দেহঘড়ি পর্ব-৬৮
2022-05-06 18:57:03

দেহঘড়ি পর্ব-৬৮

‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে স্বাস্থ্যখাতের একটি প্রতিবেদন, স্বাস্থ্য বুলেটিন, রোগের প্রাকলক্ষণ নিয়ে আলোচনা উপসর্গে উপলব্ধি, সাক্ষাৎকার-ভিত্তিক আয়োজন ‘আপনার ডাক্তার’ এবং খাদ্যের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা কী খাবো, কী খাবো না

#প্রতিবেদন

২ বছর পর বাংলাদেশে সর্বনিম্ন শনাক্ত

 


প্রাণঘাতি ভাইরাস করোনায় বাংলাদেশে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা চারজনে নেমেছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ২০২০ সালের ৫ এপ্রিল অর্থা ২৫ মাস আগে ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজন শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নতুন শনাক্ত চারজনসহ করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৭৪৭ জনে।

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ৮৭৯টি ল্যাবরেটরিতে দুই হাজার ২২৬টি নমুনা সংগ্রহ ও নমুনা পরীক্ষা করা হয় দুই হাজার ২১২টি। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশ।

 

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এদিন সারাদেশে কারও মৃত্যু হয়নি। এনিয়ে টানা ১৫ দিন দেশে কোনো করোনা রোগী মারা যায়নি। সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে একজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ফলে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৭।

 

এদিকে, একদিনে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২৫৭ জন। এনিয়ে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮ লাখ ৯৭ হাজার জনে।

 

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

 

অভি/রহমান

#বুলেটিন

ঈদের মধ্যে আইসিডিডিআর,বিতে কমেছে ডায়রিয়া রোগী

ঈদুল ফিতরের আগে-পরে মিলিয়ে তিন দিনে ঢাকার আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা ছিল তুলনামূলক কম।

হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, গেল এপ্রিল মাসের শেষের কয়েকদিনের তুলনায় মে মাসের কয়েকদিনে রোগী ভর্তির সংখ্যা কমেছে।

আইসিডিডিআর,বির হাসপাতাল প্রধান ডা. বাহারুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, “ঈদের সময় অনেক মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। এ কারণে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা কম হতে পারে।

তবে প্রকৃত কারণ এখনও বোঝা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।

হাসপাতালের হিসাব অনুযায়ী, ১ মে ৬৩১ জন, ২ মে ৫৫৯ জন, ৩ মে ঈদের দিন ৪২৯ জন এবং ৪ মে ৬৪১ জন ডায়রিয়া নিয়ে আইসিডিডিআর,বিতে ভর্তি হন।

আইসিডিডিআর,বিতে এর আগে ৩০ এপ্রিল ৬৬৫ জন, ২৯ এপ্রিল ৭০১ জন, ২৮ এপ্রিল ৮৫০ জন, ২৭ এপ্রিল ৮৩৯ জন, ২৬ এপ্রিল ৯৬২ জন এবং  ২৫ এপ্রিল ৯০০ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন।

চিকিসকরা বলছেন, ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমেছে, পাশাপাশি ঈদের সময় অনেক মানুষ ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে গেছে। এ কারণেও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কম হতে পারে।

 

দুই ডোজের আওতায় ১১ কোটি ৬৪ লাখ মানুষ

বাংলাদেশে করোনা প্রতিরোধে টিকা কর্মসূচির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দুই ডোজ টিকার আওতায় এসেছে প্রায় ১১ কোটি ৬৪ লাখ ৬৭ হাজার মানুষ। আর প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৮৫ লাখ ৭৯ হাজার জন। এছাড়াও এখন পর্যন্ত বুস্টার ডোজ পেয়েছেন এক কোটি ২৮ লাখ ৬৭ হাজার মানুষ।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ১০ হাজার ৮৪৭ জনকে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৪০ হাজার ৯৫৩ জন। এছাড়াও এই সময়ে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ৬৭ হাজার ৮০২ জনকে। এগুলো দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা।

গেল ১ নভেম্বর থেকে দেশে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ২০ হাজার ৮৭২ জনকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে এক কোটি ৫৮ লাখ ৯৮ হাজার ১৪৮ জনকে।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে এ পর্যন্ত ২ লাখ ১৮ হাজার ভাসমান জনগোষ্ঠী টিকার আওতায় এসেছেন।

 

২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী বেড়েছে মৃত্যু, কমেছে সংক্রমণ

চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গেল ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দুই হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে সাড়ে পাঁচ লাখের নিচে।

এদিকে গেল ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাজ্য।

শুক্রবার সকালে করোনার তথ্যভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গেল ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ হাজার ৩০৫ জন। অর্থা আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে সাড়ে তিন শতাধিক।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৪৪ হাজার ১৮১ জন। অর্থা আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৫৯ হাজার।  অভি/রহমান

 

#উপসর্গে_উপলব্ধি

এসব ডায়াবেটিসের লক্ষণ

ডায়াবেটিস অন্যতম ঘাতক ব্যাধি। সারা বিশ্বে প্রতিবছর ১৫ লাখ মানুষ মারা যায় এ রোগে। বিশ্বে ৪২ কোটি ২০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, যাদের বেশিরভাগই বাস করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ও মৃত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে প্রতি বছর।

ডায়াবেটিস একদিনে হয় না; ধীরে ধীরে এ রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব ডায়াবেটিস এডুকেটরসের মুখপাত্র ডায়েটিশিয়ান মেলিসা জয় ডবিনস বলেন, ডায়াবেটিস এমন না যে আপনি একদিন ঘুম থেকে জেগে উঠলেন এবং হঠাৎ করে আবিষ্কার করলেন আপনার তৃষ্ণা বেড়েছে, ক্ষুধা বেড়েছে এবং ঘনঘন বাথরুমে যেতে হচ্ছে। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেডিক্যাল ডাক্তার অ্যারন সাইপেস বলেন, বাস্তবিকপক্ষে, বেশিরভাগ মানুষ ডায়াবেটিসের প্রাথমিক পর্যায়, এমনকি মাধ্যমিক পর্যায়েও জ্ঞাত থাকে না যে তাদের ডায়াবেটিস হচ্ছে।

ডায়াবেটিস এমন এক রোগ যাকে আপনি যত নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে দেবেন, তত বেশি আপনার হৃদরোগ, কিডনি রোগ, অন্ধত্ব ও অন্যান্য মারাত্মক জটিলতা বেড়ে যাবে। তাই ডায়াবেটিস উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয়ের জন্য ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আজ আমরা আলোচনা করবো কী উপসর্গ দেখা দিলে আপনি ডায়াবেটিস পরীক্ষার জন্য চিকিসকের কাছে যাবেন।

বেশি বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন হওয়া

ডবিনস বলেন, ডায়াবেটিস থাকলে খাবারের শর্করা নিয়ন্ত্রণে শরীরের কার্যক্ষমতা কমে যায়, তাই রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। শরীর এসব শর্করাকে প্রস্রাবে পাঠিয়ে শর্করামুক্ত হয়। তাই বেশি বাথরুমে যাওয়া ডায়াবেটিসের একটি উপসর্গ হতে পারে। ডাক্তার সাইপেস বলেন, অধিকাংশ রোগী কতবার বাথরুমে যায় সে ব্যাপারে সচেতন থাকে না। একজন মানুষের রাতে কতবার প্রস্রাবের জন্য জাগার প্রয়োজন হয়? স্বাভাবিকভাবে এক বা দুই বার হতে পারে। কিন্তু প্রস্রাব ত্যাগের জন্য জাগরণের আধিক্য ডায়াবেটিসের উপসর্গ হতে পারে।

স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পিপাসার্ত হওয়া

ডায়াবেটিস হলে প্রচুর পরিমাণে মূত্রত্যাগ করতে হয়, যার ফলে পিপাসা বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস রোগীদের একটি অভিন্ন উপসর্গ লক্ষ্য হলো তৃষ্ণা মেটাতে তারা বিভিন্ন পানীয় যেমন জুস, চকলেট মিল্ক ইত্যাদির দিকে ঝোঁকে। এসব পানীয়ের অতিরিক্ত শর্করা রক্তপ্রবাহে যুক্ত হয়। এ কারণে রোগীরা আরও বেশি সমস্যার দিকে এগিয়ে যায়।

ওজন কমা

ডায়াবেটিসের একটি নীরব উপসর্গ হলো ওজন কমে যাওয়া। ডাক্তার সাইপেস বলেন, দুটি কারণে ওজন কমতে পারে। একটি হচ্ছে, আপনি মূত্রত্যাগের মাধ্যমে শরীরের পানি হারান। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, আপনি প্রস্রাবের সঙ্গে কিছু ক্যালরি হারান এবং আপনার শরীর রক্তের শর্করা থেকে সব ক্যালরি শোষণ করতে পারে না। তবে যেসব ডায়াবেটিস রোগী রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে পার, তাদের ওজন আবার বেড়ে যেতে পারে। ডাক্তার সাইপেসের মতে এটি একটি ভালো দিক। কারণ এর দ্বারা রক্তে শর্করার মাত্রায় ভারসাম্য আসে।

সবসময় ক্লান্ত থাকা

ডায়াবেটিসের অন্যতম উপসর্গ ক্লান্তি বাড়া। আপনি শরীরে শক্তির জন্য যা খাচ্ছেন তা শরীরে সঠিকভাবে মিশ্রিত না হওয়া এবং যেসব কোষের জন্য এসব খাওয়া হচ্ছে তাদের নিকট শর্করা পৌঁছতে না পারার কারণে এ ক্লান্তি হতে পারে। ডবিনস বলেন, আপনার শরীরের জন্য যা প্রয়োজন আপনি তা পাচ্ছেন না। ফলে আপনি ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছেন এবং আলস্য বোধ করছেন।

কাটা ও ক্ষত সারতে অতিরিক্ত সময় লাগা

ডাক্তার সাইপেসের মতে, আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা উচ্চ হলে শরীরের ইমিউন সিস্টেম এবং শরীর আরোগ্যলাভের প্রক্রিয়া ভালোভাবে কাজ করে না। এ কারণে শরীরের কোথাও কেটে গেলে, ক্ষত হলে কিংবা আঁচড় লাগলে সেরে উঠতে বেশি সময় লাগে।

পা অসাড় হয়ে আসা

আপনি যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছেন, তা বুঝতে পারার আগেই রক্তের উচ্চ মাত্রার শর্করা নানারকম জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। ডাক্তার সাইপেস বলেন, এসব জটিলতার একটি হচ্ছে কোমল স্নায়ুর ক্ষতি, যা আপনার পায়ে অসাড়তা সৃষ্টি করে।

বিষণ্ন ও বদমেজাজী হয়ে ওঠা

সাইপ্রেস বলেন, আপনার রক্ত শর্করা কাজ না করলে আপনি শুধুমাত্র খারাপ বোধই করবেন না, বদমেজাজীও হয়ে উঠতে পারেন। প্রকৃতপক্ষে, রক্তে উচ্চমাত্রার শর্করা বিষণ্নতার মতো উপসর্গ ডেকে আনতে পারে। ডায়াবেটিস আপনার শরীরে বাসা বাঁধলে আপনি খুব ক্লান্তি বোধ করবেন, কোনও কিছু করতে মন চাইবে না এবং বাইরে যাওয়ার ইচ্ছে হবে না। কেবলেই ঘুমানোর ইচ্ছে হবে। - রহমান

 

## আপনার ডাক্তার

দেহঘড়ির আজকের পর্বে আমরা কথা বলেছি হরমোনের সমস্যা নিয়ে। হরমোন একটি রাসায়নিক পদার্থ, যেটি শরীরের এন্ডোক্রাইন গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়। রক্তের সঙ্গে প্রবাহিত হয়ে এটি বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে বার্তা পৌঁছে দেয়। এভাবে এটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্রিয়ার সমন্বয় করে। তবে অনেক সময় হরমোন নিঃসরণে ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। হরমোন বাড়া-কমা অনেক সময় প্রাকৃতিকভাবেও হয়, যেমন গর্ভাবস্থায় বা বয়সের সঙ্গে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা অনেক সময় জেন্ডার ও প্রকৃতির উপরও নির্ভর করে। সময়মত এ সমস্যার চিকিৎসা না করালে নানা শারীরিক ও মানসিক অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে।

হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ইত্যাদি নিয়ে কথা বলতে আজ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বিএসএমএমইউ ডাক্তার মারুফা মোস্তারী। তিনি কর্মরত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে।

 

#কী_খাবো_কী_খাবোনা

রোজার পরের খাদ্যাভাস

রমজানে যারা মাসব্যাপী রোজা রাখেন তারা এক নতুন খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত হন। রমজান যাওয়ার পর প্রয়োজন পড়ে সে খাদ্যাভ্যাস থেকে আবার স্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাসে ফিরে আসার। এ প্রক্রিয়ায় অনেক সময় শারীরিক কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, বদ হজম, এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। তবে কিছু সতর্কতা মেনে চললে এ সমস্যাগুলো এড়ানো যায় বলে মনে করেন ক্লিনিক্যাল ডায়েটেশিয়ান অ্যান্ড নিউট্রিশনিস্টরা। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু সতর্কতার পরামর্শ।

- রোজা শেষ হওয়ার পর হঠাৎ করে এক সঙ্গে খুব বেশি পরিমাণে খাবার খাওয়া উচিৎ না। এ সময় অল্প অল্প করে বার বার খাবার খেতে হবে।

- বেশি তেল ও মসলাদার খাবার কখনোই খাওয়া উচিৎ না। তবে রোজার পরপর এমন খাবার একেবারে পরিত্যাজ্য। তেল ও মসলাযুক্ত খাবার খেলে সেটা আস্তে আস্তে শুরু করা ভালো।

- রোজার পর প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সবজি ও মাছ রাখতে হবে। আর মাংস খেতে হবে কম পরিমাণে।

- এ সময় শক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে এবং নরম ও সহজে হজমযোগ্য খাবার খেতে হবে।

- কোষ্ঠকাঠিন্য যাতে না হয় সেজন্য আঁশযুক্ত খাবার যেমন ওট্স, লাল চালের ভাত বা রুটি ইত্যাদি খেতে হবে।

- রোজা শেষ হওয়ার পর নিয়ম করে দৈনিক কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে সুস্থ্ থাকতে।

- সময় মেনে দিনের খাবারগুলো খেতে হবে। যখন ইচ্ছে তখন খাবার খাওয়া এড়াতে হবে।

এই নিয়মগুলো মেনে চললে রোজা পরবর্তী স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া যায়।- রহমান

 

‘দেহঘড়ি’ অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের মতামত ও পরামর্শ জানতে চাই আমরা। আমাদের ফেইসবুক পেইজ facebook.com/CMGbangla অথবা ওয়েবসাইট bengali.cri.cn’র মাধ্যমে জানাতে পারেন আপনাদের মতামত বা পরামর্শ।