গত এপ্রিলে চীনের প্রথম আনুষ্ঠানিক এফওয়ান ড্রাইভার চৌ কুয়ান ইউ’র প্রথম শো হয়। মাত্র ২২ বছর বয়সী চৌ কুয়ান ইউ বিশ্বকে এফওয়ান এরিনার ‘চীনা গতি’ দেখাতে চান।
বিদেশীদের চোখে বর্তমান চীনা তরুণ-তরুণীরা কেমন? আজকের অনুষ্ঠানে আমি এ বিষয় নিয়ে কিছু কথা বলবো।
থিয়ানচিন বিশ্ববিদ্যালয়ের তুর্কমেনিস্তানের শিক্ষার্থী মুহান বলেন, হুনান প্রদেশের একজন মেয়ের গল্প তাঁকে মুগ্ধ করে। মুহান বলেন, হুনান প্রদেশের মেয়ে চিয়াং মেং নান একবার দুর্ঘটনায় হঠাত্ বধির হয়ে যান। তবে তিনি পরিশ্রম করে মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন।
মুহান বলেন, এ মেয়ে নিজের কঠিন সমস্যার সমাধান করে সামনে এগিয়ে যেতে থাকে। আমার সকল চীনা সহপাঠী সবসময় পরিশ্রম করে থাকেন। চীনা মানুষ খুবই পরিশ্রমী।
এছাড়াও মুহান বলেন, চীনা তরুণ-তরুণীদের আগ্রহ বেশি। তাঁর একজন চীনা বন্ধু কংফু পারেন, পিয়ানোও বাজানো পারেন। মুহান মনে করেন, চীনারা ছোটবেলা থেকে অনেককিছু শিখে থাকে।
এদিকে, থিয়ানচিন ফরেন স্টাডিজ ইউনিভার্সিটির ইউরোপীয় ভাষা ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট’র জার্মান বিভাগের বিদেশী শিক্ষক ক্রিস গুবার মনে করেন, তাঁর চীনা শিক্ষার্থীরা পরিশ্রমী, উন্মুক্ত, আগ্রহী, সহনশীল ও সাহসী।
তাঁর শিক্ষার্থীরা চীন-জার্মান সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বেশি অবদান রেখে চলেছে।
গত এপ্রিলে চীন ‘নতুন যুগে চীনা যুবক’ নামের শ্বেতপত্র প্রকাশ কর। থিয়ানচিন ইউনির্ভাসিটি’র স্কুল অফ আর্কিটেকচার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ইয়েমেনের মোতিন এ সম্পর্কে বলেন, চীনে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৪.৭ লাখ জন কর্মী গ্রামে গিয়ে শিক্ষা, চিকিত্সা ও কৃষি কাজে অংশ নিয়েছেন। লক্ষ লক্ষ যুবশিক্ষার্থী দারিদ্র্যবিমোচন ও গ্রামের পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনায় অংশ নিয়েছেন।
মোতিন বলেন, আমার জন্মস্থান গ্রামে অবস্থিত। এ বিষয় জেনে আমি মুগ্ধ। চীনা তরুণ-তরুণীরা চীনা জাতির পুনরুজ্জীবন বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন। এটি হলো চীনের সমৃদ্ধ হওয়ার একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
থিয়ানচিন ইউনির্ভাসিটির ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি একাডিমি’র জাপানি আমেরিকান অধ্যাপক নাকামুরা ফুমহিকো বলেন, অনেক চীনা যুবক গ্রামে শিক্ষা কাজে অংশ নেন। তাঁরা গ্রামীণ শিশুদেরকে নিজেদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাহায্য করেন। আমি তাঁদেরকে সম্মান করি।
গত বছরের জুলাই মাসে মুহান কাসু প্রদেশের থুওছাং জেলা পরিদর্শন করেন। তিনি চীনা গ্রামের নতুন পরিবর্তন দেখেছেন। তিনি বলেন, স্থানীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা থিয়ানচিন ইউনির্ভাসিটি’র অধ্যাপকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে বিশেষ ক্লাসের মাধ্যমে। এ পদ্ধতিতে গ্রামীণ শিক্ষার্থীরা বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। এ ক্লাসকে বলা হয়, স্বপ্নের ক্লাস।
পেইতৌ উপগ্রহ গ্রুপের প্রধান কর্মীদের গড় বয়স মাত্র ৩৬ বছর। চীনা স্কাইআই ফাস্ট গবেষণা গ্রুপের কর্মীদের গড় বয়স মাত্র ৩০ বছর। চীনা যুবকরা নিজেদের উদ্ভাবনী ক্ষমতার পরিচয় দিচ্ছে এবং চীনও যুবক-যুবতীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। (ছাই/আলিম)