মার্চ ১৬: সিরিয়ায় বিশ্ব একটি গোটা জাতির গণহত্যা প্রত্যক্ষ করেছে, অনেক পশ্চিমা দেশ যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। সেই পশ্চিমারাই ইউক্রেনে জনগণকে রক্ষা করার দাবি করছে। সম্প্রতি সিরিয়ার আলোচনা কমিশনের দায়িত্বশীল ব্যক্তি আনাস আল আবদাহ এসব কথা বলেন। তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর ডাবল স্ট্যান্ডার্ডে ক্ষুব্ধ ও হতাশ।
১৫ মার্চ ছিল সিরিয়ার যুদ্ধ শুরুর ১১তম বার্ষিকী। সম্প্রতি জাতিসংঘের প্রকাশিত পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, বিগত ১১ বছরে সিরিয়ায় কমপক্ষে সাড়ে ৩ লাখ মানুষ নিহত হয়েছে এবং প্রায় সোয়া এক কোটি মানুষ গৃহহারা হয়েছে। এ ছাড়া, প্রায় দেড় কোটি মানুষের প্রয়োজন হয়েছে মানবিক সাহায্যের। জাতিসংঘের মহাসচিব বিভিন্ন পক্ষকে বাস্তব ব্যবস্থা নিয়ে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া দ্রুততর করার আহ্বান জানান, যাতে সিরিয়ার জনগণের ১১ বছরের কঠিন সময় শেষ হতে পারে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিরিয়া এবং অন্যান্য দেশের শরণার্থীদের আশ্রয় না-দিলেও, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের প্রতি দারুণ সহানুভূতি দেখিয়ে চলেছে। কিছু পশ্চিমা দেশের রাজনীতিবিদ ও মিডিয়া এমনকি চেহারা, ত্বকের রঙ, জাতি ইত্যাদিকেও বিচারের মানদণ্ড হিসাবে গ্রহণ করেছে। তারা মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকান শরণার্থীদের সাথে ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের তুলনা করতে নারাজ। তাঁরা ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে, ইউক্রেনীয় শরণার্থীরা অন্যদের চেয়ে আলাদা।
এ ধরণের চিন্তাভাবনা যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর গভীর জাতিগত কুসংস্কার ও ‘ইউরো-কেন্দ্রিক’ অহংকার প্রকাশ করেছে। শরণার্থীদের ক্ষেত্রেও তারা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড গ্রহণ করেছে। (ছাই/আলিম)