২২জন তিব্বতি যুবক এবং তাদের ‘হ্যামলেট’
2022-03-29 18:48:32

১৭ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত, বেইজিং ক্যাপিটাল থিয়েটারে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের থিয়েটার দলের তরুণ তিব্বতি অভিনেতাদের অভিনীত শেকস্‌পিয়ারের ‘হ্যামলেট’ নাটকটি জাতীয় ভাষা ও তিব্বতি সংস্করণ আলাদাভাবে মঞ্চস্থ করেছে।

পাফরম্যান্স উপভোগ করা দর্শক সেং সিয়াওছু বলেন যে, “আমি খুব মর্মাহত হয়েছি। এই নাটকটি একটি পুরানো নাটক, তবে এটি একটি বিশেষ উপায়ে পরিবেশন করা হয়েছে। কারণ, এতে তিব্বতি সংস্কৃতি রয়েছে, বিশেষ করে কিছু তিব্বতি গানও গাওয়া হয়েছে। আমি মনে করি এটা খুব বিশেষ ধরনের।” অন্য একজন দর্শক লুও ছুহাও বলেন, “তারা শাননান, আলি এবং অন্যান্য তিব্বতি এলাকা থেকে এসেছে- যাদের সাথে আমরা পরিচিত নই। এটা বলা যায় না যে শিল্প তাদের জীবনকে বদলে দিয়েছে, কিন্তু শিল্পের আলো তাদের জীবনে প্রবেশ করেছে।”

তিব্বতের এই ২২জন তরুণ ২০২১ সালের গ্রীষ্মে শাংহাই থিয়েটার একাডেমির পাফরম্যান্স বিভাগ থেকে স্নাতক পাস করেছে। তাদের স্নাতক নাটক শেক্সপিয়ারের ‘হ্যামলেট’ গত গ্রীষ্মে সাংহাইয়ে অনেক জনপ্রিয় হয়। এই নাটকের কারণে তারা সবাই তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের থিয়েটার ট্রুপে ভর্তি হয়, এবং থিয়েটার ট্রুপের নতুন সদস্যে পরিণত হয়। তিব্বতি যুবকদের এই নাটক ‘হ্যামলেট’ সিলিং ফ্যান এবং ইউরোপীয় রাজদরবার পোশাকসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী প্রপসকে রাখার সঙ্গে সঙ্গে তিব্বতি সাংস্কৃতিক উপাদানেরও যুক্ত করেছে। যে তিনজন ছেলে হ্যামলেট নাটকের দু’টি ভাষার সংস্করণে অভিনয় করেছে তারা সবাই সাধারণ তিব্বতি ছেলে এবং তারা রাজপুত্রের অভিনয় করেছে।

 

২০১৭ সালে ২২জন তিব্বতি তরুণ-তরুণী সাংহাই থিয়েটার একাডেমিতে লেখাপড়া শুরু করেছে, তখন তারা ম্যান্ডারিন ভালো বলতে পারত না। তাদের নাটকের জ্ঞানও অনেক কম ছিল। ৪ বছর অধ্যয়নের পর, বিশেষ করে ‘হ্যামলেট’-এ অভিনয় করার পর, তারা সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে একজন যুবক তাশিবিয়ান বারোব বলেন, “‘হ্যামলেট’ নাটকটিতে অনেক দার্শনিক সত্য রয়েছে এবং আমি জীবন ও মৃত্যু সম্পর্কেও এই নাটক থেকে শিখেছি। সেই সঙ্গে জীবনে যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে- তাও আমিও জানতে পেরেছি। কীভাবে এসব সমস্যার সমাধান করা যায়- তা নিয়ে ভেবেছি।”

 

 

নাটকের রাণী মায়ের চরিত্রে অভিনয় করা চিলিবাইম বলেন, “আমি আগে কথা বেশি বলতাম না, সাহস পেতাম না। আমার ব্যক্তিত্ব আমার চরিত্রের সঙ্গে একেবারেই মানায় না। কিন্তু আমার শিক্ষক আমাকে বলেন যে আমি কাজটি করতে পারি, তাই আমি চেষ্টা করেছি। যদিও আমার অভিনয় খুব ভালো ছিল না, তবুও আমি আগের তুলনায় অনেক উন্নতি করেছি। আমাকে গাইড করান জন্য শিক্ষকের কাছে আমি অনেক কৃতজ্ঞ।”

 

এই শিক্ষক হলেন ফু ছুন সিন, তিনি এই নাটক ‘হ্যামলেট’-এর প্রধান পরিচালক, এবং চীনা থিয়েটার সমিতির চেয়ারম্যান। তিনি ‘হ্যামলেট’-এর ১৯৯০ সংস্করণে অভিনয় করেছিলেন এবং চীনে শেক্সপিয়ারের নাটকের জনপ্রিয় অভিনেতা।

তিনি বলেন, ৪০ বছর আগে, সাংহাই পাফরম্যান্স বিভাগের তৃতীয় তিব্বতি শ্রেণীর স্নাতক নাটক ‘রোমিও এবং জুলিয়েট’ বেইজিংয়ে মঞ্চস্থ হয়েছে, সে সময় তিনি একজন দর্শক হিসেবে নাটকটি অনেক পছন্দ করেন এবং নাটকটি তার মনের গভীর ছাপ ফেলেছিল। সেই বছর, তিনি সাংহাই থিয়েটার একাডেমির পাফরম্যান্স বিভাগের ষষ্ঠ তিব্বতি শ্রেণীর শিক্ষক হিসেবে, তিনি আবার বেইজিংয়ে স্নাতক নাটক ‘হ্যামলেট’ পরিবেশনের জন্য শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দেন। তিনি বলেন, “যুবকদের বেশিরভাগই পশুপালন অঞ্চল থেকে এসেছে। শিল্প ও শিক্ষার কারণে তারা তাদের জীবন ও ভাগ্য পরিবর্তন করেছে। এবারে তারা স্নাতক নাটকের কারণে তাদের ভর্তি করা হয়েছে।”

 

১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তিব্বতি থিয়েটার ট্রুপ এবং এই বছর এই থিয়েটার ট্রুপের ৬০তম বার্ষিকী। তার আরেকটি নাম আছে, তা হলো ‘মালভূমির নাটকের বীজ’। মার্চ মাসে বেইজিংয়ে পাফরম্যান্সের পর, ২২জন তিব্বতি যুবক তাদের ‘হ্যামলেট’ নাটকটি একটি জাতীয় সফর শুরু করবে।

 

রুয়ান্ডায় মার্শাল আর্ট উত্সব অনুষ্ঠিত হয়

রুয়ান্ডা মার্শাল আর্ট উত্সব ১৯ মার্চ সে দেশের রাজধানী কিগালি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রুয়ান্ডার অলিম্পিক কমিটির নির্দেশনায় রুয়ান্ডার মার্শাল আর্ট সমিতি এবং অন্যান্য বক্সিং সমিতির যৌথভাবে এর আয়োজন করেছে। এতে কয়েক হাজার দর্শক হয়েছিল।

সারা রুয়ান্ডায় ৩০টিও বেশি মার্শাল আর্ট ক্লাবের প্রতিনিধি মার্শাল আর্ট রুটিন, ছুরি কৌশল, লাঠি খেলা, কুস্তিসহ বিভিন্ন আইটেম প্রদর্শন করে। মঞ্চে মার্শাল আর্ট ক্লাবের সদস্যরা বিভিন্ন কুংফু প্রদর্শন করে এবং দশকরা করতালি দেয়।

রুয়ান্ডা মার্শাল আর্ট সমিতির চেয়ারম্যান মার্ক উভিরাজিয়ে বলেন যে, মার্শাল আর্টের মাধ্যমে বন্ধুদের সঙ্গে বিনিময় হলো রুয়ান্ডা মার্শাল আর্ট উত্সবের থিম। “এটি বিভিন্ন মার্শাল আর্ট ক্লাবের সংহতি দেখা যায় এবং পরস্পরকে সহায়তা করা এবং যৌথ অগ্রগতির জন্য রুয়ান্ডাবাসীদের আগ্রহ বিশ্বকে দেখায়।”

জানা গেছে, রুয়ান্ডা মার্শাল আর্ট সমিতির অধীনে বর্তমানে ৩১টি ক্লাব আছে। এতে প্রায় চার হাজার সদস্য রয়েছে।

 

চীনা ড্রাগন এবং সিংহ শো কেপ টাউন কার্নিভালে যোগ দিয়েছে

কেপ টাউন কার্নিভাল ১৯ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রবাসী চীনাদের আয়োজনে চীনা ড্রাগন এবং সিংহ শো দল ৫টি ড্রাগন ও সিংহের নাচ পরিবেশন করেছে; যা দর্শকদের কাছে ব্যাপক আনন্দ ও করতালি পেয়েছে।

কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে কেপটাউন কার্নিভাল দুই বছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়নি। চলতি বছরের কার্নিভাল অতীতের প্যারেডের রূপ পরিবর্তন করেছে এবং কেপটাউনের ৫টি ল্যান্ডমার্কে পারফরম্যান্স মঞ্চস্থ করেছে। প্রতিটি মঞ্চে ৬ থেকে ৮টি দলের ৫টি পারফরম্যান্স রয়েছে।

কেপটাউনের হুয়াসিং আর্ট ট্রুপ থেকে ১০টিরও বেশি বিদেশি চীনা হেরিটিজ স্কয়ার মঞ্চে একটি উদ্বোধনী পারফরম্যান্স উপহার দেয়।  

 

ট্রুপের প্রধান তুংকাং বলেন, এটি হলো হুয়াসিং আর্ট ট্রুপের চতুর্থবারের মতো কেপটাউন কার্নিভালে অংশগ্রহণ। সংগঠন সংস্থা মহামারী প্রতিরোধের প্রয়োজনীয়তার কারণে অভিনেতার সংখ্যা কমিয়েছে। তাই এবারের আর্ট ট্রুপ শুধু চীনা বৈশিষ্ট্যযুক্ত ড্রাগন এবং সিংহ দল পাঠিয়েছিল। আর্ট ট্রুপ আশা করে যে, পারফরম্যান্সের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চমত্কার ঐতিহ্যবাহী চীনা সংস্কৃতি প্রদর্শন করা হবে এবং ড্রাগন ও সিংহ শো স্থানীয় জনগণকে আনন্দ দেবে।

 

কেপটাউন কার্নিভালের সিইও জেই ডয়েস সিনহুয়া বার্তা সংস্থাকে বলেন, কার্নিভালের লক্ষ্য দক্ষিণ আফ্রিকার জাতিগোষ্ঠীর বৈচিত্র্য উদযাপন করা এবং বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি প্রদর্শন করা। প্রবাসী চীনারাও দক্ষিণ আফ্রিকার সমাজের অংশ। কার্নিভালে তারা ‘চমত্কার সৃজনশীলতা’ দেখিয়েছে। অন্যকে অনুপ্রাণিত করা এবং ঐক্য প্রচারের লক্ষ্যে কার্নিভালে অবদান রেখেছে।

কেপটাউন কার্নিভাল ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ থেকে শুরু হয়। এটি একটি উজ্জ্বল নেমকার্ড হয়ে উঠেছে।

 

চীন-ব্রাজিল সমসাময়িক শিল্প প্রদর্শনী ব্রাসিলিয়ায় অনুষ্ঠিত

‘বিহাইন্ড দ্য গ্রেট ওয়াল: চীন-ব্রাজিল সমসাময়িক শিল্প প্রদর্শনী’ ২৩ মার্চ ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ার আর্ট যাদুঘরে উদ্বোধন করা হয়।

চীন ও ব্রাজিলের শিল্পীদের ৭০টিরও বেশি কাজ তেলচিত্র, কালিচিত্র, ভাস্কর্য, ফটোগ্রাফি, চীনামাটির বাসনের উপর পেইন্টিং, অ্যানিমেশন, পেপার-কাটিং ইত্যাদি পদ্ধতির মাধ্যমে, মানবসমাজ এবং বিশ্বের সমস্যাগুলির সাধারণ চিন্তাভাবনা চিত্রিত করে। সেই সঙ্গে দু’দেশের মধ্যে একটি সাংস্কৃতিক সেতু তৈরি করে। এবারের প্রদর্শনী ব্রাসিলিয়াতে দু’মাসের মতো প্রদর্শিত হবে, তারপর কাজগুলি সারা ব্রাজিলে প্রদর্শিত হবে।

প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ব্রাজিলে চীনা দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সিলর শু চিয়েনপিং তার লিখিত অভিনন্দন বার্তায় বলেছেন, এবারের প্রদর্শনী দু’দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের উপাদান বহন করে এবং একই সঙ্গে একটি বহু আখ্যানমূলক আন্তর্জাতিক বক্তৃতা দেয়, যা নিঃসন্দেহে দু’দেশের পারস্পরিক স্বীকৃতি এবং বোঝাপড়া উন্নত করবে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে চীন-ব্রাজিল সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী ইভেন্ট হয়ে উঠবে।

 

ব্রাজিলের প্রদর্শনীর কিউরেটর ক্লে ডি পাওলা সাংবাদিকদের এক সাক্ষাত্কারে বলেন, ব্রাজিলিয়ানদের জন্য এটি শিল্পীদের এবং তাদের কাজগুলিকে জানার পাশাপাশি চীনা সমসাময়িক শিল্পের বৈচিত্র্য সম্পর্কে জানার একটি দারুণ সুযোগ। দু’দেশের শিল্পীদের চীনা ঐতিহ্যবাহী শিল্প কৌশলের অন্বেষণ ও প্রয়োগ হলো এবার প্রদর্শনীর হাইলাইট। যেমন- চীনা ক্যালিগ্রাফি, কালি-পেইন্টিং ইত্যাদি। এই সৃজনশীল এবং প্রভাবশালী কাজগুলি মানবসমাজের বর্তমান সমস্যার জন্য উদ্বেগজনক।

এদিন ১৭০জন অতিথি ব্রাসিলিয়া আর্ট যাদুঘরে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। যাদুঘরের পরিচালক মার্সেলো জর্জ বলেছেন, সংস্কৃতি বিভিন্ন দেশের মধ্যে বোঝাপড়ার সেতু তৈরি করতে পারে। তিনি বলেন, “এবার প্রদর্শনী ব্রাজিল ও চীনের পরস্পরকে বোঝার একটি ভাল সুযোগ।”

 

‘সেনা ও ঘোড়ার টেরাকোটা এবং প্রাচীন চীন—ছিন ও হান রাজবংশ আমলের সংস্কৃতির ঐতিহ্য’ প্রদর্শনী জাপানের কিয়োটোতে উদ্বোধন

চীন ও জাপানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে, ‘সেনা ও ঘোড়ার টেরাকোটা এবং প্রাচীন চীন—ছিন ও হান রাজবংশ আমলের সংস্কৃতির ঐতিহ্য’ প্রদর্শনী ২৫ মার্চ জাপানের কিয়োটোর কিয়োসেরা আর্ট যাদুঘরে উদ্বোধন করা হয়েছে। এটিও ছিন রাজবংশ আমলের সেনা ও ঘোড়ার টেরাকোটা কোভিড-১৯ মহামারী প্রাদুর্ভাবের পর প্রথমবার বিদেশে প্রদর্শিত হলো।

শানসি প্রদেশের ১৬টি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এবং হুনান প্রদেশের ১টি সাংস্কৃতিক ও প্রদর্শনী ইউনিট থেকে মোট ১২১টি (সেট) সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি এই প্রদর্শন করা হয়েছে। প্রদর্শিত আইটেমগুলি সিচৌ থেকে তুংহান পর্যন্ত বিস্তৃত।

 

প্রদর্শনী তিনটি ভাগে বিভক্ত: ‘একীভূত হওয়ার প্রাক্কালে ছিন’, ‘একীভূত রাজবংশের জন্ম’ এবং ‘হান রাজবংশের সমৃদ্ধি’। এটি চীনের সিচৌ বসন্ত ও শরত্ যুগ এবং যুধ্যমান রাজ্যসমূহের যুগ থেকে ছিন ও হান রাজবংশ পর্যন্ত এই সময়কালের উন্নয়নের কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য জোর দিয়ে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ছিন প্রথম সম্রাটের সমাধি এবং হান রাজবংশ আমলের সম্রাটের প্রতিনিধিত্ব হিসেবে ছিন ও হান রাজবংশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির গবেষণা ফলাফল পরিচয় করিয়ে দেয়।

কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে এবারে প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়নি। জাপানের সংগঠন সংস্থা এক লিখিত বক্তৃতায় জানায়, এবারের প্রদর্শনী জাপান ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ৫০তম বার্ষিকী স্মরণে অনুষ্ঠিত হয়। আন্তরিকভাবে আশা করা হচ্ছে যে, এই প্রদর্শনী জাপান ও চীনের বন্ধুত্ব আরও গভীর করবে।

 

জাপানে চীনের রাষ্ট্রদূত খং সুয়ান ইও এক লিখিত অভিনন্দনবার্তায় বলেন, আশা করা যায়- আরও বেশি জাপানি মানুষ যাদুঘরে গিয়ে চীনের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে। তিনি বিশ্বাস করেন, প্রদর্শনীটি চীন ও জাপানের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া আরও উন্নত করবে এবং দু’দেশের মৈত্রী ও সহযোগিতা আরও গভীর করবে।

জানা গেছে, এবার প্রদর্শনী ২২ মে কিয়োটোতে প্রদর্শনের পর, শিজুওকা, নাগোয়া এবং টোকিওতে যাবে। পুরো প্রদর্শনীটি প্রায় এক বছর চলবে।