মে ৩: তরুণ বয়সে সময় নষ্ট করলে বুড়ো বয়সে অনুতাপ করতে হবে। চীনের থাং রাজবংশের কবি ছুয়ান তে ইয়ু’র কবিতার লাইনের উদ্ধৃতি দিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তরুণ-তরুণীদের নিজেদের নানা কৌশল উদ্ভাবন করে এবং সময় নষ্ট না করে যুগের দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দিয়েছেন।
গত দশ বছরে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং নতুন প্রজন্মের চীনা তরুণদের নিজেদের গঠনের বিষয়ে নানা পরামর্শ দিয়েছেন। আজকের সংবাদ পর্যালোচনায় আমি তাঁর সেসব পরামর্শগুলো তুলে ধরবো।
চৌঠা মে চীনের তরুণ দিবস। প্রতিবছর এ দিন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তরুণদের কাছে গিয়ে তাদের সঙ্গে মন খুলে কথা বলেন। তিনি বহুবার বলেছেন, তরুণদের নিজেদের গঠন করতে হবে। বিশেষ করে শিক্ষা গ্রহণ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৩ সালের ৪ মে নানা খাতের সাতজন সেরা তরুণের সঙ্গে আলোচনার সময় সি চিন পিং বলেছিলেন,‘তরুণরা শিক্ষাগ্রহণের সেরা সময়ে রয়েছেন। তাই শিক্ষা গ্রহণকে তাদের প্রধান কাজ হিসেবে গ্রহণ করা প্রয়োজন। এক ধরণের দায়িত্ব, মানসিক অনুরাগ এবং লাইফ স্টাইল হিসেবে শিক্ষাগ্রহণকে চিহ্নিত করতে হবে। স্বপ্ন শিক্ষা থেকে জন্ম নেয় এবং কতর্ব্য সাধনে কৌশল লাগে। কঠোর লেখাপড়া তরুণের দূরে যাওয়ার চালিকাশক্তি এবং কৌশলকে তরুণদের লড়াইয়ের শক্তিতে পরিণত করা প্রয়োজন’।
বর্তমানে চীন দ্বিতীয় একশ বছরের লক্ষ্য বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়নের নতুন পর্যায়ে থাকা তরুণদের কি কি করা উচিত? এ প্রশ্নের উত্তরে সি চিন পিং বলেন, সকল তরুণের উচিত যুগের উন্নয়ন ও কর্তব্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ দক্ষতা উন্নয়ন করা।
তিনি বলেন, সবার উচিত শিক্ষা নেয়া তথ্য ব্যবহার করা, মূল স্তরে যাওয়া এবং জনগণের মাঝে যাওয়া। সংস্কার ও উন্নয়ন এবং সমাজতান্ত্রিক আধুনিকায়ন গঠনের পথে বাস্তব দক্ষতা উন্নয়ন করে ভারি দায়িত্ব বহন করা যায়, নিজেকে এমন লোক হিসেবে গড়ে তুলা’।
তরুণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে সি চিন পিং অনেক আশাবাদী। তিনি অনেক বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন এবং তরুণদের নানা পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন,‘শেখার পথে পরিশ্রম, গভীরে যাওয়া এবং প্রতিজ্ঞা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সময় শিক্ষকের শিক্ষাদান ও সহপাঠীদের সহযোগিতা রয়েছে। বিপুল পরিমাণে বই পড়া যায় এবং মনোযোগ দিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করা যায়। এসময় পরিশ্রম না করলে আর কখন করবে। তাই পরিশ্রম ও মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে এবং যেগুলো শিখেছ, সেগুলো নিজের অভিমত হিসেবে গঠন করতে হবে। দেশ, জনগণের পাশাপাশি বিশ্বের ওপর নজর রাখতে হবে এবং সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে হবে’।
স্পঞ্জ যেভাবে পানি গ্রহণ করে, তরুণদের সেভাবে জ্ঞান অর্জন করার পরামর্শ দিয়েছেন সি চিন পিং।
তিনি বলেন,‘তরুণ বয়সে বৈজ্ঞানিক চিন্তার পদ্ধতি এবং ক্ষমতা বাড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্কুল বা সমাজ, যেখানেই হোক, সবস্থানে শেখা ও চিন্তা, পর্যবেক্ষণ ও চিন্তা এবং অনুশীলন ও চিন্তাকে যুক্ত করতে হবে। নতুন বিষয়ে স্পর্শকাতর হওয়া প্রয়োজন। সঠিক অবস্থান ও চিন্তা নিয়ে বিশ্লেষণ করা, ইতিহাস ও যুগের উন্নয়নের দিক আয়ত্ত করা এবং বাস্তবতা তুলে ধরা উচিত। তরুণদের সৃজনশীলতা সম্প্রসারণ করতে হবে এবং তাদের অনুশীলন এবং সততা আবিষ্কারে উত্সাহিত করতে হবে’।
(রুবি/এনাম/শিশির)