চীনে গ্রামাঞ্চলের বাচ্চাদের জন্য আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টির চেষ্টা
2022-04-18 14:13:34

বিগত কয়েক বছর ধরেই চীনের গ্রামাঞ্চলের উন্নয়ন এবং সেখানকার শিক্ষা খাতের ওপর অনেক গুরুত্ব দিয়ে আসছে চীনের কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ, গ্রামাঞ্চলে গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা দেশের উন্নয়ন ও গ্রামের পুনরুজ্জীবনের জন্য জরুরি। চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং যুবক বয়সে গ্রামের তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করেছেন। তাই গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে বরাবরই তিনি আগ্রহ দেখিয়ে আসছেন। ২০২২ সালে চীনের ‘দুই অধিবেশন’ চলাকালে সরকারি কার্যবিবরণীতে বাধ্যতামূলক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন ও গ্রামাঞ্চলের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ আর বেতন বাড়ানোসহ বিভিন্ন বিষয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

২০১২ সালের পর থেকে চীনের গ্রামাঞ্চল ও দূরবর্তী এলাকার শিক্ষা খাতের মান উন্নয়নে নানান ব্যবস্থা গ্রহণ করে এসেছে চীনের সরকার। এসব ব্যবস্থার মধ্যে আছে অবকাঠামো নির্মাণ ও স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষকদের সংখ্যা বৃদ্ধি। এখন গ্রামাঞ্চলের শিশুরা শুধু স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না, বরং ভালো শিক্ষকও পাচ্ছে। আজকের অনুষ্ঠানে চীনের বিভিন্ন এলাকার গ্রামাঞ্চলের শিক্ষা খাতের কিছু গল্প শেয়ার করব।

 

সিছুয়ান প্রদেশের মিয়ানইয়াং শহরের পাইনি জেলার প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক চাং সিউ ছিনের গল্প

১৯৯৫ সাল থেকে চাং সিউ ছিন পাইনি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। দেখতে দেখতে প্রায় ৩০ বছর কেটে গেছে। অতীতের কথা স্মরণ করেন তিনি। অতীতে পাহাড়াঞ্চলের বাচ্চাদের জন্য লেখাপড়া করা অনেক কঠিন কাজ ছিল। দারিদ্র্যের কারণে অনেক পরিবার সময়মতো শিশুদের বই কিনে দিতে পারতো না। তখন শিক্ষক চাং তার নিজের বেতনের টাকা দিয়ে তাদের জন্য বই কিনতেন এবং মাইলের পর মাইল পাহাড়ি রাস্তা অতিক্রম করে শিশু-শিক্ষার্থীদের বাড়িতে যেতেন। সেই সময় স্কুলে কোনো খেলার মাঠ ছিল না। শিক্ষকরা একসাথে নদীর সৈকত এলাকা পরিষ্কার করে মাঠ নির্মাণ করেন। এতে বাচ্চাদের খেলার সুযোগ সৃষ্টি হয়, তাদের মুখে হাসি ফোটে। তাদের আনন্দ দেখে শিক্ষকরাও নিজেদের ক্লান্তি ভুলে আনন্দিত হন।

২০০৮ সালের মে মাসে সিছুয়ান প্রদেশের ওয়েনছুয়ান জেলায় ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। তখন সবার জন্যই কঠিন ও দুঃখজনক মুহূর্ত। শিক্ষক চাংয়ের পরিবারের সদস্যরাও তখন ওয়েনছুয়ান জেলায় ছিলেন। তিনি কিন্তু নিজ পরিবারের কাছে ফিরে যাননি। তিনি দুর্গত এলাকার কাছাকাছি তাপিং গ্রামে গিয়ে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতেন। সেই বছরের অগাস্ট মাসে যখন স্কুলের গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হয়, তখন শিক্ষক চাং নিজ পরিবারে ফিরে যান। নিজের বাবার অসহায় চোখ দেখে তিনি অনেক কাঁদেনও।

দুর্যোগের পর বিভিন্ন পক্ষের সহায়তায় পাইনি প্রাথমিক স্কুলের অবকাঠামো অনেক উন্নত হয়। নতুন কম্পিউটার, সরঞ্জাম, ইলেকট্রনিক যন্ত্র, পিয়ানোসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র এবং খেলাধুলার সরঞ্জাম স্কুলে আসে। ইন্টারনেট প্রযুক্তির ছোঁয়াও লাগে স্কুলে। প্রতিটি ক্লাসে অনলাইনে বিভিন্ন তথ্য পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। অতীতে পাহাড়াঞ্চলের বাচ্চাদের কল্পনাশক্তি ছিল দুর্বল। কোনো বিষয়ে প্রবন্ধ লিখতে বললে তারা হয়রান হতো; জানতো না কীভাবে লিখতে হবে। তবে অনলাইন ক্লাস চালু হবার পর তারা বড় শহরের বাচ্চাদের মতো শিক্ষা পাওয়া শুরু করে এবং তাদের শিক্ষার মান অনেক উন্নত হয়। তারা আরও আত্মবিশ্বাসী ও প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে।

সাথে সাথে শিক্ষকদের বেতনও আগের চেয়ে বেড়েছে। ২০১৯ সালে শিক্ষক চাংয়ের উদ্যোগে পাইনি প্রাথমিক স্কুলে ছিয়াং জাতির ইয়াওপাং নৃত্যদল গঠিত হয়। ইয়াওপাং নৃত্য চীনের অবৈষয়িক সংস্কৃতির অন্যতম। স্কুলের বাচ্চারা চাংয়ের সাহায্যে ইয়াওপাং নৃত্যের আমেজ অনুভব করে। গত ২৭ বছরে তাঁর চোখের সামনে অনেক পাহাড়ি বাচ্চা বড় হয়েছে এবং দেশ ও জন্মস্থানের উন্নয়নে নিজেদের অবদান রাখছে।

 

ছোংছিং মহানগরের থুচিয়া জাতির অধ্যুষিত এলাকার চংইসিয়াং প্রাথমিক স্কুলের সাবেক প্রেসিডেন্ট থান শুন সিয়াং

২০১৯ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ছোংছিং মহানগরে পরিদর্শন করতে আসেন। সেই সময় তিনি থুচিয়া জাতির অধ্যুষিত জেলার চোংইসিয়াং প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা করেন। তিনি তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণও দেন। সি’র কথা শুনে শিক্ষক থান বেশ উত্সাহ পান। তখন সি বলেছিলেন, জীবনযাপন কষ্টের হলেও বাচ্চাদের কষ্ট দেওয়া চলবে না; দরিদ্র হলেও শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে দুর্বলতা দেখানো চলবে না। দরিদ্র পাহাড়াঞ্চলের বাচ্চাদের শিক্ষা ও সুখী বাল্যকাল নিশ্চিত করতে হবে। কয়েক বছর পর এই প্রাথমিক স্কুলের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে।

শিক্ষক থাং তা পেং তরুণ বয়সে শিক্ষক হিসেবে স্কুলে যোগ দেন। শুরুর দিকে স্কুলে তার কাজ কিছুটা বিশৃঙ্খল ছিল। পরে সিনিয়র শিক্ষক মা ইং ছুই তাকে সাহায্য করেন এবং শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা তার সাথে শেয়ার করেন। ধীরে ধীরে তরুণী শিক্ষক থাংয়ের কাজে শৃঙ্খলা ফিরে আসে। তিনি এই স্কুলে দীর্ঘকাল ধরে কাজ করার জন্য প্রস্তুত হন।

কেবল পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া নয়, অবসর সময়ে স্কুলের শিক্ষকরা বাচ্চাদের মাটি ভাষ্কর্য তৈরি শেখান; স্কিপিংসহ পাঠ্যপুস্তকের বাইরের অনেককিছুই তাদের শেখান। ছাত্রছাত্রীদের মানসিক পরামর্শও দিতে থাকেন তারা। স্কুলের বাচ্চাদের অনেকের পিতামাতা বড় শহরে চাকরি করেন। তাই তাদের পারিবারিক শিক্ষা নেই বললেই চলে। এ সমস্যা মোকাবিলায় শিক্ষকরা বাচ্চাদের অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া শুরু করেন এবং তাদের সুখী জীবন নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হন।

গত কয়েক বছর ধরে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার আগ্রহও অনেক বেড়েছে। ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন চাহিদা ও শখ মেটাতে আধুনিক সরঞ্জামের ব্যবস্থা করেছে স্কুল। ক্যালিগ্রাফি ক্লাস, চীনামাটির ভাষ্কর্য ক্লাস চালু হয়েছে। ৫জি প্রযুক্তির মাধ্যমে বড় শহরের বাচ্চাদের সাথে অনলাইনে ক্লাস করার অভিজ্ঞতা পাচ্ছে শিশুরা।

মেয়ে থা চিয়া লি কয়েক বছর আগে চোংইসিয়াং প্রাথমিক স্কুল থেকে স্নাতক হয়েছে। এখন সে একটি মাধ্যমিক স্কুলে পড়াশোনা করে। প্রাথমিক স্কুলে সে ক্যালিগ্রাফি ও এরহু বাজানো শিখেছে। তার মতো বাচ্চারা এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

 

চীনের সি’আন চিয়াওথং বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেক শিক্ষক নি মেংয়ের গল্প

চীনের ইয়ুননান প্রদেশের শিতিয়ান জেলা নুচিয়াং নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত। চীনা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে এ জেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সম্পর্কে জানতে পারেন সি’আন চিয়াওথং বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নি মেং। যখন শিতিয়ানের স্কুলে স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়, তখন তিনি আবেদন করেন।

২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে খুনমিং শহরে ৫ জন স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষকের সাথে প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নেওয়া পর তারা টানা ১০ ঘন্টার বাস জার্নিশেষে শিতিয়ানে পৌঁছান। আসার পথে সবুজ পাহাড় এবং বনাঞ্চলের দৃশ্য তাদের ভালো লাগে। মনে আনন্দ নিয়ে তারা স্কুলে যায়। তবে স্কুলে যাওয়ার পর খেয়াল করে যে, সেখানকার বাচ্চাদের পড়াশোনার প্রতি তেমন একটা আগ্রহ নেই, শিক্ষকদের প্রশ্নেরও জবাবও তারা দিতে পারে না।

এ অবস্থার পরিবর্তনে স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষক নি বাচ্চাদের বাড়ি বাড়ি ঘুরতে থাকেন। সাপ্তাহিক ছুটিতে তিনি পাহাড়ি রাস্তা ধরে হেঁটে হেঁটে একেকজন শিক্ষার্থীর বাড়ি যান ও তাদের অবস্থার খোঁজখবর নেন। একবার তিনি দেড় ঘন্টার পাহাড়ি রাস্তায় হেঁটে একজন ছাত্রীর বাসায় যান। তখন মেয়েটি নানীকে সাহায্য করছিল ঘরের কাজে। সেই সময় মেয়ের সাথে কথাবার্তা বলেন শিক্ষক ই। তাদের পরিবারের সমস্যা, পড়াশোনায় তার অমনোযোগ নিয়ে আলোচনা করেন। তখন থেকে বাচ্চাদের অনুভূতির ওপর আরো বেশি গুরুত্ব দেওয়া শুরু করেন শিক্ষক ই। পরে মেয়েটি আরও প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে এবং লেখাপড়ায় ভালো করতে শুরু করে।

জেলার ১৩টি উপজেলা সফর করেন শিক্ষক ই। তিনি খেয়াল করেন যে, পাহাড়াঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থার দুর্বলতার কারণ কেবল শিক্ষক বা শিক্ষাসরঞ্জামের অভাব নয়, বরং শিক্ষক ও বাচ্চাদের পিতামাতাদের আত্মবিশ্বাসের অভাবও বটে। এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সি’আন চিয়াওথুং বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে শিতিয়ান প্রাথমিক স্কুলের ২৫টি ক্লাসের জন্য ৬৮৪টি বই যোগাড় করা হয়। আর প্রতিটি ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের ‘কলম বন্ধু’ নির্ধারণ করা হয়। এভাবে ছাত্রছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করা শুরু করে এবং নিজেদের মনের কথা শেয়ার করার সুযোগ পায়। প্রতিদিন ক্লাসের আগে ছাত্রছাত্রীরা সহপাঠীদের সাথে নিজেদের স্বপ্ন তুলে ধরতে শুরু করে। ধীরে ধীরে গ্রামাঞ্চলের বাচ্চারা আগের চেয়ে অনেক বেশি কথা বলতে শেখে, অনেক রাত পর্যন্ত বইও পড়তে শেখে।

স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষকের মেয়াদ দ্রুত শেষ হয়ে যায়। বিদায়ের সময় শিক্ষক ই অনেক ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে শুভেচ্ছাকার্ড পান। তাদের কেউ কেউ লিখেছে: আমরা বড় হওয়ার পর শিক্ষকের মতো সি’আনে পড়াশোনা করবো। পাহাড় থেকে বাইরে বের হয়ে দুনিয়ার আরো নতুন দৃশ্য দেখবো।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শিতিয়ান প্রাথমিক স্কুল নতুন জায়গায় স্থানান্তরিত হয়। সেখানে খেলার মাঠ, পাঠকক্ষ, পরীক্ষাগারসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা আছে। এ সম্পর্কে শিক্ষক ই বলেন, উইচ্যাট থেকে এ সুখবর পেয়ে তিনি খুব আনন্দিত হয়েছে। বাচ্চারা আনন্দের সাথে নতুন ক্লাসরুমে লেখাপড়া করতে পারবে—এটা তার জন্য সুখের ব্যাপার।

 

হ্যপেই প্রদেশের ছাংচৌ শহরের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষকদের দল

শিক্ষক ছেন পাও ইয়ো চীনের হ্যপেই প্রদেশের হস্তকর্মশিল্প পরিষদের সদস্য, যিনি ভালো মাটির ভাষ্কর্য তৈরি করতে পারেন। অবসর নেওয়ার পর তাঁর মতো অনেকে জন্মস্থানের বাচ্চাদের শিক্ষাদানে নিজেদের অবদান রাখতে আগ্রহী হন। গ্রামাঞ্চলের প্রাথমিক স্কুলের বাচ্চাদের জন্য ‘হস্তকর্মশিল্প ওয়ার্কশপ’ স্থাপন করা তাদের বিশেষ উদ্যোগ। ছাংচৌ শহরের হাইসিং জেলায় কম সময়ের মধ্যে ৪০টি ওয়ার্কশপ নির্মিত হয়েছে। জেলার ১২টি মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শন করে ও শতাধিক পিতামাতার সাথে আলাপ করা পর এ ওয়ার্কশপ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়।

অতীতে চীনের গ্রামাঞ্চলে নান্দনিকতা ও খেলাধুলার ক্লাসের ব্যাপক অভাব ছিল। শিক্ষক ও শিক্ষা-উপকরণেরও অভাব ছিল প্রকট। বাচ্চাদের পিতামাতাদের অধিকাংশই বড় শহরে চাকরি করতেন। বাচ্চাদের পড়াশোনা চীনা ভাষা ও গণিত ক্লাসের সীমাবদ্ধ রাখতেই তারা সচেষ্ট ছিলেন। ফলে চারুকলা, সংগীত ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের দুর্বলতা ছিল স্পষ্ট।

শিক্ষক ছেন পাও ইয়ো’র ওয়ার্কশপ ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন থেকে মাটির ভাষ্কর্যের ক্লাশ ছাত্রছাত্রীদের প্রিয় ক্লাসে পরিণত হয়। প্রতিবার ক্লাসশেষে বাচ্চাদের হাতে নিজেদের তৈরি মাটির ভাষ্কর্য থাকে, যা তাদের জন্য বেশ মজার ব্যাপার। তাদের কল্পনা ও ডিজাইনও দিন দিন উন্নত হয়, বাচ্চাদের সৃজনশীলতাও অনেক বেড়েছে।

এ সম্পর্কে শিক্ষক ছেন বলেন, অবসর নিলেও তারা বাচ্চাদের শিক্ষাদানে নিজেদের অবদান রাখতে চান। বাচ্চারা বিভিন্ন ধরনের জ্ঞান অর্জন করলে তাদের বড় হওয়ার পথ মসৃণ হবে; তাদের স্বপ্ন থাকলে বড় হয়ে জন্মস্থানের উন্নয়নে নিজেদের ভুমিকাও রাখতে পারবে। এটাই অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষকদের আশা।

সুপ্রিয় বন্ধুরা, সময় দ্রুত চলে যায়, আজকের বিদ্যাবার্তা এখানে শেষ হয়ে এলো। আমাদের অনুষ্ঠান যারা মিস করেছেন, তারা আমাদের ওয়েবসাইটে তা শুনতে পারেন। ওয়েবসাইট ঠিকানা www.bengali.cri.cn,ফেসবুকে CRIbangla মাধ্যমে চীন ও বিশ্ব সম্পর্কে আরও অনেককিছু জানতে পারেন। তাহলে এবার বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন, আগামী সপ্তাহে আবার কথা হবে,যাইচিয়ান। (সুবর্ণা/আলিম/মুক্তা)