ঢাকা, এপ্রিল ২১: ঈদকে সামনে রেখে বৈশাখের তপ্ত রোদ উপেক্ষা করে বাংলাদেশের রাজধানীর ঢাকার শপিংমল, মার্কেট, ফুটপাতসহ সবখানে জমে উঠেছে কেনাকাটা।
মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের বাকি দুই সপ্তাহের কম সময়। তাই আগেভাগেই কেনাকাটা সারতে বিপণি-বিতানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। করোনা মহামারির ধকল কাটিয়ে দুই বছর পর এবারই প্রথম ঈদের কেনাকাটায় ফিরে এসেছে স্বাভাবিকতা।
রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমল ও মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজধানীবাসী। অনেকে নিয়ে এসেছেন পরিবারের সদস্যদের। এমনকি যারা দিনের বেলা যানজট ও মানুষের ভিড় এড়িয়ে নিরিবিলিতে কেনাকাটা করতে চান, তারা মার্কেটে আসছেন ইফতারের পর।
ঈদে ক্রেতা আকর্ষণ করতে নতুন ডিজাইনের নানা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারাও। মেয়েদের থ্রি-পিস, সালোয়ার-কামিজ এবং রং ও ডিজাইন মিলিয়ে ওড়নাসহ অন্যান্য সামগ্রী কিনছেন নারীরা। কিনছেন পছন্দের গহনা ও প্রসাধনীও। ছোটদের কেনাকাটায়ও পিছিয়ে নেই অভিভাবকরা।
এবারের ঈদ আয়োজনে ছেলে শিশুদের জন্য আছে শার্ট, ফতুয়া, শর্ট স্লিভ, ফুল স্লিভ, লং প্যান্ট, কোয়ার্টার প্যান্ট ও বিভিন্ন রংয়ের পাঞ্জাবি। মেয়ে শিশুদের জন্য রয়েছে- ফ্রক, পার্টি ফ্রক, ফ্যাশন টপস, থ্রি পিস, জাম্প স্যুট, নীমা সেট, টপ বটম সেট, লং ও শর্ট স্লিভ শার্ট, পলো টি-শার্ট ও কার্গো।
পুরুষদের পোশাকের মধ্যে বেশি চলছে হালকা ও টেকসই ফেব্রিকের তৈরি বিভিন্ন রংয়ের পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, ইজি কেয়ার শার্ট, পাজামা, ডেনিম প্যান্টস, জিন্স ও গ্যাবাডিনের প্যান্ট।
আর মেয়েদের জন্য রয়েছে- থ্রি পিস, টু পিস, কাজ করা জর্জেট কামিজ, ভিসকস কামিজ, বিভিন্ন রংয়ের প্রিন্ট লং শার্ট, টপস, টিউনিকস, কামিজের জন্য রয়েছে এমব্রয়ডারি স্ক্যান্টস, পালাজ্জো ও লেগিংস।
মেয়েকে সাথে নিয়ে বেইলি রোডে ঈদ শপিংয়ে এসেছেন সুমনা হক। চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে তিনি জানান, “করোনার জন্য গেল দুই বছর বাইরে বের হয়ে কেনাকাটা করতে পারি। এবার পরিবারের জন্য ঈদ শপিং করতে বের হয়েছি। দাম মোটামুটি কমই আছে”।
বনানীর ১১ নম্বরে শাড়ি কিনতে এসেছেন নীরা আলেয়া। তিনি চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে জানান, “এখনো সেভাবে শুরু করি নাই ঈদ শপিং। কিছুদিন পর থেকে সবার জন্য কেনাকাটা শুরু করবো”।
মার্কেটের সোনালী ফ্যাশন হাউজের রোখসানা আক্তার চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে জানান, “আমরা এবারের ঈদে ক্রেতাদের কথা বিবেচনায় রেখে বাহারি ও নান্দনিক ডিজাইনের পোশাক এনেছি। বিভিন্ন দামের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে আমাদের এখানে। খুব কম দামের মধ্যেই আমরা দিচ্ছি আমরা।
আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে বিক্রি কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “গত দুইবছর সেভাবে বিক্রি করতে পারি নাই। সেই তুলনায় এবার ভালোই বিক্রি হচ্ছে। কাস্টময়ার আসতেছে মার্কেটে।
ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় হবে, বিক্রিও হবে বলে প্রত্যাশা বিক্রেতাদের।
বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সের আরেক কাপড় ব্যবসায়ী সুমন মাহবুব চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে জানান, “এবার মোটামুটি ভালো বিক্রি হচ্ছে। অনেকেই আসছে কিনতে। কয়েকদিন পর আরও বাড়বে মনে আশা করছি”।
ইস্টার্ন প্লাজা মার্কেটের ব্যবসায়ী কাওসার আহমেদ চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে জানান, “ছুটির দিনগুলোতে ভিড় বেশি হয় দোকানে। ঈদের আগ দিয়ে বিক্রি আরও ভালো হবে আশা করছি”।
প্রতিবেদন- আফরিন মিম
সম্পাদনা- সাজিদ রাজু