এপ্রিল ২৯: ‘একটি ভূত প্রশান্ত মহাসাগরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি চীনের কথা বলছি না, আমাদের কথা বলছি’। সম্প্রতি ব্রিটিশ ‘গার্ডিয়ান’ একটি কাঠামো চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার অতি প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে। সেটি চীন ও সলোমন দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা চুক্তি।
প্রশান্ত মহাসাগরের একটি সার্বভৌম দেশ হিসাবে, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, সমতা এবং পারস্পরিক সুবিধার ভিত্তিতে, সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে, মানুষের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা, মানবিক সহায়তা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাড়া দিতে চীনের সাথে সহযোগিতা করে। কীভাবে এটি একটি শক্তিশালী ট্রিগার হতে পারে? হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার অতি প্রতিক্রিয়ার কারণ?
আসলে এর কারণ হল, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া কখনোই প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশগুলিকে, যেমন সলোমন দ্বীপপুঞ্জকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে বিবেচনাই করেনি; বিবেচনা করেছে নিজেদের বাড়ির উঠোন হিসেবে। যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশগুলি কাদের সাথে সহযোগিতা করতে চায় এবং কার সাথে তারা সহযোগিতা করবে না, তার সিদ্ধান্ত নেওয়া তাদের ওপর নির্ভর করে! মোটকথা, এটা হল উপনিবেশবাদ এবং কর্মক্ষেত্রে আধিপত্যবাদী চিন্তাধারা।
সব ধরনের খারাপ আচরণই দক্ষিণে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াকে অজনপ্রিয় করে তুলেছে। যে ভূত অন্যান্য দেশকে পক্ষ নেওয়ার এবং আঞ্চলিক শান্তি ধ্বংস করার হুমকি দেয়, তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশ থেকে অদৃশ্য হওয়া উচিত। (ওয়াং হাইমান/আলিম/স্বর্ণা)