মার্চ ৮: চীনের সাধারণ শুল্ক প্রশাসনের উপাত্ত অনুসারে, মহামারী সত্ত্বেও গত বছর চীনের বিদেশি বাণিজ্যের উন্নয়নে অনেক সুফল অর্জিত হয়েছে। এ বছরের প্রথম দুমাসে চীনের পণ্য বাণিজ্যে আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩.৩ শতাংশ বেড়েছে।
এ বছরের সরকারী কর্মপ্রতিবেদনে বলা হয়, উচ্চ মানের উন্মুক্তকরণ আরো সম্প্রসারণ করতে হবে এবং বিদেশি বাণিজ্য ও বিদেশি পুঁজি বিনিয়োগের স্থিতিশীল উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে হবে। জটিল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির মুখে, দেশের ‘দুই অধিবেশনে’ অংশগ্রহণকারী একাধিক জাতীয় গণকংগ্রেসের সদস্য তাঁদের মতামত প্রকাশ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট তথ্যে দেখা যায়, ২০২১ সালে চীনের বিদেশি বাণিজ্যের পরিমাণ ৬.০৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। তার উন্নতির গতি ৩০ শতাংশ, যা ২০১০ সালের পর একটি নতুন রেকর্ড। এ বছরের প্রথম দুই মাসে, দেশের আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ ৬.২ ট্রিলিয়ন ইউয়ানে পৌঁছেছে, তা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩.৩ শতাংশ বেশি।
জাতীয় গণকংগ্রেসের সদস্য হুয়াং লি হুই জানান, গত বছর তাঁর দায়িত্বে থাকা শিল্পপ্রতিষ্ঠানটি যথাযথ সমন্বয় ব্যবস্থা নিয়েছে। ফলে বিদেশি বাণিজ্যের খাতে অসাধারণ সুফল অর্জিত হয়েছে। তিনি বলেন, “প্রথমে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ভেতরের কিছু কাঠামো সংস্কার করা হয়। যাতে ব্যয় কমে যায়। তারপর ক্রেতাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে কিছু রপ্তানি পণ্যের দাম বাড়ানো হয়। পাশাপাশি, স্থানীয় ব্যাংকের সাথে আলোচনার মাধ্যমে কিছু ঋণ নেয়া হয়।”
মহামারীর প্রভাবে সমুদ্রে জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। এর মোকাবিলা করতে অনেক বিদেশি বাণিজ্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান চীন-ইউরোপ পণ্য পরিবাহী ট্রেন লাইন বাছাই করেছে। এ সম্পর্কে জাতীয় গণকংগ্রেসের সদস্য ওয়েই ছাও হুই বলেন, “গত বছরে চীন-ইউরোপ পণ্য পরিবাহী ট্রেন লাইনে মোট ৩৪৬টি ট্রেন যাতায়াত করেছে। তা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১০৮ শতাংশ বেশি।”
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আন্তঃবাণিজ্য ই-কমার্সসহ নানা বিদেশি বাণিজ্যের নতুন পদ্ধতির দ্রুত উন্নয়ন হচ্ছে। সরকারি উপাত্ত মতে, ২০২১ সালে আন্তঃবাণিজ্য ই-কমার্সের আমদানি ও রপ্তানি মোট পরিমাণ ১.৯৮ ট্রিলিয়ন ইউয়ানে পৌঁছেছে, তা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি। জাতীয় গণকংগ্রেসের সদস্য মা ইউ হং মনে করেন, বিদেশি বাণিজ্যকে আরো স্থিতিশীল করার খাতে আন্তঃবাণিজ্য ই-কমার্স আরো বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।
উল্লেখ্য, এ বছরের সরকারী কর্মপ্রতিবেদনে আমাদানি ও রপ্তানির স্থিতিশিলতা বজায় রাখা এবং গুণগত মান উন্নত করা, পেমেন্টের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ভারসাম্যকে মৌলিকভাবে রক্ষার লক্ষ্য উত্থাপিত হয়েছে। তার বাস্তবায়নে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েন থাও বলেন, “শুল্ক কমানোসহ নানা নীতি বাস্তবায়ন এগিয়ে নিতে হবে। বাণিজ্যকে আরো সুবিধাজনক করার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করে সর্বশক্তি দিয়ে শিল্পপ্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহকে সাহায্য করতে হবে। পাশাপাশি, বিদেশি বাণিজ্যের পরিস্থিতি আমরা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবো। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করবো। তাতে বাণিজ্য আরো বেশি সুবিধা পাবে।”
(আকাশ/এনাম/রুবি)