'মঙ্গোলিয়ান মানুষ'
2022-05-30 12:53:32

সুপ্রিয় শ্রোতা, আপনারা শুনছেন বেইজিং থেকে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান। এখন শুনবেন তোমার জন্য গান অনুষ্ঠান। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি মুক্তা।

বন্ধরা, আজকের অনুষ্ঠানের শুরুতে আমি আপনাদেরকে চীনের মঙ্গোলীয় জাতির কন্ঠশিল্পী তেন্গ্রির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিবো। তিনি ১৯৬০ সালের ১৫ জানুয়ারি ইনারমঙ্গোলিয়ার ওতোগ বান্নারের জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চীনের কেন্দ্রীয় জাতীয় নাচ-গান গ্রুপের উপপরিচালক। তিনি জাতীয় প্রথম পর্যায়ের অভিনেতা ও চীনা সংগীতজ্ঞ সমিতির সদস্য। তিনি নিয়মিত রাষ্ট্রীয় পরিষদের সরকারি বিশেষ ভাতা পান। তিনি কেন্দ্রীয় জাতীয় সংস্থার শ্রমিক পদক লাভ করেছেন। তিনি জাতীয় মডেল কর্মী পদকও লাভ করেন। প্রথমে শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘কিংবদন্তি’ শীর্ষক গান। আশা করি, আপনারা গানটি পছন্দ করবেন।

(গান ১)

বন্ধুরা, শুনছিলেন তেন্গ্রি’র কণ্ঠে ‘কিংবদন্তি’ শীর্ষক গান। ১৯৮৯ সালে তিনি পপ সংগীত প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন। ১৯৮৬ সালে তিনি ‘মঙ্গোলিয়ান মানুষ’ শীর্ষক গান দিয়ে সারা চীনে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। একই বছরে তিনি প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ১৯৮৮ সালে তিনি নিজের গান প্রযোজনা শুরু করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি চীনা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় পপ সংগীত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান পান। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘মঙ্গোলিয়ান মানুষ’ শীর্ষক গান। গানটির সুর মঙ্গোলীয় জাতির লোকসংগীতের বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।

(গান ২)

বন্ধুরা, শুনছিলেন তেন্গ্রির কন্ঠে ‘মঙ্গোলিয়ান মানুষ’ শীর্ষক গান। ১৯৯২ সালে তিনি তাইপেতে গিয়ে কনসার্ট আয়োজন করেন। এটি হলো গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার পর প্রথম মূল ভূভাগের কন্ঠশিল্পীর তাইওয়ানে আয়োজিত কনসার্ট। ১৯৯৩ সালে তিনি ছাংলাং নামের ব্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি হলেন ব্যান্ডটির প্রধান গায়ক। ১৯৯৪ সালে তিনি চলচ্চিত্রের সংগীত প্রযোজক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তাঁর রচিত চলচ্চিত্র সংগীত ১৯তম মন্ট্রিল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবের শ্রেষ্ঠ সংগীতজ্ঞের পুরস্কার লাভ করে। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘মাংচং’ শীর্ষক গান। মাংচং হলো চীনের চব্বিশটি সৌরপদের নবম সৌরপদ। প্রায় প্রতিবছরের ৬ বা ৭ জুন এ সৌরপদ শুরু হয়। আশা করি, আপনারা এ সুন্দর চীনা লোকসংগীত পছন্দ করবেন।

(গান ৩)

বন্ধুরা, শুনছিলেন তেন্গ্রির কন্ঠে ‘মাংচং’ শীর্ষক গান। ২০০১ সালের জুন মাসে তেন্গ্রি চীনা রাষ্ট্রীয় পরিষদের বিশেষ ভাতা পান। ২০০৪ সালে তিনি শ্রমিক পদক লাভ করেন। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘স্বর্গ’ শীর্ষক গান। গানটি ১৯৯৭ সালে রিলিজ হয়। ২০০১ সালে তেন্গ্রি ‘স্বর্গ’ গানটির ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশ করেন। ২০০০ সালে গানটি চীনের সোনারগান পুরস্কার লাভ করে। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।

(গান ৫)

বন্ধুরা, শুনছিলেন তেন্গ্রি’র কন্ঠে ‘স্বর্গ’ শীর্ষক গান। তেন্গ্রির পরিবারে তিনি ছাড়া আরো চার ভাই-বোন আছে। তাঁর বাবা-মা হলেন স্থানীয় বিখ্যাত কন্ঠশিল্পী। সেজন্য তিনি ছোটবেলা থেকে সংগীতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তাঁর নাম তেন্গ্রি, মঙ্গোলীয় ভাষায় যার অর্থ নীল আকাশের অর্থ। ১৯৭৫ সালে তিনি ইনার মঙ্গোলিয়ার শিল্প বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। প্রথমে তিনি নাচ শিখতেন। কিন্তু নাচে তেমন একটা সুবিধা করতে পারেননি। পরে তিনি বাদ্যযন্ত্র শিক্ষা শুরু করেন। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘আমার প্রেমের জন্মস্থান’ শীর্ষক গান। গানটি ১৯৮৭ সালে রিলিজ হয়। গানটি হলো চীনের একটি ক্লাসিক্যাল গান। প্রথমে গেয়েছেন ফান লিন লিন। আশা করি, আপনারা তেন্গ্রি’র কন্ঠে গানটি পছন্দ করবেন।

(গান ৬)

প্রিয় শ্রোতা, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আমাদের অনুষ্ঠানে আপনারা কোনো পছন্দের গান শুনতে চান, তাহলে জানাবেন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা ben@cri.com.cn। আর আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা caiyue@cri.com.cn। 'গানের অনুরোধ' আমার নিজস্ব ই-মেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিন, একই সময়ে আবারো আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। চাই চিয়ান। (ছাই/আলিম)