সম্প্রতি পিপলস ডেইলির এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, মার্কিন আধিপত্য মানব সমাজের শান্তি ও অগ্রগতির পথে এক মারাত্বক হুমকি। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র আমেরিকা মহাদেশের দেশসমূহের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে পশ্চিমা সভ্যতার মডেল মনে করে এবং তারা তাদের মুল্যবোধ্যকে ‘বৈশ্বিক মূল্যবোধ’ হিসেবে সারা দুনিয়াতে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক নীতিতে বরাবরই গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের কথা বলা হয়। কিন্তু তাদের বাস্তব কার্যক্রম হচ্ছে উপনিবেশবাদ, ডাকাতি এবং গণহত্যা। বর্তমান বিশ্ব একাধিক সংকটের সম্মুখীণ। একাধিক অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আন্তর্জাতিক সমাজের হাতে হাত রেখে এগিয়ে যেতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য মানব সমাজের শান্তি ও অগ্রগতির পথে মারাত্বক হুমকি, যা অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রসহ সবপক্ষকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
চীনের মানবাধিকারের বিষয় এবং তাইওয়ান, সিন চিয়াংসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্র। গত ১৩ এপ্রিল বেইজিংয়ে এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র চাও লি চিয়ান বলেন, অন্য দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অপপ্রচার বন্ধ করা উচিত। তিনি বলেন, চীনের মানবাধিকারের অবস্থা কেমন, তা চীনা জনগণ স্পষ্টভাবে জানেন। চীন সরকারের দেশ শাসনের সক্ষমতা কেমন, তা আন্তর্জাতিক সমাজ বলতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু মানুষের চীনের বিরুদ্ধে দেয়া অপবাদ সফল হবে না। তিনি বলেন, মার্কিন সরকার প্রতি বছর কথিত ‘মানবাধিকার প্রতিবেদনে’র নামে চীনকে অপমানিত, এবং বিশ্বের একাধিক দেশ ও অঞ্চলকেও আক্রমণ করছে। যুক্তরাষ্ট্র নিজের জন্য মানবাধিকারের বিচারকের ভাবমূর্তি নির্মাণের চেষ্টা করছে। তাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভন্ডামি এবং দ্বিচারিতার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, অন্য দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলা বন্ধ করা উচিত। যুক্তরাষ্ট্রকে নিজের ভুল ঠিক করে নিজ দেশের মানবাধিকার অবস্থার উন্নতি এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
(রুবি/এনাম)