মার্চ ১০, সিআরআই বাংলা ডেস্ক: চীনের দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইউননানে কফির চাহিদা বেড়েছে ।গুণগত মানের কারণে এই অঞ্চলের কফি চীনের গণ্ডি পেরিয়ে সুনাম ছড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে। ফলে ইউননান প্রদেশে কফির উৎপাদন বেড়েছে ব্যাপক হারে।
পাহাড়ি উর্বর ভূমি আর অনুকূল পরিবেশের কারণে এখানকার কফির গুনগত মান ও স্বাদ কিছুটা ভিন্ন। তাই এই অঞ্চলে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কফি চাষ।
চীনে কফির চাহিদার সিংহভাগ মেটায় ইউননান প্রদেশ। অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এক সময় ইউননানে কফির তেমন কদর ছিলো না। তবে সময়ের ব্যবধানে পাল্টেছে মানুষের খাদ্যভাস ও রুচি। ফলে নিজ সীমানায় এক সময় উপেক্ষিত কফির চাহিদাও বেড়েছে। তেমনি এর স্বাদের খ্যাতি ছড়িয়েছে সীমানার ওপারেও।
এদিকে, উৎপাদিত কফির বিক্রিতেও অন্যান্য অঞ্চল ও দেশের উপর নির্ভর কমেছে চাষিদের। ফলে স্থানীয়ভাবেই কফির বিন প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিক্রি বেড়েছে। ফলে সাফল্যের মুখ দেখছেন চাষীরা।
কফি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখানকার উৎপাদিত বেশিরভাগ কফি বিন গেল দুই বছর ধরে দেশীয় বাজারে যাচ্ছে। বিশেষ করে বিশ্ববাজারে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছে পাওশানে উৎপাদিত আরবিকা কফি।
ইউননান কফি অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান লি জিয়াওবো বলেন, “এখন যেহেতু দেশীয়বাজারে অনেক কফি বিন বিক্রি হয়, আমাদের প্রদেশের বাইরে আরও কিছু প্রক্রিয়াজাত পণ্য সরবরাহ করা যেতে পারে। এতে প্রযুক্তির ব্যবহার ও চাষীদের আয় বাড়ানো এবং নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে”।
লি জিয়াওবো, ইউননান কফি অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার কথা মাথায় রেখে কফির ব্যবসা সম্প্রসারণের পাশাপাশি শিল্পের পরিবেশ সুরক্ষার কথা ভাবছেন স্থানীয় কোম্পানিগুলো।
স্থানীয় পাওসান ঝোংকা ফুড কোম্পানি ব্যবসা শুরুর প্রথম বছরে কফি বিক্রি করে ৩ মিলিয়ন ইউয়ান আয় করেছিল । যা গত বছরে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১০০ মিলিয়ন ইউওয়ানে।
ইয়াং চু, সভাপতি, পাওসান ঝোংকা ফুড কোম্পানি
স্থানীয় পাওসান ঝোংকা ফুড কোম্পানির সভাপতি ইয়াং চু বলেন, “ব্যাবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা চাষীদের সঙ্গে আরো বেশি লভ্যাংশ ভাগ করে নিতে চাই। কারণ সামগ্রিকভাবে শিল্পের দীর্ঘমেয়াদী সুস্থ বিকাশের জন্য এটি অপরিহার্য”।
প্রতিবেদন: আফরিন মিম
সম্পাদনা: সাজিদ রাজু