মে ১৯: দ্বন্দ্বের পরিবর্তে সংলাপ, বাধার পরিবর্তে একীকরণ, একচেটিয়াকরণের পরিবর্তে অন্তর্ভুক্তিকরণ, এবং ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচারের ধারণার সাথে বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থার সংস্কারে নেতৃত্ব দিতে হবে। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গতকাল (বুধবার) চীনা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ত্বরান্বিত কমিশন প্রতিষ্ঠার ৭০তম বার্ষিকী তথা বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক বিনিয়োগ ত্বরান্বিত শীর্ষ সম্মেলনে এক অনলাইন ভাষণে এ সব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে ২০২২ সালে বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৩.৬ শতাংশে নামিয়ে দিয়েছে। এটি পূর্বানুমানের চেয়ে ০.৮ শতাংশ পয়েন্ট কম। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়ে বিশ্বের অর্থনীতি কিভাবে সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে পারে? চীনের উত্তর হলো: ব্যাপকভাবে একীকরণ অর্থনীতি উন্নত করবে।
বর্তমানে মার্কিন সরকার ‘ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক কাঠানো’ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। সেদেশ চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে নিজের অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত আধিপত্য সুরক্ষার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
আসলে ‘বিচ্ছিন্নতা’ বাজারের চাহিদার বিপরীত। ২০২১ সালে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যের পরিমাণ আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি ছিল। অর্থের বিচারে যা ছিল ৭৫৫.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি ইতিহাসের নতুন রেকর্ড। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত চীনে যুক্তরাষ্ট্রের আসল বিনিয়োগের পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫৩.২ শতাংশ বেশি ছিল।
বস্তুত, সহযোগিতা ও অভিন্ন কল্যাণ হলো সময়ের অপ্রতিরোধ্য প্রবণতা। বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উন্নয়ন হলো বিশ্বের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। (ছাই/আলিম)