‘চীনকে মুগ্ধ করা বার্ষিক মানুষের তালিকায়’ নির্বাচিত হলেন হংকংয়ের অভিনেত্রী ও উপস্থাপক ছেন ব্য আর
2022-03-31 16:19:38

গত ৩ মার্চ মাসে ‘চীনকে মুগ্ধ করা ২০২১ সালের বার্ষিক মানুষের’ তালিকা প্রকাশ করা হয়। তাদের মধ্যে একজন সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তিনিই ছেন ব্য আর বা জ্যানিস চান।

অভিনেত্রী হিসেবে তাঁর অভিনীত টিভি নাটক খুব কম এবং তিনি শুধুমাত্র কয়েকটি পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

তবে একজন উপস্থাপক হিসেবে তিনি বেশ সফল হয়েছেন। গত বছর তিনি ও তার দল ‘No Poverty Land’ শিরোনামে দারুণ প্রশংসামূলক একটি টিভি অনুষ্ঠান তৈরি করেন।

 

এই অনুষ্ঠানটি ছিল তার ‘চীনকে মুগ্ধ করা ২০২১ সালের বার্ষিক মানুষ’ পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার প্রধান কারণ।

চীনের মুলভূভাগের অধিকাংশ দর্শকের কাছে ছেন ব্য আর-এর নাম কিছুটা অপরিচিত। তাই অনেকে ভাবছিলেন যে, বিনোদনকর্মী কীভাবে বিজ্ঞানী, মহাকাশচারী অথবা খেলোয়াড়দের সঙ্গে পুরস্কার লাভ করতে পারে?

আজকের অনুষ্ঠানে আমরা ছেন ব্য আর-এর গল্প বলবো।

 

ছেন ব্য আর ১৯৭৯ সালের ১৪ জুন হংকংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ভ্যাঙ্কুভারে বড় হন। তাঁর বাবা হংকংয়ের সংগীত অঙ্গনের বিখ্যাত প্রযোজক।

এই পরিবারে বড় হওয়া ছেন ব্য আর বিনোদন অঙ্গনের প্রতি গভীর আগ্রহী ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করে তিনি হংকংয়ের প্রথম প্রজন্মের বিনোদন সংবাদ উপস্থাপক হিসেবে পরিচিতি পান।

তিনি বেশ কয়েকটি দেশের ভাষা বুঝতে ও বলতে পারেন এবং অস্কার ও কান চলচ্চিত্র উত্সবসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেন।

মাইকেল জ্যাকসন, জ্যাকি চান, লিওনার্দো ডিকাপ্রিও, কিমুরা টাকুয়াসহ বেশ কয়েকজন মহাতারকার সাক্ষাত্কার নিয়েছেন তিনি।

তবে ছেন ব্য আর নিজেকে বিনোদন অঙ্গনে সীমাবদ্ধ রাখতে চান নি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি আরো গভীর কিছু বিষয়ে কাজ করা শুরু করেন।

 

গত বছরে তাঁর নির্মিত ‘No Poverty Land’ নামে টিভি অনুষ্ঠান হলো এবারে তাঁর পুরস্কার পাওয়ার প্রধান কারণ।

প্রোগ্রাম গ্রুপ তিন মাসে চীনের মুলভূভাগের ৬টি প্রদেশের ১৪টি দরিদ্র অঞ্চলে যায়। হংকংয়ের কয়েকজন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব নিজস্ব অনুশীলন এবং আন্তরিক হৃদয় দিয়ে সত্যিকারভাবে সারাদেশে দারিদ্র্যবিমোচনের প্রক্রিয়া রেকর্ড করেছিলেন।

 

ধনী পরিবারে বড় হয়েছেন ছেন ব্য আর। এর আগে ‘দারিদ্র্যতা’ প্রসঙ্গে তার কোনো ধারণা ছিলো না। একটি অভিমানী দৃষ্টিকোণ এড়াতে তিনি প্রাথমিক পর্যায়ে অনেক তথ্য সংগ্রহ করেন। আর সীমিত তহবিলের কারণে তাঁর দলে আছে মাত্র ৫জন। তিনি ক্যামেরা ধরে রেখে অধিকাংশ শট সম্পন্ন করেন।

শুটিং করার প্রক্রিয়ায় ৪২ বছর বয়সী ছেন ব্য আর খুব পরিশ্রম করেছিলেন। নু চিয়াং নদীতে জিপলাইনের বিপদ অনুভব করার জন্য যদিও তিনি নিজে চেষ্টা করেন। তবুও এক হাতে ফাঁকা স্থানে সেলফি স্টিক ধরে রাখছিলেন। ভয়ে তিনি কাঁপছিলেন।

তা ছাড়া, তিনি দুবার ‘ক্লিফে’ অবস্থিত এক গ্রামে যান। সেই গ্রামের আসল নাম হলো আথুলিয়েআর গ্রাম। যা সিছুয়ান প্রদেশে সমুদ্রপৃষ্ঠের ১৪০০ থেকে ১৬০০ মিটার উঁচু পাহাড়ে অবস্থিত। তিনি উচ্চতার ভয় কাটিয়ে উঠতে বাধ্য হন।

 

তিব্বতে যাওয়ার এক সপ্তাহ আগে তিনি উচ্চতা-বিরোধী ওষুধ খাওয়া শুরু করেন। অবশেষে উচ্চতার কারণে তিনি অসুস্থ হন এবং তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

যেহেতু দরিদ্র অঞ্চলগুলো গভীর বনভূমি ও প্রান্তরে অবস্থিত, সেখানে বাস করা জনগণের জীবন অনেক কষ্টকর। শুটিং করার সময় চাষ করা, শিকার এবং রান্না করাসহ নানা কাজ শিখতে শুরু করেন। তিনি হালকা আড্ডা দিয়ে মানুষের সঙ্গে মানুষের দূরত্ব কমিয়েছেন। তিনি সবচে সহজ সরল উপায়ে দরিদ্র অঞ্চলের এক একটি মনোমুগ্ধকর কাহিনী সংগ্রহ করেছেন।

নু চিয়াং নদী প্রবাহিত অঞ্চলে তিনি ৫৭ বছর বয়সী একজন গ্রামীণ চিকিত্সকের সঙ্গে দেখা করেন। তার কাজ হলো নু চিয়াং নদীর দু’তীরে যাতায়াত করা গ্রামবাসীদের চিকিত্সা সেবা দেওয়া।

অতীতে স্থানীয়দের নদী পার হওয়ার প্রধান হাতিয়ার ছিল জিপলাইন। ভুলবশত ব্যবহার করা হলে, নদীতে পড়ে মারা যাওয়ার আশঙ্কা ছিল এবং কোন দেহাবশেষ অবশিষ্ট থাকতো না।

 

সেই গ্রামীণ চিকিত্সক ভীত নন এবং কয়েক দশক ধরে জিপলাইন দিয়ে নু চিয়াং নদীর দুই পাড়ে যাতায়াত করেছেন। সৌভাগ্যবশত বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি, তবে তার সারা শরীরে অসংখ্য ছোট বড় দাগ ও ক্ষত ছিল।

জিজ্ঞাসাবাদের পর সেই গ্রামীণ চিকিত্সক ছেন ব্য আরকে জানান যে, শুধুমাত্র একটি প্রতিশ্রুতির কারণে তিনি এখানে জোর করে টিকে আছেন। কয়েক দশক আগে গ্রামের একজন প্রবীণ চিকিৎসক তাকে সঙ্কটজনক অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনেন।

পুরানো গ্রামীণ চিকিত্সক তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, তিনি মানুষকে সুস্থ করে তুলতে এবং বাঁচিয়ে রাখতে এখানে থাকতে ইচ্ছুক কিনা।

তিনি গম্ভীরভাবে মাথা নাড়লেন। ৩৭ বছরে তার চারপাশে কিছু চিকিত্সক এসেছিলেন এবং চলেও গেছেন। শেষ পর্যন্ত, তিনিই অবিচল ছিলেন।

 

২০১৬ সালে ‘জিপলাইন টু ব্রিজ’ প্রকল্পটি চালু করা হয় এবং নদী জুড়ে ১৯৯টি সেতু সমস্ত জিপলাইন প্রতিস্থাপন করে। প্রায় এক শতাব্দী ধরে গ্রামবাসীদের বড় একটি সমস্যা অবশেষে সমাধান হয়। এরপর থেকে গ্রামবাসীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হওয়ার সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। সেই গ্রামীণ চিকিত্সক এই সেতুর মাধ্যমে আরো ভালোভাবে এবং আরও নিরাপদে গ্রামবাসীদের চিকিত্সা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

 

দারিদ্র্যবিমোচন ডকুমেন্টারির বেশিরভাগ অংশে আমরা কেবলমাত্র ম্যাক্রো-লেভেল ইঞ্জিনিয়ারিং রূপান্তর এবং নীতি বাস্তবায়ন দেখতে পারি। কিন্তু এই গ্রামীণ চিকিত্সকের মতো একজন জীবিত ব্যক্তি সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়।

ছেন ব্য আরের নির্মিত এই টিভি অনুষ্ঠানের কারণেই আমরা দারিদ্র্যবিমোচন প্রকল্প থেকে স্থানীয় জনগণের জীবনে বাস্তব পরিবর্তন দেখতে পেরেছি। ছেন ব্য আর তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় জীবনের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন।

সমতাসম্পন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এবং খাঁটি মনোভাব নিয়ে দেশের দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং দারিদ্র্য থেকে পরিত্রাণের প্রচেষ্টা ও সুনির্দিষ্ট ফলাফল রেকর্ড করেছেন তিনি।

তার এই টিভি অনুষ্ঠান মূল ভূখণ্ডের দর্শকদের প্রশংসার পাশাপাশি, হংকংবাসীদের সমাদরও পেয়েছে।

 

‘No Poverty Land’ নামে টিভি অনুষ্ঠান ছাড়া, ছেন ব্য আরয়ের আরো উল্লেখযোগ্য শিল্পকর্ম আছে।

‘No Poverty Land’ নামে টিভি অনুষ্ঠান নির্মাণের আগে তিনি ‘Faraway Brides’ নামে আরেকটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছিলেন।

এ প্রামাণ্যচিত্রের মোট তিনটি সিজন আছে। এই প্রামাণ্যচিত্রে এমন হংকংয়ের নারীদের খুঁজে বের করা যায়, যারা দূরদূরান্তে বিয়ে করেছেন, তাদের জীবনযাত্রার অবস্থা এবং বিবাহ সম্পর্কে মতামত জানা হলো প্রামাণ্যচিত্রের লক্ষ্য।

তিনি ও তার ক্রু দরিদ্র নাইজেরিয়াতে গিয়েছিলেন এবং যুদ্ধের সময় মিশরে পা রেখেছিলেন। এসব জায়গার সামাজিক অবস্থা অত্যন্ত বিশৃঙ্খল ছিল, প্রায়ই হত্যার মতো ঘটনা ঘটত এবং এশিয়ানরা ছিল প্রধান লক্ষ্য।

 

প্রামাণ্যচিত্রের ক্রুদের বিমানবন্দরে ৬ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়েছিল। অবতরণের পরও তাদের জীবন রক্ষায় স্থানীয় পুলিশকে ঘুষ দিতে বাধ্য করা হয়। বলা যায়, অনুষ্ঠানের উপস্থাপক মুহূর্তের মধ্যে যুদ্ধের সংবাদদাতা হঠে ওঠেন।

 

‘Faraway Brides’ নামে দ্বিতীয় সিজন চিত্রগ্রহণের সময় তিনি তার জীবনের একটি নিম্ন পর্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে ছয় বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন তিনি।

একদিকে তিনি হংকংয়ের মহিলাদের তাদের রোমান্টিক প্রেমের গল্প বলতে শুনেছেন। কেউ কেউ তাদের উচ্চ বেতন ছেড়ে স্বামীর সঙ্গে বিদেশে চলে যায়, কেউ কেউ তাদের আত্মীয়দের বিরোধিতা সত্ত্বেও প্রেমের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেন।

তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, সত্যিকারের ভালবাসা চিরকাল স্থায়ী হয়। অন্যদিকে তিনি গোপনে নিজের বিবাহবিচ্ছেদের তিক্ততা লুকিয়ে রাখেন।

 

‘Faraway Brides’ নামে প্রামাণ্যচিত্র শুধুমাত্র নিজের বিয়ের অভিজ্ঞতাই নয়, বরং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সামাজিক প্রতিফলন জাগিয়ে তুলেছে। যেমন ধরুন, সেরেনা নামে হংকংয়ের এক মেয়ের নাইজেরিয়ার সিনের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে তারা একে অপরকে ভালোবাসে। তারা দু’জন হংকংয়ে বাস করতেন। তাদের একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে আছে। জীবন সুন্দর ও স্থিতিশীল ছিলো। যেহেতু স্বামী কৃষ্ণাঙ্গ, তাই হংকংয়ে মাঝেমাঝে বৈষম্য সহ্য করতে হয় তাদের। তাই সেরেনা স্বামীর সঙ্গে হংকং থেকে নাইজেরিয়ায় চলে যান। ক্যামেরার সামনে সেরেনা জীবনের বাস্তবতা তুলে ধরেন। এখনকার জীবন সত্যিই কষ্টকর। অর্থনীতি অনুন্নত এবং অবকাঠামোও পশ্চাত্পদ। শুধু তাই নয়, নিরাপত্তার অবস্থাও উদ্বেগজনক।

 

হংকংয়ের আরেকটি মেয়ে স্বামীর সঙ্গে বেলজিয়ামে চলে যান। কারণ তারা ৫টি সন্তান জন্ম দিয়েছেন। হংকংয়ে এতগুলো শিশু লালন পালনের খরচ অনেক বেশি। বেলজিয়ামে শিশুদের লালন পালনে সরকারের বিশাল ভর্তুকি আছে।

আসলে হংকংয়ের বেশিরভাগ মেয়ে জন্মস্থান ছেড়ে যেতে চান না, তবে তাদের ছেড়ে যাওয়ার পেছনে উপযুক্ত কারণ আছে এবং ছেড়ে যাওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকে না।

 

বিবাহ ও দারিদ্র্যবিমোচন ছাড়াও, ছেন ব্য আর ‘স্ট্যান্ড আপ উইথ লাভ’ নামে আরেকটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছেন। এতে হংকং এবং সংশ্লিষ্ট কল্যাণ সংস্থায় বাস করা প্রতিবন্ধী শিশুদের উপর ফোকাস করা হয়েছে।

তারা সবাই জনসাধারণের অবহেলিত প্রাণী, সামান্য ব্যবহারিক সাহায্য নিয়ে সংগ্রাম করছে।

আমরা সবাই জানি, এমন ধরনের জনকল্যাণমূলক প্রামাণ্যচিত্র দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারে না। কিন্তু তিনি এখনও সময় ও  শক্তি দিয়ে কাজ করে থাকেন।

ছে ব্য আর’র প্রোগ্রামের সবচে বড় বৈশিষ্ট্য হল সত্য সঠিক বিষয়বস্তু।

২০২১ সালে তিনি বিদেশি মিডিয়াতে চীনের ‘লক্ষ্যযুক্ত দারিদ্র্য বিমোচনের’ সমালোচনা করে প্রচুর প্রতিবেদন দেখেছিলেন।

তিনি সন্দেহের মধ্যে ছিলেন এবং মিডিয়ার লোকেদের সত্য-সন্ধানী চেতনার সাথে ঘটনাস্থলে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

একটি সত্য-সন্ধানী মন থাকায়, ছেন ব্য আর প্রোগ্রামগুলোর একটি দুর্দান্ত দৃষ্টিভঙ্গি এবং প্যাটার্ন রয়েছে।

যেমন, যদিও একটি সংবাদে একটি উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি শব্দ, তবুও বেশিরভাগ মানুষ এটি সম্পর্কে খুব কমই জানে।

‘No Poverty Land’ নামে টিভি অনুষ্ঠানের বিভিন্ন চরিত্রের গল্প শুধু ব্যক্তিবিশেষে সীমাবদ্ধ নয়, পরিবর্তনশীল সময়ের প্রতিফলনও বটে।

 

টিভি অনুষ্ঠানে নারীরা যারা নিজেদের ব্যবসা শুরু করেছেন, তারা নারী শক্তির জাগরণের প্রতিনিধিত্ব করে।

দারিদ্র্যবিমোচন ক্যাডাররা জাতীয় প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে।

বিদেশি বন্ধুরা একটি আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে তা দেখে।

আসলে ‘No Poverty Land’ টিভি অনুষ্ঠান  করার সময় তিনি ভাবেননি যে, অনুষ্ঠানটি এত সমাদৃত হবে।

 

এটি হংকংয়ের অনেক যুবক এমনকি বিদেশিদের বাঁধাধরা দৃষ্টিভঙ্গি ভেঙ্গে দিয়েছে। হংকং-এর মতো বিনোদনমূলক সংস্কৃতিপ্রধান বাজারে তিনি নারী, প্রতিবন্ধী শিশু ও দারিদ্র্যবিমোচনের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বাস্তবতার উপর ফোকাস করেন। তার এই দায়িত্ব ও সাহস অমূল্য।

চীনকে মুগ্ধ করা বার্ষিক ব্যক্তি হিসাবে ভূষিত হওয়ায় ছেন ব্য আরকে যোগ্য বলে ধারণা করা যায়।

লিলি/তৌহিদ