এপ্রিল ১৪: ‘সিনচিয়াং একটি ভাল জায়গা’ শীর্ষক সিনচিয়াংয়ের সাংস্কৃতিক ও পর্যটন সপ্তাহের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে ৭ এপ্রিল ওসাকায় চীনা কনস্যুলেট জেনারেল অনলাইনে ‘আমার কাছের সিনচিয়াং’ শীর্ষক এক্সপেরিয়েন্স ওপেন ডে আয়োজন করে। এটি সিনচিয়াংয়ের সাংস্কৃতিক ও পর্যটন বিভাগের সাহায্যে আয়োজিত হয়। কনসুলার জেনারেল সুয়্যে চিয়ান এবারের অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলেন। পাশাপাশি, সিনচিয়াংয়ে ভ্রমণকারী অনেক জাপানি ব্যক্তি এতে অংশ নেন। তাঁরা সিনচিয়াংয়ে নিজেদের আকর্ষণীয় অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কনসুলার জেনারেল বলেন, সিনচিয়াং নিয়ে বিশ্বের মানুষের আগ্রহ অনেক। গত বছর কনসুলেটে ‘সিনচিয়াংয়ে সফর’ শীর্ষক কার্যক্রম আয়োজন করা হলে জাপানিদের মধ্যে তা ব্যাপক সাড়া ফেলে। প্রায় এক হাজার জাপানি অনলাইনে আবেদন করেন। সবাই সত্যিকারের সিনচিয়াংকে দেখতে আগ্রহী। বর্তমানে কোভিড-১৯ মহামারী আরও ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় সিনচিয়াংয়ে যাওয়া এখনই সম্ভব নয়। এজন্য কনসুলেট জেনারেলের উদ্যোগে অনলাইনে ‘আমার কাছের সিনচিয়াং’ শীর্ষক এক্সপেরিয়েন্স ওপেন ডেসহ ধারাবাহিক তত্পরতা আয়োজিত হয়। এর মাধ্যমে জাপানে বসেও সিনচিয়াংয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে। এই সম্পর্কে তিনি বলেন
“আমি আশা করি যে, সবাই এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আরও গভীরভাবে এবং স্বচ্ছতার সাথে সিনচিয়াংয়ের মোহনীয়তা অনুভব করতে পারবে। চীনে অনেক সুন্দর স্থান রয়েছে, সিনচিয়াং ছাড়াও, অনেক আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে। জাপানি সমাজের সাথে সেসব স্থানের যোগাযোগ গড়ে উঠতে পারে। চীন ও জাপানের মধ্যে বিনিময়ের ইতিহাস দুই সহস্রাধিক বছরের। পরস্পরকে জানাশোনার মাধ্যমেই দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক গভীরতর হতে পারে।”
দিনের কার্যকলাপের অংশ হিসেবে সকল অংশগ্রহণকারীকে তিনটি দলে বিভক্ত করা হয়। তারা নিজেদের পরিচয় দিয়েছেন এবং সিনচিয়াং সম্পর্কে তাদের ইমপ্রেশন ও কীওয়ার্ড লিখেছেন। সিনচিয়াং থেকে আনা সিনচিয়াংয়ের জাতীয় পোশাক পরেন তারা। এক্ষেত্রে তাদের সাহায্য করেন প্রবাসী চীনারা। তারা উইঘুর সঙ্গীতের তালে তালে কাজাখ, তাজিক ও কিরগিজ নৃত্য শেখার জন্য চার জন সিনচিয়াংয়ের নাচের শিক্ষকের সাথে যুক্ত হয়। তারা একসাথে প্রচারমূলক ভিডিও ‘সিনচিয়াং ইজ আ গুড প্লেস’ দেখেন এবং ভিডিওর মাধ্যমে সিনচিয়াং সম্পর্কে আরও জ্ঞান অর্জন করেন।
নাচ, পোশাক ও খাবারের মাধ্যমে তারা সিনচিয়াং সম্পর্কে তাদের জানাশোনা আরও সমৃদ্ধ হয়। আগে তারা শুধু টিভি বা নিউ মিডিয়ার মাধ্যমে সিনচিয়াং সম্পর্কে জেনেছেন। কিন্তু এ জানাশোনা ছিল ভাসাভাসা। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই জাপানিরা সিনচিয়াং সম্পর্কে অনেককিছু জানতে ও বুঝতে পারেন। সিনচিয়াং একটি খুব সুন্দর জায়গা, যেখানে কেবল সুন্দর দৃশ্যই নয়, বরং দয়ালু মানুষও রয়েছে। ওসাকা কনস্যুলেট কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সহস্রাধিক মানুষ নিজেদের নাম লেখান। মহামারী শেষ হওয়ার পরে প্রত্যেকে সুন্দর সিনচিয়াংকে ব্যক্তিগতভাবে অনুভব করার জন্য একটি বড় দল গঠন করতে পারবেন।
অনুষ্ঠান চলাকালে স্থানীয় সিনচিয়াং রেস্তোরাঁয় তৈরি খাবারের স্বাদ নেন জাপানিরা। তারা জানান, সিনচিয়াংয়ের পোশাক, খাবার ও নৃত্যগীত তাদের ভালো লেগেছে। সিনচিয়াং সম্পর্কে গণমাধ্যমে প্রচুর সত্য-মিথ্যা খবর তারা জেনেছেন। কিন্তু এবারের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা সত্যিকারের সিনচিয়াং সম্পর্কে জানার সুযোগ পেয়েছেন। (ওয়াং হাইমান/আলিম/স্বর্ণা)