আজকের টপিক: ইউরোপ-চীন সহযোগিতা প্রসঙ্গ
2022-04-07 19:47:08

এপ্রিল ৫: মেস রাস্টেনবার্গ, একজন জ্যেষ্ঠ ইউরোপীয় আইন ও অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ এবং সুইস-এশিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের চেয়ারম্যান, গত ২ এপ্রিল চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)-কে দেওয়া  এক  সাক্ষাত্কারে বলেন, চীন ও ইউরোপের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বৈঠক দুই পক্ষের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার এবং বোঝাপড়া গভীরতর করতে সহায়ক। বিশেষ করে বর্তমান জটিল ও অস্থির আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে চীন-ইইউ সম্পর্ক গোটা বিশ্বের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।

রাস্টেনবার্গ বলেন, বিশ্ব আজ অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এসময় শীতল যুদ্ধের মানসিকতা ধারণ করা এবং পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি করা খুবই অনুচিত। দুটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে, চীন ও ইউরোপের উচিত যোগাযোগ জোরদার করা এবং সংকটের সমাধান খুঁজতে একসঙ্গে কাজ করা। এই সম্পর্কে তিনি আরও বলেন,

‘চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁর ভাষণে বলেছেন, চীন ও ইউরোপের উচিত বিশ্ব শান্তি রক্ষা করা, জাতিসংঘকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা রক্ষার কাজে নেতৃত্ব দেওয়া, এবং আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা রক্ষা করা। তাঁর বক্তব্য আমাকে খুব প্রভাবিত করেছে। কারণ, শুধুমাত্র এইভাবে উভয় পক্ষ যৌথভাবে সংঘাত ও বিরোধ প্রতিরোধ করতে পারে। একটি নতুন শীতলযুদ্ধ ঠেকাতে পারে দু’পক্ষ।’

রাস্টেনবার্গ বলেন, বহু শতাব্দী আগে, সিল্ক রোড ইউরোপকে চীনের সাথে সংযুক্ত করেছিল। আজ, উভয় পক্ষই সাম্য এবং পারস্পরিক সুবিধার নীতির ভিত্তিতে অর্থনীতি এবং বিজ্ঞানের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই সংযোগকে প্রসারিত এবং গভীর করার আশা করছে, যাতে বিশ্বের সমৃদ্ধি এবং উন্নয়নে অবদান রাখা যায়। তিনি বলেন,  চীন ও ইউরোপের মধ্যে সহযোগিতা গভীরতর করার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে বর্তমানে মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং ডিজিটালাইজেশনসহ বিভিন্ন হট বিষয়। এই সম্পর্কে তিনি বলেন

‘আমি বিশ্বাস করি, কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ইউরোপ ও চীনের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা জোরদার হলে বিশ্ব সংঘাত ও বিরোধ থেকে রেহাই পাবে এবং বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হবে।’

ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় রাস্টেনবার্গ চীনা নেতাদের দেওয়া বিভিন্ন প্রস্তাবের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এটি ঠিক বর্তমানে সংঘর্ষ প্রশমনের সবচেয়ে জরুরি ও প্রয়োজনীয় বিষয় হলো মতৈক্য সৃষ্টি করা। এই সম্পর্কে তিনি বলেন,

‘আমার ধারণা, শান্তি ও সংলাপের পক্ষে থাকা, ইউরোপ ও ইউরেশিয়ায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, বৃহত্তর মানবিক সংকট রোধ করা এবং স্থানীয় সংঘাতের তীব্রতা কমিয়ে আনা খুবই প্রয়োজন । এই লক্ষ্যগুলি অর্জনের জন্য সকল পক্ষের একসাথে কাজ করা উচিত।’ (ওয়াং হাইমান/আলিম/ছাই)