যুবকদের প্রতি চীনা প্রেসিডেন্টের দিক-নির্দেশনা ও প্রত্যাশা
2022-05-04 19:20:57


মে ৪: দেশ ও সমাজের উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় যুবকরা হচ্ছেন সবচেয়ে ইতিবাচক ও বড় প্রাণশক্তি। সিপিসির অষ্টাদশ জাতীয় কংগ্রেসের পর থেকে সিপিসির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং বহু বার নতুন যুগের তরুণ-তরুণীদের জন্য দিক-নির্দেশনা দেয়াসহ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। 


একশ’ বছর আগে সিপিসির জন্মের পর থেকে যৌবনের চেতনা হচ্ছে তার একটি বড় বৈশিষ্ট্য। সিপিসির প্রথম জাতীয় কংগ্রেসের ১৩ জন প্রতিনিধির গড় বয়স ছিল মাত্র ২৮ বছর। তারা যুগের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তখন থেকে একটি নতুন সর্বহারা দলের জন্ম হয়। সিপিসির নেতৃত্বে চীনা তরুণরা বিপ্লব, নির্মাণ এবং সংস্কারে ইতিবাচকভাবে অংশগ্রহণ করে আসছেন। তারা তাদের সুন্দর যৌবনের গান রচনা করে চলছেন। 


সিপিসি প্রতিষ্ঠার শততম বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে সি চিন পিং বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের কথা উল্লেখ করেন। 


তিনি বলেন, “একশ’ বছর আগে কিছু যুবকরা মার্কসবাদের চিন্তাধারার আলোকে চীনা জাতির পুনরুত্থানের ভবিষ্যত অনুসন্ধান করতে থাকেন। গত একশ’ বছরে সিপিসির নেতৃত্বে একের পর এক প্রজন্মের চীনা যুবকরা নিজেদের অবদান রেখে আসছেন। তাঁরা চীনা জাতির মহান পুনরুত্থানে অগ্রণী শক্তিতে পরিণত হয়েছেন”।


প্রত্যেক প্রজন্মের যুবকদের তাদের নিজেদের অবস্থা ও সুযোগ রয়েছে। নতুন যুগের চীনা যুবকরা কিভাবে যুগের দায়িত্ব সু্ষ্ঠুভাবে গ্রহণ করতে পারবে—এ সম্পর্কে সি চিন পিং বলেন, নতুন যুগের চীনা যুবকদের চীনা জাতির মহান পুনরুত্থান বাস্তবায়নকে নিজের দায়িত্বে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। 


সি চিন পিং বলেন, “মিস্টার লু সুন আগেই বলেছেন, যুবকদের অনেক প্রাণশক্তি রয়েছে, তারা গভীর বন দেখলে, গাছ কেটে সব বাধা দূর করতে পারে। তারা খোলা মাঠ দেখলে, গাছ লাগাতে পারে। তারা মরুভূমি দেখলে, কূপ খনন করতে পারে। চীনা জাতির মহান পুনরুত্থান বাস্তবায়নের নতুন যাত্রায়, বড় চ্যালেঞ্জ ও গুরুতর ঝুঁকি মোকাবিলায় দায়িত্ব গ্রহণের চেতনা দরকার”।


সিপিসির অষ্টাদশ জাতীয় কংগ্রেসের পর থেকে সি চিন পিং যুবকদের সাথে মত বিনিময়ের সময় অনেক বার “দায়িত্ব গ্রহণের চেতনা”র কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “পরিস্থিতি যত কঠিনই হোক না কেন, তত বেশি সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেতনা তরুণ-তরুণীদের ধারণ করা উচিত। যুবকদের যুগের অগ্রনায়ক হওয়ার চেষ্টা চালানো উচিত”।  


২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে সি চিন পিং করোনা মহামারী প্রতিরোধ-বিষয়ক জাতীয় প্রশংসা সম্মেলনে বলেন, “প্রবীণরা বলে থাকেন, সাদা পোষাকের দেবদূত বলতে বাস্তবে কিছুই নেই। তারা আসলে কিছু ছেলে-মেয়ে, যারা পোষাক পরিবর্তন করেছে। যুবকরা কষ্ট, কঠিনতা ও ত্যাগের সামনে ভয় পায় না, তারা পাহাড়ের মত দায়িত্ব গ্রহণ করে। যৌবনের চেতনা ও চীনা জাতির আশা প্রদর্শন করে। আমরা একযোগে তাদের প্রশংসা করি”। 


চীনের অগ্রগতির ইতিহাসে যুবকদের অবদান রয়েছে। যুবকদের দায়িত্ব গ্রহণের চেতনা হচ্ছে চীনের ভবিষ্যতের আশা। 


সি চিন পিং বলেন, “প্রত্যেক প্রজন্মের মানুষদের ‘লংমার্চ’ রয়েছে। প্রত্যেক প্রজন্মের মানুষদের দায়িত্ব রয়েছে। আধুনিক, শক্তিশালি সমাজতান্ত্রিক দেশ নির্মাণ ও চীনা জাতির মহান পুনরুজ্জীবন বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া হচ্ছে একটি পালা-দৌড়। যুবকদের জন্য একটি ভাল রেকর্ড সৃষ্টি করতে আমাদের স্বংকল্প রয়েছে। নতুন প্রজন্মের যুবকরাও আরো ভাল রেকর্ড সৃষ্টি করবে-সেই প্রত্যাশা করছি। নতুন যুগের চীনা যুবকরা ইতিবাচকভাবে নতুন যুগকে আলিঙ্গন করে নতুন যুগে এগিয়ে যাবে-সেই আশা করি।”


 (আকাশ/এনাম/রুবি)