এপ্রিল ৫: জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ৪৯তম সম্মেলনে চীনা মানবাধিকার গবেষণা সমিতি, চীনের বেসরকারি সংস্থা আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ত্বরান্বিত সমিতি ও চীনের জাতিসংঘ সমিতিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংস্থা ও মানবাধিকার গবেষণা সংস্থা বিভিন্ন অনলাইন অধিবেশন আয়োজন করেছে। চীন, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া, আর্জেন্টিনা ও ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশের সামাজিক সংস্থাসমূহের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা ‘চীনের সিনচিয়াংয়ে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন ও বিভিন্ন জাতির জনগণের সুখী জীবন’ শীর্ষক ইস্যুতে মত বিনিময় করেন। তাঁরা মনে করেন, চীনের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নের প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হয়েছে। পাশাপাশি, চীন বিশ্বের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নেও অবদান রাখছে। এক্ষেত্রে বিশ্ব চীনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে।
বিভিন্ন সাইড মিটিংয়ে অংশগ্রহণকারীরা চীনের সিনচিয়াং ও তিব্বতের সামাজিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মানবাধিকার উন্নয়নের অবস্থা তুলে ধরেন। সিনচিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপ্রধান জুলিয়াত্তি সিমাই বলেন, সিনচিয়াং অর্থনীতি উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি বাস্তবায়ন করেছে। আবাসন পরিস্থিতির উন্নয়ন, চিকিত্সা নিশ্চয়তা ব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গকরণ ও শিক্ষার মান উন্নয়ন করার মাধ্যমে সিনচিয়াংয়ের বিভিন্ন জাতির জনগণের জীবনমান অনেক উন্নত হয়েছে।
মার্কিন হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন একাডেমির পিএইচডি ডিগ্রিধারী লং আন চি তিব্বতে তথ্যচিত্র তৈরী করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি তিব্বতি মালভূমির প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষাকাজে চীনা সরকারের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।
চীনা তিব্বতি জ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের আধুনিক গবেষণালয়ের সহকারী গবেষক ইয়াং লি ইউয়ান বলেন, চীন সরকার ব্যাপকভাবে তিব্বতের অর্থনীতি ও সমাজ উন্নয়ন করে আসছে এবং স্থানীয় ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ভাষা সংরক্ষণ করার চেষ্টা করে চলেছে।
মিনজু ইউনিভার্সিটি অব চায়নার মার্কিন বিশেষজ্ঞ মার্ক লেভিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন জাতির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পরস্পরকে সম্মান করেন। এতে সকল জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ঐক্য ও সংহতি অনুভব করা যায়।
চায়না এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির মানবিক ও উন্নয়ন একাডেমির সহযোগী অধ্যাপক দং ছিয়াং ইউননান প্রদেশের মেংলা জেলা ইয়াও জাতির চাইহ্যে গ্রামের দারিদ্র্য থেকে মুক্ত হওয়ার অভিজ্ঞতা দিয়ে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র জনগণকেন্দ্রিক উন্নয়নের ধারণা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, চীনা গ্রামগুলোর অনেক পরিবর্তন ঘটেছে।
কানাডার বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড আগস্ট চীনের দারিদ্র্যবিমোচন কার্যক্রমে ওপর মন্তব্য করেন। তিনি মনে করেন, চীন সরকার ধারাবাহিক কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে দারিদ্র্যসমস্যার সমাধান করেছে।
পাকিস্তানে চীনা দূতাবাসের শ্যাজে ডেফেয়ার্স ফাং ছুন স্যুয়ে বলেন, সিপিসি শত বছরে চীনের অবস্থার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ জনগণের গণতন্ত্র গড়ে তুলেছে। এটি জনগণের সম্পূর্ণ গণতন্ত্রিক অধিকার রক্ষা করেছে।
চীনে পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত নাগমনা হাশমি বলেন, চীনের গণতান্ত্রিক উন্নয়নের অভিজ্ঞতা অন্যান্য দেশের জন্য শিক্ষনীয়।
ইউনিভার্সিটি কলেজ কর্কের ফলিত সামাজিক গবেষণা একাডেমির শিক্ষক ফেলিম হেডমেয়ার বলেন, বিশ্বায়ন ব্যবস্থার সমন্বয় ও উন্নয়ন করতে হবে। বিভিন্ন দেশের মধ্যে মানবাধিকার ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও সংলাপ জোরদার করতে হবে। (ছাই/আলিম/ওয়াং হাইমান)