জুন ১: চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন গত ২৪ মে এক নিয়মিত সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করে। সম্মেলনে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি’র) অষ্টাদশ জাতীয় কংগ্রেসের পর গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা খাতে অর্জিত সাফল্য এবং গ্রামীণ পুনরুত্থানকাজের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। সিপিসি’র অষ্টাদশ কংগ্রেসের পর চীনে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, সিপিসি’র অষ্টাদশ কংগ্রেসের পর চীনে সুষ্ঠুভাবে স্বাস্থ্য-দারিদ্র্যবিমোচন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়। এতে রোগ-বালাইয়ের কারণে দরিদ্র হয়ে থাকা এক কোটি পরিবার দারিদ্র্যমুক্ত হয়। জেলা ও থানা পর্যায়ে হাসপাতালের সেবা ও দক্ষতাও ব্যাপকভাবে উন্নত হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় শহর ও গ্রামের চিকিত্সাসেবার ব্যবধানও ধীরে ধীরে কমেছে। ফলে বর্তমানে প্রত্যেকটি দারিদ্র্যমুক্ত জেলায় অন্তত একটি সরকারি হাসপাতাল রয়েছে। ৯৮ শতাংশ দারিদ্র্যমুক্ত জেলায় অন্তত একটি দ্বিতীয় স্তরের বা তার উপরের স্তরের হাসপাতাল রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আরও জানান, দারিদ্র্যবিমোচন খাতে কেন্দ্রীয় সরকার ২৫টি প্রদেশে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে মোট ১.৪ ট্রিলিয়ন ইউয়ান বিনিয়োগ করেছে। এতে বিশেষ করে ৮৩২টি দারিদ্র্যকবলিত কাউন্টির চিকিত্সাব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। এসময় গ্রামীণ এলাকায় ১ লাখ চিকিত্সাকর্মী কাজ করেছেন। এসময় টেলিমেডিসিনের আওতায় এসেছে দরিদ্র কাউন্টিগুলো।
সাংবাদিক সম্মেলনে আরও বলা হয়, সিপিসি’র অষ্টাদশ জাতীয় কংগ্রেসের পর থেকে, চীনে গ্রামীণ স্বাস্থ্য খাতে ইতিবাচক অগ্রগতি ও সাফল্য অর্জিত হয়েছে। অনেক তৃণমূল পর্যায়ের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে।
সিপিসি’র কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাষ্ট্রীয় পরিষদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, পশ্চিম চীনের ১০টি প্রদেশে জাতীয় গ্রামীণ পুনরুজ্জীবন সংক্রান্ত ১৬০টি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক জেলা চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব জেলাকে লক্ষ্যযুক্ত সহায়তা দেবে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন।
জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনবিষয়ক কার্যালয়ের পরিচালক হ্য চিন কুও বলেন, গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্যকর পরিবেশ গড়ে তোলার কাজ চালিয়ে যেতে হবে এবং গ্রামীণ বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের আরও উন্নয়নে কাজ অব্যাহত রাখতে হবে। চীনের গ্রামগুলোকে সত্যিকার অর্থেই বাসযোগ্য ও স্বাস্থ্যকর গ্রামে রূপান্তর করতে হবে। (ওয়াং হাইমান/আলিম/ছাই)