আজ আমরা একটি গল্প শেয়ার করবো, তা হলো সি চিন পিং ও চায়ের গল্প। যখন চা পান করার কথা আসে, আমি বিশ্বাস করি যে প্রথম যে দেশটির কথা মনে পড়ে, তা হলো- চীন।
চায়ের আদি শহর এবং চা সংস্কৃতির জন্মস্থান চীন। চীনা জাতির পাঁচ হাজার বছরের সভ্যতায় প্রতিটি মুহূর্ত চায়ের গন্ধে ভরে ওঠে।
সি চিন পিং একবার দৃঢ়ভাবে চা সংস্কৃতি, চা শিল্প এবং চা প্রযুক্তি উন্নয়নে সমন্বয় করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এই ছোট চা পাতা সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিংয়ের মনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
২০২১ সালের ২২ মার্চ সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং ফুচিয়েন প্রদেশের উইয়ি এলাকার একটি গ্রাম পরিদর্শন করছিলেন, বসন্ত চায়ের বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করতে এবং স্থানীয় চা শিল্পের বিকাশ সম্পর্কে জানতে স্থানীয় পরিবেশগত চা বাগানে যান তিনি।
তিনি গ্রামবাসীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আগে চা শিল্প ছিল এখানকার দারিদ্র্য বিমোচনের স্তম্ভ।ভবিষ্যতে এটি গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনের স্তম্ভ শিল্পে পরিণত হবে। ’
যখন তিনি নিংদ্যতে কাজ করেছিলেন, সি চিন পিং চারবার প্রাচীন চা গ্রাম থানইয়াং গ্রাম পরিদর্শন করেন। তিনি বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা এবং ব্র্যান্ডিংয়ের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন। এ ছাড়া তিনি ব্যক্তিগতভাবে চায়ের জাত উন্নয়ন এবং চায়ের মান উন্নয়নের নির্দেশনা দেন।
আজ, চা শিল্প তানিয়াং গ্রামের কৃষকদের দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দেওয়া এবং ধনী হওয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক শিল্পে পরিণত হয়েছে। গ্রামের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশের বেশি চায়ের সঙ্গে জড়িত এবং ২০২০ সালে মাথাপিছু নিষ্পত্তিযোগ্য আয় ২০ হাজার ইউয়ান ছাড়িয়েযায়। চা শিল্পের বিকাশ হল "স্বচ্ছ পানি ও সবুজ পর্বত হল অমূল্য সম্পদ"—এই ধারণার একটি চমৎকার ব্যাখ্যা।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ঘোষণা করেছে যে প্রতি বছর ২১ মে "আন্তর্জাতিক চা দিবস" হিসাবে মনোনীত করা হয়। ২০২০ সালের ২১ মে প্রথম "আন্তর্জাতিক চা দিবসে" সি চিন পিং "আন্তর্জাতিক চা দিবস" সিরিজ কার্যক্রমের জন্য উষ্ণ অভিনন্দন জানাতে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তিনি উল্লেখ করেন যে- জাতিসংঘ কর্তৃক "আন্তর্জাতিক চা দিবস" প্রতিষ্ঠা চায়ের মূল্যের প্রতি আন্তর্জাতিক সমাজের স্বীকৃতি ও মনোযোগ প্রতিফলিত করে। পাশাপাশি চা শিল্প পুনরুজ্জীবিত করা এবং চা সংস্কৃতি উন্নয়নে এটি অনেকতাৎপর্যপূর্ণ।
প্রাচীন রেশমপথ, প্রাচীন চা-হর্সরুট এবং প্রাচীন চা-জাহাজ পথ থেকে শুরু করে, আজকের রেশমপথ অর্থনৈতিক বেল্ট এবং ২১ শতকের মেরিটাইম রেশমপথ, চা ইতিহাস ও সীমানা অতিক্রম করেছে এবং সারা বিশ্বের মানুষের পছন্দে পরিণত হয়েছে।
জিনিয়া/তৌহিদ/শুয়েই