এপ্রিল ২৭: ‘আমরা মার্কিন কর্তৃপক্ষকে সকল উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে, একতরফা পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে, এবং আফগানিস্তানে মানবিক সংকটে যথাযথ প্রতিক্রিয়া দেখাতে আহ্বান জানাই’। সম্প্রতি, ১৪ জন স্বাধীন জাতিসংঘ মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলেন। তারা বিবৃতিতে মার্কিন সরকারকে আফগানিস্তানের সেন্ট্রাল ব্যাংকের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সম্পদ ফেরত দেওয়ার দাবিও জানান। জাতিসংঘব্যবস্থা থেকে এ আহ্বান গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত এ আহ্বানে সাড়া দেওয়া।
কয়েক বিলিয়ন ডলার ওয়াশিংটনের কাছে কিছুই নয়, তবে এই ডলার আফগানিস্তানের জন্য জীবন রক্ষাকারী হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধে বিধ্বস্ত আফগানিস্তান। এখন সেখানকার অস্থায়ী সরকার জাতীয় পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছে, অথচ তাদের কোনো আর্থিক সঙ্গতি নেই। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির মূল্যায়ন অনুসারে, আফগানিস্তানের ২৩ মিলিয়নেরও বেশি লোকের জরুরি খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন এবং প্রায় ৯৫ শতাংশ জনসংখ্যার পর্যাপ্ত খাবার নেই। এ ছাড়া, ৪ মিলিয়নেরও বেশি আফগান বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
এ সবের জন্য দায়ী কে? আমেরিকা নয়? ২০০১ সালে, যুক্তরাষ্ট্র "সন্ত্রাসের বিরোধিতার" নামে আফগানিস্তানে অন্যায় যুদ্ধ শুরু করে। গত ২০ বছরে যুদ্ধের ফলে লক্ষাধিক আফগান বেসামরিক লোক হতাহত হয়েছে এবং প্রায় ১১ মিলিয়ন শরণার্থী হতে বাধ্য হয়েছে। মার্কিন সামরিক বাহিনীর নির্বিচার হত্যাকাণ্ড বিশ্বকে হতবাক ও ক্ষুব্ধ করেছে।
ঘটনাগুলি বারবার প্রমাণ করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র যে নিরঙ্কুশ নিরাপত্তা ও নিরঙ্কুশ আধিপত্যের নীতি অনুসরণ করে, তা বিশ্বের অশান্তি ও বিশৃঙ্খলার উত্স। যে আমেরিকান রাজনীতিবিদরা আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলাকে দুর্বল করেছেন এবং আন্তর্জাতিক নিয়মকে পদদলিত করেছেন, তাদের "গণতন্ত্র" এবং "মানবাধিকার" নিয়ে কথা বলার অধিকার নেই। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের সাধারণ কণ্ঠস্বর শুনতে না পাওয়ার ভান করবেন না। বিশ্ব মানবাধিকার রক্ষকদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায়! (ওয়াং হাইমান/আলিম/স্বর্ণা)