সি চিন পিং ও তরুণ-তরুণীদের গল্প
2022-05-06 19:48:30

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও তরুণ-তরুণীদের মধ্যে রয়েছে নানা আবেগঘন মুহূর্ত ও গল্প। তিনি সবসময় তরুণ-তরুণীদের কথা মনে রাখেন এবং তাদের উত্সাহিত করেন। তরুণ-তরুণীদের জীবনের পরিশ্রমের সময়সূচীর দিক-নির্দেশনা দেন সি চিন পিং।

 

২০১৩ সালের ৪ মে সিপিসি’র অষ্টাদশ কংগ্রেসের পর প্রথম তরুণ দিবস উপলক্ষ্যে, সি চিন পিং চীনের মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গ্রুপ ও চীনা স্পেস টেকনোলজির ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেন এবং দিবসের বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

 

এসময় সি চিন পিং বলেন, ‘চীনের তরুণ-তরুণীরা যে আদর্শের জন্য অবিরাম সংগ্রাম করছে, তা বরাবরই চীনের পুনরুত্থানের প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত”। সি চিন পিং  তরুণদের সংগ্রামের লক্ষ্য দেখিয়েছেন। তিনি বলেন, চীনা স্বপ্ন কেবল আমাদের নয়, বরং আপনাদের নতুন তরুণ প্রজন্মের।   চীনা জাতির পুনরুত্থানের স্বপ্ন আপনাদের তরুণ প্রজন্মের অবিরাম পরিশ্রমের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে।

 

প্রতিটি প্রজন্মের নিজস্ব ভাগ্য আছে এবং প্রতিটি তরুণ প্রজন্মের নিজস্ব দায়িত্ব রয়েছে।

 

তরুণ প্রজন্মের প্রতি সি চিন পিং আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বয়স মোটামুটি ২০ বছরের মতো। ফলে এ শতাব্দির মাঝা-মাঝিতে যখন আধুনিকায়ন বাস্তবায়িত হয়েছে, তখন অনেকের বয়স ৬০ বছর হয়নি। যার মানে দুটি একশ বছরের লক্ষ্য বাস্তবায়নের পথে হাজারো তরুণের ভূমিকা রয়েছে।

 

অনেক ইভেন্টে তরুণদের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন সি চিন পিং। সিপিসি’র অষ্টাদশ কংগ্রেসের পর থেকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ‘সিপিসি’র কর্তব্য ধারণ এবং চীনা জাতির টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার  সুদূরপ্রসারি চেতনায় তরুণদের নিজেকে গঠনে দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন।

 

(ক্যাপশন: ২০১৯ সালের চৌঠা মে আন্দোলনের শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বেইজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে  ‘শত বছর ধরে স্বপ্ন সাধনের পথ, যুগের স্বপ্ন বাস্তবায়নকারী” শীর্ষক কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়)

 

 

সিপিসি প্রতিষ্ঠার ৯৫তম বার্ষিকীর উদযাপনী অনুষ্ঠানে সি চিন পিং বলেন, ‘তরুণরা মাতৃভূমির ভবিষ্যত, জাতির আশা এবং পার্টির ভবিষ্যত ও আশা।  সিপিসির ঊনবিংশ কংগ্রেসের প্রতিবেদনে তিনি বিশেষভাবে তরুণ ও তরুণদের কাজের কথা উল্লেখ করেন। চৌঠা মে আন্দোলনের শতবার্ষিকী উদযাপনী অনুষ্ঠানে তিনি সকল তরুণের প্রতি দেশ, জনগণ, জাতি ও মানব জাতির জন্য অবদান রাখার পথে তারুণ্যের রঙিন আলো দেখানোর তাগিদ দেন।

 

সিপিসি প্রতিষ্ঠার শততম বার্ষিকীতে তিনি বলেন, ভবিষ্যত হচ্ছে তরুণের ভবিষ্যত এবং আশার আলো তরুণের ওপর নির্ভর করে।  নানা ইভেন্টে সি চিন পিং পার্টির সকল সদস্যদের নিয়ে তরুণদের কাছে যান, তরুণদের আদর করে তাদের জীবন গঠনে নির্দেশনা দেন।

 

তরুণদেরর জন্য একটি নিয়ম নির্ধারণ করেছেন সি চিন পিং

 

(ক্যাপশন: ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল সকালে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেন)

 

প্রতি বছরের চৌঠা মে দিবসের কাছাকাছি সময় আমি বিশেষ করে তরুণদের জন্য রেখেছি—এটি সি চিন পিং নিজের জন্য নির্ধারিত নিয়মে পরিণত করেছেন।

 

যত ব্যস্তই থাকেন, প্রতি বছরের যুব দিবস উপলক্ষ্যে তিনি তরুণদের মাঝে গিয়ে তাদের মনের কথা শুনেন।

 

২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং চীনের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের শেষ পর্যায়ে যখন তিনি লাইব্রেরি থেকে বের হন, তখন বৃষ্টি পড়তে শুরু করে।  সি চিন পিং বৃষ্টির মধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে তাদের সঙ্গে করমর্দন করেন। দশাধিক মিনিট সময় প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বৃষ্টিতে ভিজেন। উপস্থিত অনেক শিক্ষার্থী বলেছেন, প্রেসিডেন্ট সি’র হাত অনেক উষ্ণ, শক্তিশালী এবং তা তাদের শক্তি যোগায়।

 

তরুণদের সঙ্গে চীনা জাতির সংস্কৃতির খোলা ক্লাসে সি চিন পিং

 

২০১৪ সালের ২০ ডিসেম্বর ম্যাকাও-এর চীনের কোলে ফিরে আসার ১৫তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে চীনা জাতির সাংস্কৃতিক খোলা ক্লাস ম্যাকাও বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

 

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ‘চীনের ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি ও বর্তমান তরুণ’ শীর্ষক ওই ক্লাশে অংশ নিয়েছেন। এসময় সি চিন পিং বলেন, আমিও চীনা সংস্কৃতির একজন প্রেমিক। তিনি তাঁর লেখাপড়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, তরুণ থেকে এ পর্যন্ত সময় পেলেই তিনি বই বের করে পড়তে শুরু করেন। বই পড়া নিজের জন্য খুব সহায়ক। প্রাথমিক স্কুলে পড়ার সময় তিনি চীনের ঐতিহ্যবাহী উপন্যাস পড়েছেন। কৃষক হওয়ার ৭ বছরে তিনি লেখাপড়ায় শিথিল হননি। একটি বই হাতে পেলে যেন আনন্দের সাগরে ভাসেন তিনি। সি চিন পিং’র অভিজ্ঞতা অনেক তরুণকে উত্সাহিত করে।

 

  ২০২২ সালের ৮ এপ্রিল সকালে গণমহাভবনে তরুণদের আওয়াজ শুনা যাচ্ছিল। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এখানে বেইজিং শীত্কালীন অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক গেমসে অবদান রাখা চীনা প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেন। জাতীয় শর্ট ট্র্যাক স্পিড স্কেটিং খেলোয়াড় উ তা চিং’র প্রতি সি চিন পিং বলেন, ‘আমাদের প্রথম দেখা হয়েছে ৮ বছর আগে ২০১৪ সালের সোচি শীত্কালীন অলিম্পিক গেমস চলাকালে। উ তা চিং খুব মুগ্ধ হয়েবলেন, জ্বি, প্রেসিডেন্ট, আপনার আদর ও উত্সাহের জন্য ধন্যবাদ’।

 

বেইজিং শীত্কালীন অলিম্পিক গেমসের প্রাক্কালে উ তা চিং ও তার দলের সদস্যেদের সি চিন পিং বলেছিলেন, ‘মানুষের জীবনে সংগ্রাম খুবই মূল্যবান। কঠিন শীত্ পার না হয়ে বরই ফুলের সুগ্ধ সৃষ্টি হয় না।


সুপ্রিয় বন্ধু, অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে চলে এসেছি আমরা। আজকের অনুষ্ঠান কেমন লাগলো, যদি ভালো লেগে থাকে, এবং আপনার কোনো মতামত থাকে, তাহলে আমাদের চিঠি বা ইমেইল লিখতে ভুলবেন না। আমাদের ইমেইল ঠিকানা ben@cri.com.cn এবং wangdanhong@cri.com.cn। আপনারা আমাদের ফেসবুকেও কমেন্ট করতে পারেন। আপনাদের মতামত আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। সবাই ভালো থাকুন এবং সুন্দর থাকুন। আগামী সপ্তাহে আবারও কথা হবে।