অশান্ত বিশ্বে দরকার সহাবস্থানে গুরুত্বারোপ: সি চিন পিং
2022-03-25 19:59:43

নয় বছর আগে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং মস্কোয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক একাডেমীতে ভাষণ দেওয়ার সময় বলেছিলেন, “বিভিন্ন দেশের উচিত সহযোগিতা ও অভিন্ন স্বার্থ-কেন্দ্রিক নতুন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা। চীনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর সি চিন পিং সেইবার প্রথম রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন। সেটি ছিল প্রথমবারের মতো তাঁর উত্থাপিত নতুন ধরণের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব।

 

এরপর থেকে  নতুন ধরণের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব আন্তর্জাতিক নানা ইভেন্টে আলোচিত হয়েছে এবং তা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে চীনের অবস্থান ও মনোভাবে পরিণত হয়েছে।

 

২০১৩ সালের ২৩ মার্চ মস্কোয় ‘যুগের প্রবণতা মেনে চলে বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়ন’ শীর্ষক ভাষণে সি চিন পিং বলেন, যুগের পদাঙ্ক অনুসরণ  করা উচিত। যদি দেহ একবিংশ শতাব্দিতে প্রবেশ করে, আর মস্তিষ্ক অতীতে রয়ে যায়, তা হলে ভালো হবে  না। তাই স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা ও জিরো-সামসহ নানা পুরোনো চিন্তা বাদ দেওয়া প্রয়োজন। বিভিন্ন দেশের উচিত সহযোগিতা ও অভিন্ন কল্যাণ কেন্দ্রিক নতুন ধরণের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গঠন করার জন্য প্রচেষ্টা চালানো।

 

নতুন ধরণের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বলতে কি বুঝায়? তা চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এক সময় ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর মতে, বৈরিতার পরিবর্তে সহযোগিতা, একচেটিয়ার পরিবর্তে সমন্বিত অর্জন প্রয়োজন। এবং জিরো-সাম খেলা বাদ দেওয়া জরুরি।

 

বর্তমানে সারা বিশ্বে মহামারি ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্বে দাঙ্গা-হাঙ্গামা দেখা দিচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের প্রত্যাশা করে মানুষ।

 

এ প্রসঙ্গে সি চিন পিং গত ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের সাধারণ বির্তকে বলেছেন, সবার উচিত ঐক্যবদ্ধ হয়ে, পারস্পরিক শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে, এবং সহযোগিতার মাধ্যমে অভিন্ন কল্যাণ অর্জন করা।

 

 

গত বুধবার চীন-কিউবা কমিউনিস্ট পার্টি পর্যায়ের চতুর্থ তাত্ত্বিক সেমিনারে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র সাধারণ সম্পাদক ও দেশের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।

 

শুভেচ্ছাবার্তায় সি বলেন, ২০১২ সালের পর সিপিসি চীনা জনগণকে নিয়ে বৈদেশিক উন্মুক্তকরণ ও সমাজতান্ত্রিক আধুনিকায়নের প্রক্রিয়ায় ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করে; চীনের বৈশিষ্ট্যময় সমাজতন্ত্রও নতুন যুগে প্রবেশ করে। কিউবা’র কমিউনিস্ট পার্টিও সেদেশের উন্নয়নে কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে; দেশের সমৃদ্ধি, গণতন্ত্র ও টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিবিধ সাফল্য অর্জন করেছে। নতুন পরিস্থিতিতে দু’দেশের মধ্যে পার্টি পর্যায়ের তাত্ত্বিক সেমিনারের তাত্পর্য রয়েছে।

 

উল্লেখ্য, গত ২৩ ও ২৪ মার্চ ভিডিও-লিঙ্কের মাধ্যমে তাত্ত্বিক সেমিনার আয়োজিত হয়।