গতকাল (মঙ্গলবার) দক্ষিণ টেক্সাসের উভালদ শহরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক বন্দুকধারীর গুলিতে কমপক্ষে ১৯ শিশু এবং দুই শিক্ষক নিহত হয়েছেন। সেসঙ্গে বন্দুকধারীও নিহত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে যখনই এমন দুর্ঘটনা ঘটে, তখনই বন্দুক নিয়ন্ত্রণের কথা আসে। কিন্তু দুই সপ্তাহ পরে কেউ আর এই সম্পর্কে কথা বলে না এবং কিছুই পরিবর্তন হয় না। এটি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নির্মম বাস্তবতা। বন্দুক নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সবসময় মানুষের মনেই থেকে যায়, কখনো বাস্তবায়ন হয় না।
আগের প্রতিটি শুটিংয়ের মতোই এবারও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন। তবে এটি সবাই অনুমান করতে পারে যে, তারপর আর কিছুই হবে না। কারণ এতে স্বার্থান্বেষী মহলের স্বার্থে আঘাত লাগবে। শতাধিক বছরেরও বেশি পুরনো ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনের (এনআরএ) যুক্তরাষ্ট্রের খুব প্রভাবশালী একটি সংস্থা। প্রেসিডেন্টকেও তাদের বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থিত হতে হয়। তাদের ইচ্ছার বিপরীতে গিয়ে কোনো প্রেসিডেন্টই কিছুই করতে পারে না।
এবারের ঘটনার শিকারদের অধিকাংশই শিশু। আঠারো বছর বয়সী বন্দুকধারী নিজেও একটি হাইস্কুলের শিক্ষার্থী। এ দুর্ঘটনায় অনেকগুলো সম্ভাবনাময় জীবন নিমিষেই শেষ হয়ে গেছে।
তাই অনেকে বলছে, মার্কিন সরকার মানবাধিকার রক্ষা করার কথা বার বার বলে থাকে, তবে বাস্তবতা হল তারা এ ক্ষেত্রে কিছুই করেনি বা করতে পারেনি।
গত একমাসে যুক্তরাষ্ট্রে ৩৩টি শুটিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। আমেরিকান গান ভায়োলেন্স আর্কাইভস ওয়েবসাইটের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২০ মে পর্যন্ত, এই বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতায় সাড়ে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। তার পরেও সবাই জানে, যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতার এটাই শেষ ঘটনা নয়। এটাই সবচেয়ে দুঃখজনক বাস্তবতা।
(শিশির/এনাম/রুবি)