ইতোমধ্যে চীনের থিয়ানচৌ-৪ কার্গো মহাকাশযান ও তার পরিবাহী রকেট লংমার্চ-৭ উতক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। যথাযথ সময়ে তা উতক্ষেপণ করা হবে। চীনের মহাকাশ স্টেশেন নির্মাণে চলতি বছর এটি হবে প্রথম উতক্ষেপণ মিশন। ফলে তার উপর সবার নজর রয়েছে। বর্তমানে এই কার্গো মহাকাশযান এবং তার পরিবাহী রকেট ঠিক কি অবস্থায় রয়েছে এবং এবারের মিশনের রকেট ব্যবস্থা নিয়ে আজ আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করবো, কেমন?
লংমার্চ-৭-এর ডিজাইনার সেন তান সাংবাদিকদের বলেন, “লংমার্চ-৭-কে বিশেষভাবে মালবাহী মহাকাশযান বহনের লক্ষ্যে নকশা করা হয়েছে। এটি আসলে একটি মাঝারি আকারের পরিবাহী রকেট। এটি একটি পরিবেশবান্ধব সবুজ ও দূষণহীন রকেট।”
তিনি জানান, দূষণমুক্ত, পরিষ্কার ও পরিবেশবান্ধব হচ্ছে এই রকেটের বৈশিষ্ট্য। রকেটের প্রযুক্তি খুবই স্থিতিশীল এবং উড্ডয়ন সক্ষমতা আন্তর্জাতিক মানের।
তিনি আরো জানান, এবারের মিশনে পেইতৌ অবস্থান নির্ণয়-গ্রাহক ব্যবস্থাকে মূল অগ্রাধিকার অবস্থান নির্ণায়ক পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
তিনি বলেন, “আমরা এবার পেইতৌকে আমাদের মূল অবস্থান নির্ণয় ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহার করব। কারণ তাতে আমাদের খুব বেশি আত্ববিশ্বাস রয়েছে।”
সেন তান আরো জানান, এবারের মিশনে রকেট উতক্ষেপণ প্রক্রিয়ার সময় ১২ ঘন্টা থেকে কমিয়ে ৮ ঘন্টায় নামিয়ে আনা হবে।
ওয়েনছাং মহাকাশ উতক্ষেপণ সাইটের প্রকৌশলী কু ইউ ফেই জানান, উতক্ষেপণের সময় আগের চেয়ে প্রায় ৩৩ শতাংশ হ্রাস পাবে। আগের কিছু মৌলিক প্রযুক্তি গবেষণা প্রমাণ করেছে যে, এটি সম্ভব এবং নির্ভরযোগ্য হবে।
২০১৬ সালের প্রথম উতক্ষেপণের পর লংমার্চ-৭-এর ধারাবাহিক পরিবাহী রকেটে ইতোমধ্যে তিনবার থিয়ানচৌ কার্গো মহাকাশযানের উতক্ষেপণ সম্পন্ন হয়েছে। এর সাফল্যের হার ১০০ শতাংশ। উচ্চ ঘনত্ব ও সংঘটনের মাধ্যমে চীনের মনুষ্যবাহী মহাকাশ মিশন বাস্তবায়িত হচ্ছে। পাশাপাশি, চীনের রকেটসমূহ উন্নত হচ্ছে এবং তাদের নির্ভরযোগ্যতাও বাড়ছে।
(আকাশ/এনাম/রুবি)