দেহঘড়ির আজকের পর্বে আমরা আলোচনা করেছি কীভাবে স্বাভাবিক ও নিরাপদে সন্তান প্রসব সম্ভব, সে সম্পর্কে। গর্ভবতী মায়েদের নিরাপদ সন্তান প্রসব বলতে নরমাল ডেলিভারিকেই বুঝায়। আগে সন্তান জন্মদানের জন্য নরমাল ডেলিভারিই ছিল স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, কিন্তু বর্তমানে সিজারিয়ান সেকশন অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান জন্মদান বহুগুণ বেড়েছে। সিজারিয়ান সেকশনের প্রবণতা বাড়ার অন্যতম কারণ আধুনিক জীবন-যাপন ও মানসিক অবস্থা এবং নরমাল ডেলিভারিতে মায়েদের অনাকাঙ্ক্ষিত ভয় পাওয়া। বাংলাদেশে বর্তমানে সি-সেকশন অপারেশনের মাধ্য সন্তান জন্মদানের হার প্রায় ৩০ শতাংশ। তবে শুধু শহরাঞ্চলে এই হার অনেক বেশি। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের নেতিবাচক প্রভাব একজন মাকে সারাজীবন বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয়, যা স্বাভাবিক জীবনযাপনকে বিঘ্নিত করে। তবে সম্প্রতি নরমাল ডেলিভারির প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। অনেক চিকিৎসক ও হাসপাতাল এগিয়ে এসেছে এ ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য। নিরাপদ সন্তান প্রসবের জন্য তারা ব্যবহার করছে বিশ্বমানের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। এসব প্রযুক্তির ব্যবহার প্রসূতি মায়েদের পরিচর্যা ও চিকিৎসায় আমূল পরিবর্তন সাধিত করেছে। কীভাবে নিরাপদ নরমাল ডেলিভারি সম্ভব সে সম্পর্কে কথা বলতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আঞ্জুমান আরা রিতা। তিনি কর্মরত সাভারের আশুলিয়ায় নারী ও শিশুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন হাবিবুর রহমান অভি।