এপ্রিল ২৬: ২০২২ সাল আর্টোমিসিনিন আবিষ্কারের ৫০তম বার্ষিকী। ৫০ বছর আগে থু ইয়ৌ ইয়ৌ এবং তাঁর মতো চীনা বিজ্ঞানীরা প্রথম আর্টোমিসিনিন আবিষ্কার করেন। এর মাধ্যমে চীনে ম্যালেরিয়া সম্পূর্ণরূপে নির্মূল হতে পেরেছে। এতো ভাল ওষুধ চীন উদারভাবে সারা বিশ্বের সাথে শেয়ার করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অসম্পূর্ণ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আর্টোমিসিনিন বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ জীবন বাঁচিয়েছে।
২০২১ সালের শেষ নাগাদ পর্যন্ত চীন উন্নয়নশীল দেশগুলোর হাজার হাজার ম্যালেরিয়া-প্রতিরোধক প্রযুক্তিবিদকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। চীন ৩০টি দেশকে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করেছে এবং ৭২টি উন্নয়নশীল দেশে ২৮ হাজার চিকিত্সক পাঠিয়েছে। ‘ছোট কিন্তু সুন্দর’ আর্টোমিসিনিন বিশ্বের জন্য চীনের একটি মূল্যবান উপহার। এতে মানব স্বাস্থ্যের একটি অভিন্ন কমিউনিটি গঠনে চীনের দায়িত্বশীল মনোভাবের প্রতিফলন ঘটেছে।
আর্টোমিসিনিন ছাড়াও, অনেক আফ্রিকান মানুষের মনে আছে যে, আফ্রিকায় যখন ইবোলা মহামারীতে আক্রান্ত হয়েছিলো, তখন অনেক দেশ আফ্রিকা থেকে নিজেদের লোকজন প্রত্যাহার করেছিলো। কিন্তু চীন অবিলম্বে আফ্রিকাকে সাহায্য করার জন্য একটি চিকিত্সক দল পাঠায় এবং সবচেয়ে জরুরী ওষুধ ও ত্রাণসামগ্রী পাঠায়। ইবোলার সাথে যুদ্ধে চীন আফ্রিকান দেশগুলোর পাশে থেকেছে, লড়াই করেছে।
বর্তমান কোভিড-১৯ মহামারী সারা বিশ্বে ছড়িয়েছে। চীন আবারও বিশ্বের সবচেয়ে বড় জরুরী মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এ পর্যন্ত চীন মোট ১৫৩টি দেশ ও ১৫টি আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে বিলিয়ন বিলিয়ন মহামারী প্রতিরোধক ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে এবং ১২০টিরও বেশি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে ২২০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করেছে, যা মানবজাতিকে এ মহামারীর কবল থেকে রেহাই পেতে বিপুলভাবে সহায়তা করেছে।
(ইয়াং/আলিম/হাইমান)