নিজের প্রচেষ্টায় বাস্তব পদক্ষেপের মাধ্যমে উত্তরপ্রজন্মের সকলের জন্য নীল আকাশ, সবুজ মাটি ও পরিষ্কার পানির সুন্দর উদ্যান সৃষ্টি করা”।

 

 (রুবি/এনাম)