প্রসঙ্গ: হাইনান অবাধ বাণিজ্য বন্দর নির্মাণের চতুর্থ বার্ষিকী
2022-04-13 11:33:06


এপ্রিল ১৩: চলতি বছর হাইনান অবাধ বাণিজ্য বন্দর নির্মাণের চতুর্থ বার্ষিকী। বিগত চার বছরে, অবাধ বাণিজ্য বন্দরে বিদেশি বিনিয়োগ ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ে, যা হাইনানের রপ্তানিমুখী অর্থনীতির বিকাশে ভূমিকা রেখেছে। এই বছর, হাইনান অবাধ বাণিজ্য বন্দরে দ্বীপব্যাপী কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স অপারেশনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর।

চলতি বছরের মার্চ মাসে, ‘সিন ল্য’ সমুদ্র মালবাহী লিমিটেডের অধীনে ‘মা ইউয়ে’ জাহাজটি আমদানি শুল্ক ছাড়পত্রের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এবং ‘চীনা ইয়াংফু বন্দর’-এ প্রবেশ করে। এটি ‘চীনা ইয়াংফু বন্দর’-এর প্রথম বিদেশি অর্থায়নে আন্তর্জাতিক জাহাজ। ইয়াং ফু অর্থনৈতিক উন্নয়ন এলাকার শিপিং শিল্প প্রকল্প অফিসের পরিচালক ছেন কুও সিং বলেন,


“প্রাথমিক যোগাযোগের সময় আমরা ‘সিন ল্য’ সমুদ্র মালবাহী লিমিটেডের কাছে ‘চীনা ইয়াংফু বন্দরের’ শিপিংয়ের ব্যবস্থা এবং  ভবিষ্যত উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পূর্ণরূপে পেশ করেছি। একই সময়ে কোম্পানিটি সরাসরি ঘটনাস্থলে গবেষণা পরিচালনা এবং কাস্টমস ও শিপিংসহ বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেছে এবং বিস্তারিতভাবে ‘ইয়াং ফুয়ের’ ব্যবসায়িক পরিবেশ সম্পর্কে জেনেছে। এর পর ইয়াং ফুতে শিপিং শিল্পে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

হাইনান অবাধ বাণিজ্য বন্দরের একটি ‘মডেল রুম’ হিসাবে,   ইয়াং ফু মুক্ত বাণিজ্য এলাকা সবার আগে ‘প্রথম লাইনে খোলা ও দ্বিতীয় লাইনে নিয়ন্ত্রণ’ শীর্ষক আমদানি ও রপ্তানি ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থাকে পরীক্ষামূলকভাবে কাজে লাগিয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় দেশি-বিদেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। পরিসংখ্যান অনুসারে, ‘হাইনান অবাধ বাণিজ্য বন্দর নির্মাণের সামষ্টিক  প্রস্তাব’ প্রকাশের পর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিক পর্যন্ত, ৪০০টিরও বেশি শিপিং শিল্প-প্রতিষ্ঠান ইয়াং ফুতে নিবন্ধিত হয়েছে ও কার্যক্রম শুরু করেছে। এসময়ের মধ্যে নতুন নিবন্ধিত জাহাজের সংখ্যা ২০৪টি। ‘চীনা ইয়াংফু বন্দর’-এ  নিবন্ধিত ৩৩টি আন্তর্জাতিক জাহাজ রয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের মোকাবিলায় নিজস্ব মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে হাইনান। পাশাপাশি, পর্যায়ক্রমে একটি বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ পরিষেবা হটলাইন খুলেছে,  আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের জন্য একটি একক উইন্ডো চালু করেছে,  এবং ব্যবসায়িক পরিবেশ সুবিন্যস্ত করতে ধারাবাহিক নিয়ম-বিধি প্রবর্তন করেছে। আরও উন্মুক্ত বাজার পরিবেশ তৈরি করার জন্য, হাইনান ‘সারা বিশ্ব থেকে প্রতিভা সংগ্রহ’ করার উদ্যোগ নিয়েছে।

শুল্কমুক্ত খুচরা শিল্পে প্রায় ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে সিঙ্গাপুরের লিন ইউয়ে ওয়েনের। তিনি অনেক দেশ ও অঞ্চলে কাজ করেছেন। গত বছরের জুন মাসে, হাইনান অবাধ বাণিজ্য বন্দরের নীতি দ্বারা তিনি আকৃষ্ট হন এবং হাইনান প্রদেশে একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে আইনী প্রতিনিধি হিসাবে কাজ শুরু করেন। আজ তাঁকে হাইনান প্রদেশে একজন উচ্চ-স্তরের প্রতিভা হিসেবেও মূল্যায়ন করা হয়েছে, যা তাঁর প্রতিভার প্রতি হাইনানের উন্মুক্ত মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। এই সম্পর্কে তিনি বলেন:


‘হাইনানের প্রতিভানীতি তুলনামূলকভাবে উন্মুক্ত, জাতীয়তার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। শুধুমাত্র শিক্ষাগত যোগ্যতা এখানে একমাত্র মাপকাঠি নয়।’

পরিসংখ্যান অনুসারে, হাইনান অবাধ বাণিজ্য বন্দর নির্মাণ হওয়ার পর বিগত ৪ বছরে, বিদেশি পুঁজির প্রবাহ অব্যাহতভাবে বেড়ে চলেছে। ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত টানা তিন বছর  বিদেশি পুঁজির প্রকৃত ব্যবহার দ্বিগুণ হওয়ার পর, ২০২১ সালে পুনরায় এটি দুই অঙ্কের বৃদ্ধি অর্জন করেছে। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে হাইনানের প্রকৃত ব্যবহৃত বিদেশি পুঁজির পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি ছিল।  (ওয়াং হাইমান/আলিম/স্বর্ণা)