মে ২৪: গতকাল (সোমবার) আসন্ন ৭৫তম বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিবেশনে তাইওয়ানের যোগদান-সংক্রান্ত প্রস্তাব প্রত্যাখানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিবেশন তাইওয়ানের যোগদান-বিষয়ক প্রস্তাব টানা ছয়বছর ধরে নাকচ হয়ে আসছে। তাতে পূর্ণভাবে দেখা যায় যে, একচীন নীতি হচ্ছে আন্তর্জাতিক সমাজের ব্যাপক মতৈক্য। কেউ তা চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না। যারা তাইওয়ানের বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিবেশনে অংশগ্রহণকে সমর্থন করে, তারা অবশ্যই ব্যর্থ হবে।
এবারের বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিবেশন হচ্ছে মহামারী দেখা দেয়ার পর সরাসরি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রথম অধিবেশন। ঐক্যবদ্ধভাবে মহামারী প্রতিরোধ করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক সমাজের অভিন্ন প্রত্যাশা। তবে মহামারী প্রতিরোধে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যর্থ দেশ আগের মত আবারও অধিবেশ আয়োজনের প্রাক্কালে ‘তাইওয়ানের বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিবেশনে অংশগ্রহণকে সমর্থন দেয়ার’ অপচেষ্টা চালিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, বৃটেন, কানাডা ও জাপানও সে দেশটির সাথে একই কাজ করেছে। তাদের সত্যিকারের লক্ষ্য হচ্ছে তাইওয়ানকে ব্যবহার করে চীনকে নিয়ন্ত্রণ করা। তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদীরাও বাইরের শক্তির ওপর নির্ভর করে মহামারী নিয়ন্ত্রণের নামে তাদের বিচ্ছিন্নতার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার অপচেষ্টা করছে। তবে বাস্তবতা প্রমাণ করেছে যে, তা তাদের একটি দিবা স্বপ্ন বৈ আর কিছুই নয়।
তাইওয়ান হচ্ছে চীনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক সব সংস্থাকে তাইওয়ান বিষয়ে একচীন নীতি মেনে চলতে হবে। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত, তাইওয়ান ‘চাইনিজ তাইপে’ নামে পর্যবেক্ষক হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেছিল। তখন তাইওয়ান প্রণালীর দুপারেই একচীন নীতি বজায় ছিল। দুপক্ষ আলোচনার মাধ্যমে এ বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছিল। তবে, ২০১৬ সাল থেকে তাইওয়ানের গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল দল বিচ্ছিন্নতার অপচেষ্টা করে আসছে। ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিবেশনে তাইওয়ানের অংশগ্রহণের রাজনৈতিক কোনো ভিত্তি নেই।
একচীন নীতি চ্যালেঞ্জ করে স্বাস্থ্যের মতো বিষয়কে নিয়ে রাজনীতি করে কোনো সুফল পাওয়া যাবে না। যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের সংশ্লিষ্ট আচরণ বিশ্ববাসী ইতোমধ্যে স্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছে। তারা অবশ্যই ব্যর্থ হবে।
(আকাশ/এনাম/রুবি)