এপ্রিল ৩: মার্কিন রাজনীতিবিদ ও পশ্চিম গণমাধ্যম আবার যৌথভাবে অভিনয় করা শুরু করেছে। ব্রিটিশ ‘দ্য টাইমস’ গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রবন্ধে তথাকথিত ‘মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রের’ উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, ইউক্রেনে রাশিয়া বিশেষ সামরিক অভিযান চালানোর আগে, ইউক্রেনের সামরিক ও পারমাণবিক ব্যবস্থার ওপরে চীন ব্যাপকভাবে হ্যাকিং চালায়। এ প্রবন্ধে আরো বলা হয়, সংশ্লিষ্ট অভিযোগ ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ব্যুরো থেকে এসেছে।
এটা সত্যিই বড় মিথ্যাচার! ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ব্যুরো বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ খবরের সত্যতা অস্বীকার করেছে। সফ্টওয়ার-এর সাবেক উর্ধ্বতন গোয়েন্দা তথ্যবিশ্লেষক কেভিন বোম্যান বলেন, ‘এটি পুরোপুরি একটি মিথ্যা গল্প’।
আসলে ইন্টারনেট হ্যাকিং নিয়ে কথা বলতে গেলে বলতে হয় যে, যুক্তরাষ্ট্রই আসল হ্যাকিং-রাষ্ট্র, আর চীন হলো তার শিকার। চীনের জাতীয় ইন্টারনেট জরুরি মোকাবিলা কেন্দ্র থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বিভিন্ন বিদেশি সংগঠন চীনের ইন্টারনেটে হ্যাকিং চালায় এবং এর মাধ্যমে রাশিয়া, ইউক্রেন ও বেলারুশে সাইবার হামলা চালায়। এসব সংগঠন প্রধানত মার্কিনি। সম্প্রতি চীনের দুটি ইন্টারনেট নিরাপত্তা কম্পানির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চীনা নাগরিকদের ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড, ব্যক্তিগত ফাইল, ইমেইল ও কিউকিউ ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা ব্যুরোর ইন্টারনেট হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে।
এসব থেকে বোঝা যায়, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চীন হ্যাকিং করছে না, বরং পশ্চিমা পক্ষ চীনকে মিথ্যা দোষারোপ করছে।
ইউক্রেন ইস্যু চীন সবসময় আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পক্ষে এবং দেশটিতে কয়কে দফায় মানবিক সহায়তাও দিয়েছে চীন। কিন্তু রুশ-ইউক্রেন সংঘর্ষ থেকে কে সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে? কোন দেশের অস্ত্র কারখানা লাভবান হচ্ছে? এসব প্রশ্নের উত্তর সবার জানা। মার্কিন পক্ষ ন্যাটো ইউক্রেনকে গ্রহণ করবে না মর্মে একটা ঘোষণা দিলেই এ যুদ্ধ এড়ানো যেতো। কিন্তু মার্কিন সরকার তা করেনি। কারণটা সহজেই বোঝা যায়। (ইয়াং/আলিম/ছাই)