ফিলিস্তিনে ৭৪তম নাকাবা দিবস উপলক্ষ্যে বিক্ষোভ মিছিল আয়োজিত
2022-05-16 14:27:58

মে ১৬: স্থানীয় সময় গতকাল (রোববার) কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের রামাল্লায় বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করে। ৭৪তম নাকাবা দিবসের স্মরণে এই মিছিল আয়োজন করা হয়। তাদের দাবি, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধ করা এবং ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিজ দেশে ফিরে আসার অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে।

১৯৪৮ সালের ১৪ মে, ইসরাইল ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড জোরপূর্বক দখল করে নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে। এরপর প্রথম মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধ ঘটে। লাখ লাখ ফিলিস্তিনি গৃহহারা হয়ে শরণার্থীতে পরিণত হয়। এরপর ফিলিস্তিন ১৫ মেকে নাকাবা দিবস হিসেবে নির্ধারণ করে। এদিনের স্মরণের তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

স্থানীয় ফিলিস্তিনি আবুদি বলেন, নাকাবা দিবস ফিলিস্তিনিদের দুঃখের দিন। তিনি বলেন,

এদিন লোকজন কালো পতাকা হাতে নেয়। কারণ, এদিন দুঃখের একটি দিন। এদিন তারা নিজেদের ভূমি হারিয়েছে, নিজের প্রিয়জনকে হারিয়েছে। ফিলিস্তিনিরা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বিদেশে অনেক ফিলিস্তিনি শরণার্থী আছে।

স্থানীয় ব্যক্তি জাগরুর বলেন, নাকাবা দিবসের মিছিল লোকজনকে জানায় যে, ফিলিস্তিনিরা নিজের বাসার কথা ভুলে যাবে না। তিনি বলেন,

আজকের এই অনুষ্ঠান আন্তর্জাতিক সমাজকে জানাতে চায়, ফিলিস্তিনিরা তাদের জমির কথা ভুলে যায় নি, তাদের বাসার কথা ভুলে যায় নি। কোনো এক দিন, আমরা আমাদের জমি ও বাসায় ফিরে আসবো। আমরা কখনই তা ভুলে যাবো না।

এক বছর আগে গাজা এলাকার ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংস্থা এবং ইসরাইলের ১১ দিন স্থায়ী তুমুল সামরিক সংঘর্ষ ঘটে। গত মার্চ মাস থেকে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়, বিশেষ করে ১১ মে কাতারের গণমাধ্যম আল জাজিরার নারী সাংবাদিক শিরীন আবু আকলেহ ফিলিস্তিনের জেনিন এলাকায় ইসরাইলের আকস্মিক হামলার খবর প্রচারের সময় নিহত হন। এতে ফিলিস্তিনরা তীব্র নিন্দা জানায়। তবে ফিলিস্তিনিদের অবস্থা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কোনো পরিবর্তন হয় নি।

ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির খবর অনুযায়ী, রোববার রাতে জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে কিছু ফিলিস্তিনি জনগণ ইসরাইলি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে ৪৬জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। বার বার সংঘর্ষের কারণে স্থানীয় ব্যক্তি আরাফাত বলেন, দুই রাষ্ট্র প্রস্তাব হলো ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘর্ষ সমাধানের একমাত্র পদ্ধতি।

তিনি বলেন, ইসরাইলের উচিত জাতিসংঘের প্রস্তাব মেনে চলা, সব আন্তর্জাতিক চুক্তিকে সম্মান করা। ফিলিস্তিনিদের নিজের ঘরে ফেরার অধিকার আছে। ফিলিস্তিনিদের একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অধিকার আছে। যদি ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘর্ষ সমাধান না হয়, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতাও বাস্তবায়ন করা যায় না।

 

(শুয়েই/তৌহিদ/জিনিয়া)