পাকিস্তানের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শোক জানাতে চীনা দূতাবাসে গিয়েছিলেন
2022-04-28 13:26:27

এপ্রিল ২৮:পাকিস্তানের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টু জারদারি গতকাল (বুধবার) পাকিস্তানে চীনা দূতাবাসে যান এবং করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের শাটলে হামলার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। চীনা মিডিয়ায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং নিহতদের জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেন ও আত্মীয়স্বজনের প্রতি সমবেদনা জানান।
‘পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পর প্রথমে আমি ইসলামাবাদে অবস্থিত চীনা দূতাবাসে যাই। চীনাদের সমবেদনা জানিয়েছি আমি। ২৬ এপ্রিল করাচিতে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা হয়। এসব দুষ্ট ও হিংস্র লোকেরা শিক্ষাবিদ ও শিক্ষকসহ যাদের ওপর আক্রমণ করেছে তাদেরকে শুধু চীনা জনগণই নয়, পাকিস্তানের জনগণও পরিত্যাগ করবে। আপনি জানেন, আমরা পাকিস্তানিরা আতিথেয়তার ঐতিহ্যকে মূল্য দেই। এই সহিংসতায় প্রত্যেক পাক নাগরিক গভীর মনকষ্ট পেয়েছে। এতে আমরা মর্মাহত, বিস্মিত ও  দুঃখ পেয়েছি। সন্ত্রাসের শিকার হিসেবে আমি এবারের সন্ত্রাসী হামলায় প্রিয়জন হারানোর বেদনা অনুভব করেছি।

 

বিলাওয়াল ভুট্টো বলেন, পাকিস্তানের বিভিন্ন বিভাগ গুরুত্বের সঙ্গে এবারের সন্ত্রাসী হামলার তদন্ত করছে। এই সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িত সবাইকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শাস্তি দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যারা পাক-চীন সম্পর্ক এবং চীন-পাক অর্থনৈতিক করিডোরের স্বার্থ নষ্ট করার চেষ্টা করছে, তাদেরকে শাস্তি দিতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন,

২৬ এপ্রিল করাচিতে হামলা নিয়ে সিন্ধু প্রাদেশিক সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং ফেডারেল সরকার তদন্ত শুরু করেছে। তারা জড়িতদের চিহ্নিত করা ও গ্রেফতার করার জন্য চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করেছে। আমার দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এভাবে যৌথ সহযোগিতা করার মাধ্যমে আমরা এই ষড়যন্ত্রের সত্য উন্মোচন করতে পারবো এবং এই ভয়াবহ হামলার অপরাধীদের খুঁজে বের করতে পারবো।

 

বিলাওয়াল আরও বলেন, কীভাবে পাকিস্তানে চীনাদের নিরাপত্তা জোরদার করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করার জন্য বিশেষভাবে একটি মন্ত্রিসভার বৈঠক আহ্বান করেছে পাকিস্তান সরকার। তিনি তার মেয়াদের শুরুতে দূতাবাসে যান, এর উদ্দেশ্য পাকিস্তানে চীনাদের বাস্তব সমস্যার কথা শোনা এবং সেগুলো সমাধানে কাজ করা। তিনি বলেন,

‘চীনা বন্ধুরা যারা কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট সফর করেন বা এখানে কাজ করেন, তাদের নিরাপত্তা ও পাকিস্তানজুড়ে সব চীন-পাক অর্থনৈতিক করিডোর প্রকল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের অবশ্যই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এটিও আমাদের সরকারের লক্ষ্য। আমাদের চীনা অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মন্ত্রীসভায় সরকার ধারাবাহিক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি এখানে চীনা মানুষদের সাথে যোগাযোগ করা, তাদের উদ্বেগ শোনা এবং নিজ উদ্যোগে এসব সমস্যা সমাধান করার প্রত্যাশা করছি। আমাদের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করতে চাই যে, সব চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠে মহান চীনা জনগণের সাথে কাজ করে পাক জনগণ এবং চীনা জনগণের জন্য একটি উজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গড়ে তুলবো।
লিলি/তৌহিদ