মে ২৪: লুওছু হলেন তিব্বতের তাংসিয়ং জেলার একজন গ্রামীণ জনকল্যাণমূলক চলচ্চিত্র প্রজেকশনিস্ট। ১৯৮৫ সাল থেকে তিনি আলোছায়া-র মাধ্যমে শিল্প ও সংস্কৃতির সাথে তিব্বতের কৃষক ও পশুপালকদের সেতুবন্ধন গড়ে তুলছেন। লুওছু উত্তর তিব্বতের দুই শতাধিক গ্রামের প্রায় সবকটিতে চলচ্চিত্র প্রজেকশন করেছেন।
তাংসিয়ং জেলা লাসা শহরে অবস্থিত। জেলাটি সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪৩০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। এটি লাসা শহরের প্রধান পশুপালনকেন্দ্র।
দশ বছর বয়সে লুওছু প্রথম চলচ্চিত্র দেখেন। লোহার বাক্সে প্রজেক্টর মেশিন ছিল তাঁর কাছে রহস্যময়। স্থানীয় বাসিন্দারা চলচ্চিত্র দেখে অনেক খুশি। তিনি বলেন, তখন গ্রামের প্রায় সবাই নির্দিষ্ট চত্বরে এসে চলচ্চিত্র দেখতেন।
বড় হওয়ার পর লুওছু চলচ্চিত্র প্রজেকশনের কাজ পান। পরে তিনি স্থানীয় গ্রামীণ জনকল্যাণমূলক চলচ্চিত্র প্রজেকশনিস্টে পরিণত হন।
গত শতাব্দীর ৮০ ও ৯০-এর দশকে স্থানীয় পশুপালক ও কৃষকদের সাংস্কৃতিক জীবন বলে কিছু ছিল না। তাদের জন্য চলচ্চিত্র দেখা ছিল কঠিন ব্যাপার। লুওছু একটি ট্রাক্টর চালিয়ে চলচ্চিত্র প্রজেকশনের বিভিন্ন যন্ত্র ও সরঞ্জাম নিয়ে তাংয়িংয়ের বিভিন্ন গ্রামে চলচ্চিত্র প্রজেকশন করেন। গ্রামে গ্রামে সিনেমা প্রজেকশন করতে কমপক্ষে তিন মাস সময় লাগে।
লুওছু বলেন, ‘যখন পর্দা ওঠে, গ্রামবাসীর মুখে হাসি ফোটে, তা দেখে আমি সন্তুষ্ট হই!’ (ইয়াং/আলিম/ছাই)