চীন বুঝাপড়া, সম্মান ও পারস্পরিক কল্যাণকে গুরুত্ব দেয়: কম্বোডিয়ার বিশেষজ্ঞ
2022-05-12 18:40:47


মে ১২:‘সি চিন পিং: চীনের শাসন পদ্ধতি’ বইয়ের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর চীনা চিন্তাধারা বুঝতে পারবেন। বিদেশে প্রকাশের দিক থেকে এই বই নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে আসছে। চীন ও বিশ্বের সাথে আদান-প্রদানে এই বইয়ের অনুবাদক ও সম্পাদকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। 


কম্বোডিয়া-চীন সম্পর্ক উন্নয়ন-বিষয়ক সমিতির প্রধান বইটির প্রথম ও দ্বিতীয় খন্ডের কাম্বোডিয়ান ভাষায় অনুবাদক দলের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। সম্প্রতি তিনি সিএমজিকে একটি সাক্ষাতকার দিয়েছেন। 


২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল বইটির প্রথম খন্ডের কাম্বোডিয়ান সংস্করণ কম্বোডিয়ার রাজধানীতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়। বইটির প্রকাশনা কম্বোডিয়ার সমাজের বিভিন্ন খাতের মানুষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। প্রকাশনা অনুষ্ঠানে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। অনেক কম্বোডিয়ান এ বই পড়েছেন ও গবেষণা করেছেন। অনুবাদকদের প্রচেষ্টায় বইটির দ্বিতীয় খন্ডের প্রকাশনার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। সেসঙ্গে তৃতীয় খন্ডের অনুবাদের প্রস্তুতিও চলছে। তাঁর চোখে, এই বই হচ্ছে চীনের উন্নয়ন সম্পর্কে জানার একটি  ‘সোনার চাবি’।

 

তিনি বলেন, চীন কীভাবে দারিদ্র্যবিমোচন করেছে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশিলতা বজায় রাখায় সাফল্য অর্জন করেছে- তার সবই ওঠে এসেছে এই বইয়ে। চীন কীভাবে তার ৫৬টি জাতির ১.৪ বিলিয়ন জনগণকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে- তা এই বইয়ে বর্ণিত হয়েছে। এ কারণেই আমরা এ বই অনুবাদ করেছি। ফলে আরো বেশি কম্বোডিয়ার পাঠক চীন সম্পর্কে জানতে পারবে। 


তিনি আরো জানান, এ বইটিতে অনেক দার্শনিক বিষয় রয়েছে। বিশেষ করে চীনের প্রচীনকালের বিখ্যাত দার্শনিকদের চিন্তাধারা ও দেশের কয়েক হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। 


দার্শনিক বিষয় ছাড়াও বইটির অনেক চিন্তাধারা তাঁকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। এর মধ্যে ‘মানব জাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি নির্মাণকে এগিয়ে নেয়া’ ও ‘সার্বিকভাবে সমৃদ্ধ সমাজ নির্মাণ ও দারিদ্র্যবিমোচন বাস্তবায়ন’ তাঁর নজর কেড়েছে। 


তিনি মনে করেন, তাতে চীনা নেতার প্রজ্ঞা ফুটে ওঠেছে। অনেক বার চীন সফর করার পর দেশ পরিচালনা-বিষয়ক প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের চিন্তাধারা সম্পর্কে তিনি আরো বেশি গভীরভাবে জেনেছেন ও বুঝতে পেরেছেন । 


তিনি বলেন, ‘আমি জেনেছি, প্রেসিডেন্ট সি তৃণমূল থেকে ওঠে এসেছেন। এজন্য তিনি স্পষ্টভাবে তৃণমূলের পরিস্থিতি বুঝতে পারেন এবং জনগণের বাস্তব চাহিদা জানেন। তিনি জনগণের সমস্যাকে অগ্রাধিকার দেন। প্রেসিডেন্ট সি অনেক বার বলেছেন, সিপিসির উচিত জনগণের সেবা করা। দেশের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ’। 


তিনি আরো জানান, চীনের সফলতার কারণ শুধু চীনা জনগণের কঠোর পরিশ্রম ও একতা নয়, বরং চীন বরাবরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আদানপ্রদান বজায় রেখে আসছে এবং পারস্পরিক কল্যাণ বাস্তবায়ন করে আসছে। 


তিনি বলেন, “চীন কখনোই বিভেদের দেয়াল নির্মাণ করেনা, তারা শুধু বন্ধুত্বের ‘সেতু’ নির্মাণ করে। চীন বুঝাপড়া, সম্মান ও পারস্পরিক কল্যাণকে গুরুত্ব দেয়।”

 

(আকাশ/এনাম/রুবি)