এপ্রিল ২৭: বেশিরভাগ লোকই মনে করেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা অধিকাংশই সিনিয়র পন্ডিত। তবে বিপুলসংখ্যক তরুণ বর্তমানে চীনে প্রথম সারির প্রত্নতাত্ত্বিক হিসেবে কাজ করছেন। অন্যদের চোখে কঠিন এবং বিরক্তিকর প্রত্নতাত্ত্বিক কাজে এসব তরুণের আনন্দ। তারা বলে, সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষের দিকে তাকালে, মনের মধ্যে স্পন্দন সৃষ্টি হয়, যা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব।
দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের সিছুয়ান প্রদেশের সানশিংতুই সাইটের ইতিহাস কয়েক হাজার বছরের। এটি শত বছরের মধ্যে মানবজাতির অন্যতম সেরা প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার হিসেবে পরিচিত। সুই তান ইয়াং সিছুয়ান প্রাদেশিক ইনস্টিটিউট অফ কালচারাল রিলিক্স অ্যান্ড আর্কিওলজিতে কর্মরত একজন তরণ। তার প্রতিদিনের কাজ সানশিংতুই সাইটে খনন করা। তিনি প্রতিদিন ব্রাশ দিয়ে আলতো করে মাটি ঝাড়েন, টুথপিক দিয়ে সূক্ষ্ম জাগয়াগুলো চিহ্নিত করেন। তা ছাড়া, পরিমাপ করা, মানচিত্র তৈরী করা, ফটোগ্রাফ করা বা স্কেচ করা তো আছেই।
১৯৯৯ সালে জন্মগ্রহণকারী লিউ ফানও সানশিংতুই খননস্থলে রেকর্ড করার কাজ করেন। তিনি বলেন, এসব ‘নীরব’ কিন্তু ‘অর্থবহ’ সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে যোগাযোগ করা খুবই মজার।
সানশিংতুই ৩ নম্বর পিটের খননের দায়িত্বে থাকা ইয়াং জেন একজন যুবক। তিনি একের পর এক ১০০টিরও বেশি ব্রোঞ্জের জিনিসপত্র খননের প্রক্রিয়া পত্যক্ষ করেছেন। স্কুলে পড়ার সময়ে এটাই তাঁর স্বপ্ন ছিলো।
প্রত্নতত্ত্বের প্রতি এসব তরুণ চীনার উত্সাহ সবাইকে মুগ্ধ করে। তাদের একটি ছোট আবিষ্কারের কারণে হয়তো ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে হয়।
(ইয়াং/আলিম/হাইমান)