শাংহাইয়ে মহামারী, স্নাতক শিক্ষার্থী, ও চাকরির বাজার
2022-05-30 17:10:53

মার্চ মাস থেকে চীনের শাংহাইতে মহামারীর কারণে শহরের অনেক এলাকা অস্থায়ীভাবে লকডাউন করা হয়। তারপর কেটে গেছে প্রায় দুই মাস। মে মাস বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, অধিকাংশ স্নাতক ডিগ্রিধারীর এ সময় চাকরি পেয়ে থাকে। শাংহাই মহানগরের উপমেয়র ছেন ছুনের প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, চলতি বছর শাংহাইয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীদের সংখ্যা ২ লাখ ২৭ হাজার জনেরও বেশি, যা গত বছরের তুলনায় ২০ হাজার জনেরও বেশি। ৬ই মে পর্যন্ত তাদের ৩৬.৪৭ শতাংশের চাকরি হয়, যা ২০২০ সালের একই সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি এবং ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় ৬.৫২ শতাংশ কম। এ সম্পর্কে ছেন বলেন, চলতি বছর কর্মসংস্থানের চাপ একটু বেশি। তবে সমাজের বিভিন্ন মহলের সহায়তায় তারা এ কাজে যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করছেন।

    চীনের হুয়াংতুং নর্মাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স শিক্ষার্থী গত ৫০ দিন ধরে ‘পরীক্ষা ভবনে’ বসবাস করছেন। কারণ, মার্চ মাসে তিনি ক্লাসরুমে একটি ভিডিও শুটিং করতে চেয়েছিলেন। ভিডিও করে উচ্চবিদ্যালয়ে পাঠানোর কথা। কারণ, স্নাতক হওয়ার পর তিনি উচ্চবিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হতে চান। অতীতকালে জীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা স্নাতক হওয়ার পর বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে চাকরি নিতে আগ্রহী হতো, কারণ সেখানে কাজের পরিবেশ আর বেতন ভালো। তবে চলতি বছর তাঁর অনেক সহপাঠী স্কুলের শিক্ষকের পদ বেছে নিয়েছে। মহামারীর কারণে অনেক কোম্পানির আয় হ্রাস পেয়েছে, কিন্তু শিক্ষকদের মাসিক বেতন কমেনি। এ চাকরি স্থিতিশীলও বটে।   অনলাইন সাক্ষাত্কারে অংশ নেওয়ার পর দুটি মাধ্যমিক স্কুল ও একটি উচ্চ বিদ্যালয় তাঁকে অফার লেটার পাঠিয়েছে।

 

১৯শে এপ্রিল চীনের একটি জরিপ থেকে জানা গেছে, যদিও চীনের বড় শহরের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ৬৫ শতাংশেরও বেশি এ শহরে বসবাস করে থাকে, তবে ২০০০ সালের পর জন্মগ্রহণকারী নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা স্নাতক হওয়ার পর দ্বিতীয় বা মাঝারি পর্যায়ের শহরেও যেতে আগ্রহী। এ সংখ্যা ১৯৯০ সালের পর জন্মগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যার চেয়ে ৭ শতাংশ বেশি।

 

এ সম্পর্কে চীনের চেচিয়াং প্রদেশের তেছিং শহরের একটি ত্বকের যত্ন কোম্পানির মানবসম্পদ বিভাগের কর্মী বলেন, মহামারীর কারণে আমদানি ও রপ্তানি শিল্পের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই এ খাতে কর্মসংস্থারের সুযোগও ব্যাপকবাবে হ্রাস পেয়েছে।

 

শাংহাই সমুদ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সিপিসি’র সম্পাদক ওয়াং হং চৌ নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনলাইনে লাইভ অনুষ্ঠান করেছেন। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য চাকরির সুযোগ খুঁজে পেতে চেষ্টা করেছেন। মার্চ মাসের শেষ দিক থেকে মে মাস পর্যন্ত টানা ১২ বার লাইভ অনুষ্ঠান করেছেন তিনি। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, “শাংহাইয়ে মহামারীর কারণে লকডাউন হয়েছে। কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের কাজ মহামারীর পর শুরু করলে চলবে না। তাই সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সাথে অনলাইন-সাক্ষাত্কারের ব্যবস্থা করেছি। পরে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগ সরাসরি আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছে, সেরা শিক্ষার্থীদের নিয়োগ করার জন্য।”

 

এ সম্পর্কে শাংহাই সমুদ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসংস্থানের পরিষেবা কেন্দ্রের পরিচালক সুন হং কাং বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে মোট ৭৫৫টি কোম্পানির জন্য মোট ১৫ ধরনের স্নাতক শিক্ষার্থীকে আলাদা গ্রুপ করা হয়েছে, যাতে নির্দিষ্টভাবে উপযোগী শিক্ষার্থীদের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাছে সুপারিশ করা যায়।

 

হুয়াতুং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কু ই চিয়াং ২৬৪ জন স্নাতক শিক্ষার্থীর কর্মসংস্থানের জন্য ব্যস্ত। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমাদের বিভাগের কয়েকজন ছাত্র ছাত্রীর মাস্টার্স প্রাথমিক পরীক্ষার ফলাফল খুব ভালো নয়, তাই তারা দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা ছেড়ে দিতে চায়।” তিনি প্রত্যেকের পরীক্ষার স্কোর এবং গত কয়েক বছরের পরীক্ষার মান বিবেচনা করেন এবং তাদেরকে অন্য মেজরে মাস্টার্স ডিগ্রীর জন্য বিবেচনা করেন।  এভাবে ৯ জন শিক্ষার্থী নতুন মেজর বেছে নিয়ে মাস্টার্স পরীক্ষায় পাস করেছে। তা ছাড়া, শিক্ষার্থীদের চরিত্র ও প্রাধান্য বিবেচনা করে উপযোগী চাকরির সুপারিশও করেন শিক্ষক কু।

 

চলতি বছরের স্নাতক শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে শাংহাই পৌর সরকারও কয়েকটি সুবিধাজনক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যেমন, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শুল্ক বাতিল করা বা ভর্তুকি দেওয়ার মাধ্যমে স্নাতক শিক্ষার্থীদের নিয়োগে উত্সাহ দেওয়া। অগাস্ট মাসের শেষ দিক পর্যন্ত ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন পর্যায়ের অনলাইন চাকরি মেলা আয়োজন করা হয়।

 

শাংহাই আইন ও রাজনীতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষক লিউ কাং বলেন, চলতি বছর শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান ও মাস্টার্স পরীক্ষার আবেদনের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় খুব বেশি নয়। তবে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অধিকাংশই সরকারি অফিসার বা মাস্টার্স ডিগ্রী পড়াশোনায় বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়। টানা কয়েক বছর ধরে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার দৃশ্যও সহজে দেখা দেয়।

 

তবে বিদেশে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের জন্য চলমান পরিস্থিতি একটু চ্যালেঞ্জিং। মেয়ে সিয়াও হুয়াং শাংহাই চিয়াওথং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী। অনলাইন সাক্ষাত্কার ও ভিডিও সিভি দেওয়ার মাধ্যমে তিনি ইউরোপ ও আমেরিকার কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার পেয়েছেন। নিজের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে হুয়াং বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ২ বছর আগে অনলাইন সাক্ষাত্কার শুরু করে। তবে চলতি বছর কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আবেদন করা ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। তারা কেবল একটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নজর রাখে না, বরং ইউরোপ ও আমেরিকার কয়েকটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়েও আবেদন করেছে।

 

হুয়াং আরও বলেন, তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার, গণিত, পদার্থবিদ্যা ও রসায়নসহ বিভিন্ন মেজরের আবেদনকারী শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে বিদেশে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রস্তুতি নিয়েছে। তারা ট্রেনে বসে নানচিং বা হাংচৌ শহরে ১৪ দিনের মতো কোয়েন্টিনে থাকে, তারপর স্থানীয় দূতাবাস থেকে ভিসার আবেদন করে। অতীতে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসার জন্য আবেদনের ৪ থেকে ৮ সপ্তাহের মতো সময় হাতে রাখতে হতো। তবে মহামারীর কারণে আরও এক মাস বেশি সময় লাগছে। তাই মে মাস থেকে অগাস্ট মাসের শেষ দিক পর্যন্ত ৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে প্রস্তুতি নিতে হয়। সব ঠিক হলে সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবে তারা।

 

মেয়ে হুয়াং মার্কিন জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের নিটশে আন্তর্জাতিক রাজনীতি একাডেমির অফার পেয়েছে। অগাস্ট মাসের শেষ দিকে তিনিও বিদেশে যাবেন। প্রথম বর্ষে ইতালির বোলোগলায় পড়াশোনা করবেন। যদিও ইউরোপে যাওয়ার ভিসা কঠিন ব্যাপার নয়, কিন্তু বিমানে টিকিট ও বাড়ি ভাড়া করা একটু মুশকিল ব্যাপার।

 

আসলে মহামারী প্রতিরোধ করার পাশাপাশি স্নাতক শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত করা অতি কঠিন ব্যাপার। শাংহাই একটি মহানগর, শহরবাসীদের সংখ্যাও বেশি, তাই এ পরিস্থিতিতে মহামারীর প্রাদুর্ভাব এড়িয়ে যথাযথভাবে স্নাতক শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়িয়ে দেওয়া চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনা। এ উপলক্ষ্যে কিছু সুবিধাজনক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করা হয়েছে। যেমন, শাংহাই শহরের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্রিয়ভাবে শ্রম বাজারের চাহিদা সম্প্রসারণ করতে এবং আরো বেশি স্নাতক শিক্ষার্থী নিয়োগ করতে উত্সাহ দেওয়া হয়েছে। শহর পর্যায়ের রাষ্ট্রীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বার্ষিক নিয়োগ পরিকল্পনায় কমপক্ষে অর্ধেক কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। যথেষ্ঠ স্নাতক শিক্ষার্থী গ্রহণ করলে ৩ বছরের মধ্যে বাস্তব নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন কর্মীর সংখ্যা অনুসারে বার্ষিক মাথাপিছু ৭৮০০ ইউয়ানের ভর্তুকি দেবে সরকার। যদি বেসরকারি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি স্নাতক শিক্ষার্থী নিয়োগ করে এবং ১ বছর মেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর করে, তাহলে সামাজিক বীমার ভর্তুকির জন্যও আবেদন করা যাবে। তা ছাড়া, শাংহাই শহরের সামাজিক দাতব্য সংস্থার ভুমিকা জোরদার করে স্নাতক শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানে ধারাবাহিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। স্নাতক শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেরাদের বেছে নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার হবে, যাতে তারা বিভিন্ন আবাসিক কমিউনিটির তৃণমূলের প্রশাসনিক অফিসে চাকরি করতে পারে।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মসংস্থানের ইন্টারশিপ সুযোগ দেওয়াও আরেকটি উত্সাহব্যাঞ্জক পদক্ষেপ। যারা শাংহাই শহরের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছে, তারা সর্বোচ্চ ১২ মাসের ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেত পারে। ইন্টার্নশিপের কাজ চলাকালে শিক্ষার্থীরা শহরের কর্মীদের গড় নিম্নপর্যায়ের বেতনের ৮০ শতাংশ পেতে পারে, যাতে তাদের খাওয়া থাকার খরচ বহন করা যায়। যারা ইন্টার্নশিপ কাজে সহায়তা দেয়, এমন শিক্ষকরাও কিছু ভর্তুকি পেতে পারে। যদি ইন্টার্নরশিপের মেয়াদ শেষ হলে শিক্ষার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে প্রত্যেক শিক্ষার্থী গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে ৫০০০ ইউয়ান করে ভর্তুকি দেবে স্থানীয় সরকার।

 

সরকার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন কোম্পানিসহ বিভিন্ন দিক থেকে স্নাতক শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার সাথে সাথে দরিদ্র স্নাতক শিক্ষার্থীদের সহায়তা নীতিও চালু হয়েছে। যারা নিজের উদ্যোগে কোম্পানি প্রতিষ্ঠার আগ্রহ আছে, তারা মাসিক ১০০০ ইউয়ান ভর্তুকি পেতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর দুই বছরের মধ্যে যদি নিজের উদ্যোগে ক্ষুদ্র শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি চালু করতে পারে কেউ, তাবে সে সামাজিক বীমার ভর্তুকির জন্যও আবেদন করতে পারে এবং ২৪ মাস ধরে তা পেতে পারে। যদি স্নাতক হওয়ার বর্ষে সংশ্লিষ্ট কারিগরি প্রশিক্ষণের প্রমাণপত্র পায় কেউ, তাহলেও কারিগরি প্রশিক্ষণে ভর্তুকি পেতে পারবে।

 

স্নাতক শিক্ষার্থীদের নিজেদের উদ্যোগে কোম্পানি চালু করতে উত্সাহ দেয় শাংহাই পৌর সরকার। স্নাতক বর্ষে নিবন্ধিত হলে ৩ বছর ধরে প্রতি বছরে ১৪ হাজার ৪০০ ইউয়ানের শুল্ক রেয়াত পাবে তারা। যারা শাংহাইবাসী, তাদের কেউ যদি স্নাতক হওয়ার ২ বছরের মধ্যে নিজের কোম্পানি চালু করে এবং কোম্পানির কর্মীদের জন্য সময়মতো টানা ৬ মাস সামাজিক বীমার অর্থ জমা দেয়, তাহলে সে-ও কর্মীপ্রতি ৮০০০ ইউয়ান করে ভর্তুকি পেতে পারে।

 

    শাংহাই কলেজ শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবসা তহবিল সংস্থাও ব্যক্তিগত কোম্পানির উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ দেয়। তাদের সংশ্লিষ্ট প্রকল্প আবেদন হলে ৫ লাখ থেকে ৭ লাখ ইউয়ানের বাজেট আবেদন করা যায় এবং নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে ৩ মাস পর ঋণ পরিশোধ করা যায়।

 

    মোদ্দাকথা, শাংহাইয়ের স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুন্দর ভবিষ্যত ও সুখী জীবন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন দিক থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট সুবিধাজনক নীতিও চলতি বছরের শেষ দিক পর্যন্ত বজায় থাকবে। আশা করি, শাংহাইয়ের স্নাতক শিক্ষার্থীরা যৌথভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে কর্মসংস্থান বা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে, সবাই এ বিশেষ পরিস্থিতিতে জটিলতা মোকাবিলা করে নিজের জীবন সুন্দরভাবে কাটানোর সুযোগ পাবে।

 

 (সুবর্ণা/আলিম/মুক্তা)