মে ২৬: পঞ্চম চীনের আন্তর্জাতিক আমদানি এক্সপোর উদ্বোধন হতে আরও পাঁচ মাসেরও বেশি সময় বাকি। চীনের আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা ব্যুরো গত ১৮ মে জানিয়েছে যে, বর্তমানে বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক কাজ সুষ্ঠুভাবে চলছে। মেলায় অংশগ্রহণেচ্ছু শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যেই মেলার প্রদর্শনী-এলাকার ৭০ শতাংশের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। বিশ্বের ৫০০টি সবচেয়ে শক্তিশালী ও নেতৃস্থানীয় কোম্পানির ২৪০টিরও বেশি মেলায় অংশগ্রহণ করবে বলে নিশ্চিত করেছে। অনেক বিদেশী অংশগ্রহণেচ্ছু ব্যবসায়ী বলেন, চীনা বাজারে অব্যাহতভাবে কাজ করতে এবং ব্যবসা আরও সম্প্রসারণ করার ব্যাপারে তারা আশাবাদী।
পাঁচ বছর আগের এক ১৪ই মে চীন আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা আয়োজনের ঘোষণা দেয়। বিগত পাঁচ বছর ধরে সিআইআই একটি প্রধান অর্থনৈতিক ইভেন্ট হিসাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করে আসছে। নতুন উন্নয়ন-প্যাটার্ন, উচ্চ-স্তরের উন্মুক্ততার বাহক, এবং বহুপাক্ষিকতার মঞ্চ হিসেবে বিশ্বের কাছে এটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক পাবলিক পণ্য সরবরাহ করেছে, দেশে এবং বিদেশে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে এবং ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
চীনের আন্তর্জাতিক আমদানি এক্সপো ব্যুরোর ডেপুটি ডিরেক্টর সুনছেংহাই বলেন, পঞ্চম সিআইআইই নির্ধারিত সময়ে আয়োজিত হওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বর্তমানে বৈশ্বিক মহামারী পরিস্থিতির উন্নয়নের সাথে সাথে সকল দেশ অর্থনৈতিক মন্দা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় একটি উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক আমদানি মেলার সফল আয়োজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সুনছেংহাইয়ের মতে, দেশে মহামারীসহ অপ্রত্যাশিত ও আকস্মিক ফ্যাক্টরের প্রেক্ষাপটেও পঞ্চম আমদানি এক্সপোর বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক কাজ সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে চলছে। বিগত দুই মাসে ৩০টির বেশি অনলাইন তত্পরতা আয়োজন করা হয়েছে। সুনছেংহাই বলেন, ‘মেলার চুক্তিকৃত এলাকা পরিকল্পিত এলাকার ৭০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বের ৫০০টি শক্তিশালী ও নেতৃস্থানীয় কোম্পানির ২৪০টি মেলায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। ওষুধ, চিকিত্সা-সরঞ্জাম ও অটোমোবাইল এবং অন্যান্য শিল্পে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি সুপরিচিত কোম্পানি প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা চীনা বাজারের ওপর তাদের আস্থার প্রতিফলন।"
বিদেশী প্রদর্শক এবং ফাইজার বায়োফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ চায়নার প্রেসিডেন্ট ফেং চেন খ্য বিশ্বাস করেন যে, কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যেও চীনের ক্রমাগত উন্মুক্তকরণ কোম্পানিগুলোর আস্থা বাড়িয়েছে।
বড় বড় পরিবর্তন, মহামারী, ইত্যাদি কোনোকিছুই চীনের উন্মুক্তকরণের গতি থামাতে পারেনি। চীন সবসময় একটি প্রধান দেশ হিসাবে তার দায়িত্ব পালন করে আসছে এবং প্রতিবছর সাফল্যের সাথে আন্তর্জাতিক আমদানি এক্সপো আয়োজন করে আসছে। এতে চীনের বাজারের ওপর বিদেশিদের আস্থা যেমন বাড়ছে, তেমনি চীনের নিজের আত্মবিশ্বাসও ক্রমাগত বাড়ছে। (ওয়াং হাইমান/আলিম/ছাই)