সুই কুয়ান চিয়ে
2022-03-16 16:14:30

সুই কুয়ান চিয়ে সঙ্গীত জগতে স্যামুয়েল হুই নামেও সমধিক পরিচিত। তিনি ১৯৪৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চীনের হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। চীনের মূল-ভূভাগের কুয়াংতোং প্রদেশের রাজধানী কুয়াংচৌ শহর তাঁর পূর্বপুরুষদের জন্মস্থান। তিনি হংকংয়ের একজন জনপ্রিয় গায়ক, অভিনেতা ও সুরকার। তিনি হংকং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন।

 

‘টাইম অব দ্য সিজেন’ ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে স্যামুয়েল প্রকাশিত একটি ইংরেজি অ্যালবাম। অ্যালবামে মোট ১২টি গান রয়েছে। এটি তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম। আসলে ১৯৭০ সাল থেকে তিনি এককভাবে ক্যারিয়ারের উন্নয়ন করেন। এর আগে, ১৯৬৭ সালে তিনি পদ্ম নামে সঙ্গীতদলে যোগ দিয়ে প্রধান গায়ক হন। সঙ্গীতদলটি ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং হংকংয়ের বিংশ শতাব্দীর ৬০-এর দশকের খুব বিখ্যাত ইংরেজি ভাষার পপসঙ্গীত দল হিসেবে সুনাম কুড়ায়। ১৯৭১ সালে স্যামুয়েল “টাওয়ারের ভালবাসা” গানটি সৃষ্টি করেন এবং অনেক মনোযোগ পেয়েছেন। গানটি হংকংয়ের সঙ্গীত জগতে বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এটি স্যামুয়েল রচিত প্রথম ক্যান্টোনিজ ভাষার পপ গান। 

 

১৯৭৪ সালে স্যামুয়েলের ক্যান্টোনিজ ভাষার অ্যালবাম “গেম জুয়াড়ি খেলা” হংকংয়ে ক্যান্টোনিজ পপসঙ্গীতের সূচনা করেছিল। গানটি একই নামের চলচ্চিত্রের থিম সং হয়েছিল। ১৯৮১ সালে তাঁর রচিত গান “ছাপ” চতুর্থ টপ টেন চীনা গোল্ড সংগীত পুরস্কার জিতে। গানটি তাঁর “আনলিমিটেড নিরাপত্তা” নামক অ্যালবাম থেকে নেয়া। তিনি অ্যালবামের ১২টি গানের মধ্যে ১১টি গান রচনা করেছেন। 

 

১৯৭৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্যামুয়েল প্রকাশিত অ্যালবাম “মেডলি”  দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মোট ২ লাখ কপি বিক্রি হয়েছিল। তাঁর আগের ৪টি অ্যালবামের চেয়ে এবার তাঁর সৃষ্ট গান তুলনামূলকভাবে কম ছিল। অ্যালবামে মোট ১২টি গান অন্তর্ভুক্ত হয়। আর এর মধ্যে ৭টি গান বিখ্যাত আমেরিকান রক গায়ক এলভিস প্রিসলি’র শিল্প-কর্ম থেকে নেয়া। 

 

১৯৯০ সালে স্যামুয়েল চলচ্চিত্র “তলোয়ারধারী”তে অভিনয় করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি চলচ্চিত্রটির জন্য থিম সংও গেয়েছেন। গানটি ১৯৯১ সালে দশম হংকং ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডসে সেরা চলচ্চিত্র সংগীত পুরস্কার জিতে। ১৯৯২ সালে তিনি সঙ্গীত জগত থেকে বিদায় নেয়ার ঘোষণা দেন এবং ৪১টি বিদায়ী সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেন। যাই হোক বন্ধুরা, আমি এখন গানটি আপনাদের শোনাব, সঙ্গে সঙ্গে শোনাব অন্য একটি চলচ্চিত্রের জন্য তাঁর গাওয়া গান “ওয়েস্ট্রেলের হৃদয়ের কথা”। 

 

“নীরবতাই উৎকৃষ্ট পন্থা” খুবই জনপ্রিয় ও বিখ্যাত একটি গান। স্যামুয়েল গানটির লিরিক্স করেন এবং হংকংয়ের অন্য একজন বিখ্যাত শিল্পী লেসলি জাং গানের সঙ্গীত রচনা করেন। গানটি ১৯৮৮ সালের জুনে প্রকাশিত হয়। স্যামুয়েলের একক সংস্করণ তাঁর “স্যাম অ্যান্ড ফ্রান্ডস” নামের অ্যালবামে অন্তর্ভুক্ত হয়। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদের স্যামুয়েলের একক সংস্করণ “নীরবতাই উৎকৃষ্ট পন্থা” শোনাব, কেমন? (প্রেমা/এনাম)