মার্চ ৯:সম্প্রতি সিপিপিসিসির জাতীয় কমিটির সদস্যরা সিএমজির সাংবাদিকদের জানান, চীনা সংস্কৃতির উদ্ভাবনী বৈশিষ্ট্য বিশ্বকে আকৃষ্ট করছে।
ব্লাইন্ড বক্স হচ্ছে হালের একটি জনপ্রিয় বাণিজ্য পদ্ধতি। তার অর্থ হচ্ছে কেনার আগে বক্সের ভেতরে কি পণ্য রয়েছে, তা ক্রেতা জানতে পারেন না। হ্য নান প্রদেশের যাদুঘর সম্প্রতি ‘প্রত্নতাত্বিক ব্লাইনড বক্স’ নামক একটি নতুন পণ্য বাজারে এনেছে। দেশি ও বিদেশি তরুণ-তরুনীরা এটি অনেক পছন্দ করছেন।
সিপিপিসিসির জাতীয় কমিটির সদস্য মা শিও লিন এ সম্পর্কে বলেন, “হ্যা নান হচ্ছে প্রত্নতত্বের দিক থেকে সমৃদ্ধ প্রদেশ। ব্লাইন্ড বক্স হচ্ছে হালের একটি জনপ্রিয় ধারনা। এজন্য আমরা এ দুটিকে সংযুক্ত করেছি। এই পণ্য সবাই অনেক পছন্দ করছে। বিশেষ করে তরুণ-তরুনীরা অনেক বেশি কিনছে এই পণ্য।”
চীনা ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি অনেক ব্যাপক, গভীর এবং তার ইতিহাসও অনেক পুরোনো। সিপিপিসিসির জাতীয় কমিটির সদস্য ফান লু সেং জানান, চীনা ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি বরাবরই বিশ্বকে প্রভাবিত করে আসছে। তিনি বলেন, “সিল্ক রোড়ের মাধ্যমে চীনের চীনা মাটির বাসনকোসন, রেশম, খাবার, চা, এবং চীনা ঐতিহ্যিক ওষুধসহ নানা রকম চীনা সংস্কৃতি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। চীনা সংস্কৃতি প্রবীণ থেকে নবীন প্রজন্মে চলে আসছে। তা কখনো বন্ধ হয়নি। চীনা ঐতিহ্যিক চিকিতসা পদ্ধতি ও ওষুধের উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। মহামারী প্রতিরোধে তা অনেক ভাল ভূমিকা পালন করে আসছে।”
সিপিপিসিসির জাতীয় কমিটির সদস্য মা সিও লিন জানান, নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগ সংস্কৃতির আদানপ্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তিনি বলেন, “জাদুঘরের প্রদর্শনীসহ নানা খাতে নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে শ্রোতারা আরো সুষ্ঠুভাবে সংস্কৃতি উপভোগ করতে পারেন। পাশাপাশি, আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকি।”
সিপিপিসিসির জাতীয় কমিটির সদস্য ফান লু সেং বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে সাংস্কৃতিক বিনিময় যুগের বৈশিষ্ট্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া উচিত। নতুন যুগে চীনা সংস্কৃতির প্রাণশক্তি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা উচিত।
(আকাশ/এনাম/রুবি)