এপ্রিল ২৮, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। মূল কেনাকাটা প্রায় শেষ, এখন আনুষাঙ্গিক কেনাকাটায় ব্যস্ত নগরবাসী।
রাজধানীর নিউমার্কেট, গাউছিয়া, ইস্টার্ন প্লাজা, বসুন্ধরা সিটি, আজিজ সুপার মার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা যায় ক্রেতাদের ভিড়।
ভিড় বেশি দেখা যায় জুতা, প্রসাধনী, গয়না, টুপি, জায়নামাজ ও আতরের দোকানে। কিশোরী থেকে মধ্যবয়সী নারীরা প্রসাধনীর ক্রেতা। কিশোর-যুবকরা সুগন্ধির দোকানে ভিড় করলেও, কিশোর-প্রবীণ-বৃদ্ধরা টুপি আর জায়নামাজ কেনায় ব্যস্ত।
ঈদ পোশাকের সাথে মিলিয়ে লিপস্টিক, আইলাইনার, আই শ্যাডো, লিপ গ্লোস, লিপ লাইনার, নেইলপালিশসহ নানা ধরনের প্রসাধনী কিনছেন ক্রেতারা। সেই সাথে সারছে গয়না কেনার কাজ। পিতল, কাঠ, ইমিটেশন, রূপা, মাটির সব ধরনের গয়না কম বেশি বিক্রি হচ্ছে। সোনা রূপার চেয়ে গোল্ড প্লেটেড গয়নার হাল ফ্যাশনের চাহিদা বেশি।
জামা ,জুতা কেনা শেষ । এখন জামার সাথে মিলিয়ে কানের দুল, গলার মালা, ব্যাগ কিনতে ইস্টার্ন মল্লিকা মার্কেটে এসেছেন সুমনা পারভীন।
তিনি চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে বলেন, “মার্কেটে ভিড় বাড়ায় আগেই সব কেনাকাটা শেষ করে ফেলেছি। আজকে আসছি মেয়ে জন্য বাড়তি কিছু কেনাকাটা করতে”।
বসুন্ধরা সিটিতে কথা হয় ব্যাংক কর্মকর্তা তনিমা হাসানের সাথে। তিনি চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে বলেন, এতদিন অফিস সেরে ভিড় ঠেলে কেনাকাটা করতে আসা হয়নি। অনলাইনের বেশিরভাগ কেনাকাটা করেছি। আজকে কিছু প্রসাধনী সামগ্রী কিনতে এসেছি।
আকলিমা শাহীন নিজের জন্য শাড়ি কিনেছেন রমজানের শুরুতেই। এখন শাড়ির সাথে মিলিয়ে গহনা, চুড়ি কিনতে এসেছেন আজিজ সুপার মার্কেটে। তিনি চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে জানান, “এবার ঈদে একটা বিয়ের দাওয়াত আছে। তাই টুকিটাকি অনেক কেনাকাটাই করতে এসেছি”।
অন্যদিকে ছেলেদের পাজামা-পাঞ্জাবি কেনা শেষ। ঝোঁক এখন আতর-টুপি-সুগগ্ধির প্রতি।
নিউমার্কেট মোড়ে টুপি কিনতে এসেছে আজগর আলী। তিনি বলেন, আমার দুই পোলা আর আমার পাঞ্জাবী আগেই কিনতাছি। এখন আইছি আতর কিনতে ।
ক্রেতাদের এ চাহিদাকে মাথায় রেখে বাজারে এসেছে নতুন ডিজাইনের টুপি। এবারের ঈদে দেশে তৈরি টুপির চাহিদা রয়েছে বলে জানান দোকানিরা।
নিউ মার্কেটের টুপি, আতর দোকানের মালিক আবু বকর সিদ্দিক চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে বলেন, ‘রমজানের প্রথম ২০ দিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার দোকানে পাইকারী হিসেবে বেশি বিক্রি হয়েছে। আমরা দামও কম রাখছি। এখন শেষ মুহূর্তে খুচরা বিক্রি বেশি হচ্ছে।’
ভিডিও প্রতিবেদন- আফরিন মিম
ভিডিও সম্পাদনা- সাজিদ রাজু