চীনের তুংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গ
2022-03-14 17:30:06

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাত দ্রুত উন্নয়নের পথে সামনে এগিয়েছে। মহাশূন্যে নভোচারীদের কাপড়চোপড়, চিয়াওলং সাবমার্সিবল তার, পেইতৌ নেভিগেশন ব্যবস্থাপনা, কৃত্রিম উপগ্রহের কাঁচামালসহ অনেককিছুই আবিষ্কার করেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। তাদের সাফল্য চীনের প্রতিরক্ষা, মহাকাশ গবেষণা, স্থাপত্য প্রকল্প ও পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জগতে অর্জিত এসব সাফল্য তুংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণালয়ের অবদান। আজকের আসরে আমরা চীনের তুংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর কিছু তথ্য তুলে ধরবো এবং সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট, চীনের প্রকল্প একাডেমির শিক্ষাবিদ ইয়ু চিয়ান ইয়োংয়ের বক্তব্যও আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্যতম তুংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়। বিগত ৭১ বছরের মধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয় চীনের টেক্সটাইল শিল্প ও অন্যান্য বিভাগের জন্য মোট ২ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি সেরা ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং ধীরে ধীরে টেক্সটাইল, কাঁচামাল, ডিজাইনসহ বহুমুখী খাতের  বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে।

চীনের সেরা শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং পাশ্চাত্য দেশগুলো কর্তৃক সৃষ্ট প্রযুক্তিগত বাধা অতিক্রম করার উদ্দেশ্যে তুংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। কয়েক প্রজন্মের শিক্ষাবিদদের প্রচেষ্টায় এ বিশ্ববিদ্যালয় চীনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভুমিকা পালন করেছে এবং চীনের সমৃদ্ধি, জাতীয় পুনরুত্থান ও জনগণের সুখী জীবনের স্বপ্ন পূরণে বিরাট অবদানও রেখেছে।

তো, এই বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে আরও বেশি সাফল্য অর্জন করতে পারে এবং নতুন ধাপে উন্নীত হতে পারে? এ সম্পর্কে তুংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ইয়ু চিয়ান ইয়োং বলেন, ভবিষ্যতে এ প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বের টেক্সটাইল খাতের শিক্ষা ও গবেষণাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তুংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় চীনের প্রথম টেক্সটাইলবিষয়ক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল কাঁচামাল ও কাপড়চোপড় ডিজাইন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠ মেজর। ১৯৮১ সালে টেক্সটাইল ও প্রকৌশল বিভাগ ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে এবং  ২০১৭ সালে এই বিষয়টি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মেজর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।

গত ৭১ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্রুত উন্নয়নের মূল কারণ নব্যতাপ্রবর্তন। সৃজনশীলতা দিয়ে টেক্সটাইল বিভাগের ব্যবস্থা সম্পূর্ণ করা হয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় শিল্পের রূপান্তরের চাহিদা বিবেচনা করে টেক্সটাইল বিভাগ কাঁচামাল, ডিজাইন, নিয়ন্ত্রণ, যান্ত্রিকায়ন, পরিবেশ, রসায়নসহ বিভিন্ন মেজরের সংমিশ্রণের ওপর মনোযোগ দিয়েছে, যাতে ঐতিহ্যিক মেজর ও নতুন মেজরের প্রাধান্যগুলো একসঙ্গে প্রয়োগ করা যায়। এর সঙ্গে সঙ্গে মেজর চেইন ও শিল্প চেইনের গভীর সংমিশ্রণের ওপর গুরুত্ব দেয় বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে, টেক্সটাইল বিভাগের ফাইবার প্রযুক্তির উন্নয়ন থেকে ফ্যাশন ডিজাইন পর্যন্ত শিল্প চেইনের নব্যতাপ্রবর্তন বাস্তবায়িত হয়েছে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ দেশের চাহিদা মেটানো বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল চালিকাশক্তি। গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার সময় দেশের ৬০ কোটি মানুষের পোশাকের চাহিদা মেটানো সবচেয়ে জরুরি ব্যাপার ছিল। তবে, বর্তমানে শেনচৌ নভোচারীদের মহাশূন্যের কাপড়চোপড়, চিয়াওলং সাবমার্সিবল তার, পেইতৌ নেভিগেশন ব্যবস্থাপনা ও উপগ্রহের কাঁচামাল এবং মানুষের হার্টে ব্যবহারযোগ্য হার্ট-স্টেন্টসহ বিভিন্ন উচ্চ প্রযুক্তির চাহিদা মেটানো তুংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজে পরিণত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক গবেষণা-সাফল্য প্রতিরক্ষা উন্নয়ন, মহাকাশ, স্থাপত্য প্রকৌশল ও পরিবেশ সংরক্ষণ খাতে ব্যবহার করা হয়েছে ও হচ্ছে।

নতুন যুগে প্রবেশ করেছে চীন। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রায়ও পরিবর্তন ঘটেছে। ২০৩৫ সাল নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেজরের কাঠামো আরও সমৃদ্ধ ও বৈশিষ্ট্যময় হবে এবং শ্রেষ্ঠ মেজর যেমন টেক্সটাইল, কাঁচামাল, ডিজাইন বিশ্বের শীর্ষ স্থানে দাঁড়াতে চেষ্টা করবে।

১৯৫১ সালে চীনের শাংহাই মহানগরে তুংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন দেশের টেক্সটাইল শিল্পের উন্নয়নের দায়িত্ব  কাঁধে তুলে নেয় এই বিশ্ববিদ্যালয়। তখন চীনের তুলা উত্পাদনের পরিমাণ ছিল কম, যা থেকে দেশের চাহিদা মিটতো না। তাই রাসায়নিক ফাইবার উপাদানের আবিষ্কার অনেক জরুরি কাজ হয়ে পড়ে। সেই সময় হুয়াতুং টেক্সটাইল প্রকৌশল একাডেমির উপ-প্রধান ছিয়ান বাও জুনের নেতৃত্বে রাসায়নিক ফাইবার উপাদান গবেষণাকাজ শুরু হয়। গত শতাব্দীর ৬০-এর দশকে চীনে ‘তিছয়েলিয়াং’ নামের নাইলন টেক্সটাইল আবিষ্কৃত হয়।

তখন থেকে তুংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা টেক্সটাইল কাঁচামাল গবেষণায় মনোযোগ দিয়ে নব্যতাপ্রবর্তনের কাজ শুরু করেন। ১৯৯৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদল সাফল্যের সঙ্গে মহাশূন্যে ব্যবহৃত উচ্চ-বিশুদ্ধতাসম্পন্ন ভিসকস-ভিত্তিক কার্বন ফাইবার তৈরি করেন। তখন চীন বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে এ প্রযুক্তি অর্জন করে। তারপর থেকে গবেষকদল রাষ্ট্রীয় উত্পাদিত উচ্চ-বিশুদ্ধতাসম্পন্ন ভিসকস-ভিত্তিক কার্বন ফাইবারের ওপর গুরুত্ব দেয়। সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কারখানার যৌথ প্রয়াসে উচ্চ মাত্রার কার্যকারিতাসম্পন্ন কার্বন ফাইবার (Dry jet wet spinning high performance carbon fiber) আবিষ্কৃত হয়। ফলে বিদেশি উচ্চ কার্যতকারিতার ফাইবার কোম্পানির একচেটিয়া ব্যবসা চীন ভেঙ্গে দেয়।

গত শতাব্দীর ৯০-এর দশকে চীন মানববাহী নভোযান প্রকল্পের গবেষণাকাজ শুরু করে। তখন থেকেই তুংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় চীনের মহাশূন্য গবেষণাকাজের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ চীনের স্বাধীন গবেষণার নভোযানের জন্য প্যাসিভেটেড গ্লাস, মহাশূন্যে নভোচারীদের কাপড়চোপড় তৈরির কাঁচামাল, নভোচারীদের প্রস্রাব সংগ্রহের যন্ত্রসহ অনেক গবেষণাকাজে জড়িত হয়। তাঁরা উচ্চ-কার্যকারিতার অতি সূক্ষ্ম ধাতুর তারের বিশেষ বয়ন প্রযুক্তি চীনের ‘পেইতৌ’ নেভিগেশন উপগ্রহের সংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশে ব্যবহারে সক্ষম হন। তা ছাড়া, শেনচৌ মানববাহী নভোচারীদের জন্য তাঁরা বিশেষ পোশাক ডিজাইন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারাবাহিক গবেষণাকাজ চীনের মহাকাশ-গবেষণার বিকাশে অনেক অবদান রেখেছে।

চীনের তৈরি চিয়াওলং মানববাহী ডুবো গবেষণাগার সমুদ্রের গভীরে ডাইভ দিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এর সাহায্যে চীনের বহুমুখী গবেষণা-জাহাজ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের যাত্রা ও পর্যবেক্ষণ কাজও সম্পন্ন করেছে।

শ্রেষ্ঠ ও সেরা ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি চীনা সমাজের উন্নয়নেও ভুমিকা পালন করে চলেছে তুংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়। এ সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ইয়ু বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সিপিসি’র নেতৃত্বে চীনের দারিদ্র্যবিমোচন কার্যক্রম, গ্রামাঞ্চলের পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে শিক্ষাদান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কর্মসংস্থান ও শিল্প উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে সহকারী হিসেবে কাজ করে থাকে।

চীনের ইয়ুননান প্রদেশের ইয়ানচিন জেলায় কার্যকরভাবে নির্দিষ্ট দারিদ্র্যমুক্ত পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। তুংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোট ৬ জন সেরা শিক্ষক বেছে নেওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে ২ জন জেলার উপপ্রধান এবং ৪ জন স্থানীয় গ্রাম পর্যায়ের সিপিসি’র সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তাঁদের সহায়তায় লিউছাং প্রাথমিক স্কুল নির্মিত হয়েছে, যাতে স্থানীয় স্কুলে ক্রীড়ার ক্লাসের অভাব দূর হতে পারে। নিউজাই জেলাকে দূষণমুক্ত করতে বিভিন্ন প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এর ফলে স্থানীয় ২০টিরও বেশি গ্রাম ও কমিউনিটিতে তিন হাজারেরও বেশি লোক আবর্জনা ও বর্জ্য সমস্যার সমাধানে কাজ করেছেন।

সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের তুলা শিল্পে প্রযুক্তিবিদের অভাব মেটাতে তুংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় ভূমিকা রেখেছে ও রাখছে। সিনচিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়, তারিম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা দিয়েছে তুংহুয়া। সিনচিয়াংয়ের এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ও পোশাক ডিজাইন বিভাগে মাস্টার্স ও ডক্টরেট শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণে সাহায্য করে থাকে তুংহুয়া। বর্তমানে সিনচিয়াংয়ে তুংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আরাল একাডেমি নির্মাণের কাজও চলছে। এটা এলাকার উন্নয়নে সহায়তা দিতে সক্ষম।

চীনের ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগে সাড়া দিয়ে বিশ্বের ১৮টি দেশের ৩৩টি টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সহযোগিতার ভিত্তিতে একটি বিশ্ব টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিয়ন গঠিত হয়েছে। শাংহাই চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কেন্দ্র, ডিজাইন কেন্দ্র ও ফ্যাশন শহরের অন্যতম। এ ইউনিয়নের কাঠামোতে, ফ্যাশন ডিজাইন মেজরের সাথে যুক্ত করে, আন্তর্জাতিক ডিজাইনারদের প্রশিক্ষণে অনেক উদ্যোগ নেওয়া যায়। তা ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের প্রাধান্যকে কোভিড-১৯ মহামারী প্রতিরোধক কাজেও ইতিবাচকভাবে কাজে লাগানো হয়েছে। যেমন, চিকিত্সকদের জন্য পিপিই ও মাস্কসহ বিভিন্ন চিকিত্সাসামগ্রী এবং নাগরিকদের ব্যবহারের জন্য মানসম্পন্ন মাস্ক তৈরির মতো কাজগুলো এ বিভাগ করেছে। এতে চীনের জনস্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়েছে।

তুংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় ইয়াংসি নদীর বদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত। তাই এতদঞ্চলের টেক্সটাইল ও নতুন কাঁচামাল শিল্পের উন্নয়নে নেতৃত্বের ভুমিকা পালন করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল চিয়াংসু প্রদেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সাথে সহযোগিতা করে চীনের হাজার টন পর্যায়ের কার্বন ফাইবার উত্পাদন লাইন সৃষ্টি করেছে। এতে চীনের এই খাতের শূন্যতা পূরণ হয়েছে এবং বিদেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের একচেটিয়া ব্যবসাও ভেঙ্গে গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদল চেচিয়াং প্রদেশের রঞ্জক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সাথে সহযোগিতা করে লাল, হলুদ, নীল ও কালো রঙয়ের ফিক্সড ফাইবার ডিজিটাল ইঙ্কজেট প্রিন্টিং রঞ্জক আবিষ্কার করেছে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণা ছাড়া সংশ্লিষ্ট উত্পাদন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সাথে সহযোগিতা করা এবং গবেষণার তত্ত্ব বাস্তব পণ্যদ্রব্যে রূপান্তর করা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থানীয় সরকার, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণাগারের ব্যাপক আদান-প্রদানের প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলবে, যাতে বিভিন্ন কৌশলগত সহযোগিতার মাধ্যমে আরো বেশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণার সাফল্য বাস্তবভাবে চীনাদের জীবনমান উন্নত করতে পারে।

সুপ্রিয় বন্ধুরা, সময় দ্রুত চলে যায়, আজকের বিদ্যাবার্তা এখানে শেষ হয়ে এলো। আমাদের অনুষ্ঠান যারা মিস করেছেন, তারা আমাদের ওয়েবসাইটে তা শুনতে পারেন। ওয়েবসাইট ঠিকানা www.bengali.cri.cn,ফেসবুকে CRIbangla মাধ্যমে চীন ও বিশ্ব সম্পর্কে আরও অনেককিছু জানতে পারেন। তাহলে এবার বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন, আগামী সপ্তাহে আবার কথা হবে,যাইচিয়ান। (সুবর্ণা/আলিম/মুক্তা)