ইতালির লেখক এলেনা ফেরেন্টে’র লেখা নেপোলিটান কোয়ার্টেট অবলম্বনে তৈরি টিভি সিরিয়াল এইচবিও’তে প্রচারের পর তিনি খুব বিখ্যাত হয়েছেন। নেপোলিটান দুই নারী এলেনা ও লীলার ছোটবেলার মৈত্রী এবং তাদের জীবনপথ নিয়ে অনেক মানুষের আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়। সম্প্রতি তার তৃতীয় সিজন প্রচারিত হয়েছে। তা এ কোয়ার্টেটের তৃতীয় বই ‘যারা পালিয়ে যায় এবং যারা থেকে যায় তাদের গল্প’ থেকে অভিযোজিত হয়। এলেনা বড় হয়ে লেখিকা হয়েছে এবং একজন স্কলার পুরুষকে বিয়ে করেছে। মনে হয় সে নেপলস পুরোন শহর থেকে বেরুতে পেরেছে। কিন্তু বিয়ের পর তার জীবন তেমন স্বপ্নের মতো নয়। এলেনা আর তার স্বামীর বাচ্চা হয়েছে। কিন্তু তার স্বামী শুধু নিজের মতো থাকতে চায়, বাচ্চার যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব সব পালন করতে হয় এলেনাকে একা। এমনকি, কোনো বেবি-সিটার নিয়োগ দিতেও স্বামী রাজি হয় না। কারণ, তিনি ‘ঘরে কোনো দাস রাখতে নারাজ’। এ নিয়ে এলেনার উত্তর হলো: ‘তাহলে আমি দাসের মতো কাজ করবো? এবং তুমি কোনো সাহায্য করবে না? এ নিয়ে তোমার কোনো লজ্জা নেই!’ পাশাপাশি তার লেখালেখিও বাচ্চা হওয়ার পর কঠিন অবস্থায় পড়ে। কোনো সময় দিতে পারে না, মনোযোগ দিতে পারে না। এলেনার ক্লান্ত, অসহায় এবং ক্ষুব্ধ লাগে। কারণ, উচ্চ শ্রেণী বা নিম্ন শ্রেণী, সভ্য বা অজ্ঞ যাই হোক না কেন, পুরুষরা এখনো বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার করে।(স্বর্ণা/আলিম/ছাই)